হাইজ্যাকার - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: গল্প সমগ্র (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=14) +---- Forum: ভালোবাসার গল্প (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=45) +---- Thread: হাইজ্যাকার (/showthread.php?tid=2035) |
হাইজ্যাকার - Maghanath Das - 02-21-2017 >= বাবু কোথায় তুমি >= এইতো বাবু রাস্তায় >= কতো সময় লাগবে, তাড়াতাড়ি অাসো। >= এইতো বাবু এসে পড়ছি, তোমার জন্যে গিফট কিনছি ২০ মিনিট লাগবে। >= সাবধানে অাসিও। . এতোক্ষন যারা কথা বলছিলি অানিলা এবং অভি। বুঝতেই পারছেন ওদের সম্পর্ক টা ভালবাসার। . হ্যাঁ অাজ থেকে দুই বছর অাগে তাদের প্রেম শুরু। এখনো চলছে রাগ অভিমান এবং পচন্ড ঝগড়াতে, অন্যদের মত তাদের রিলেশন টা অন্যরকম প্রতিদিনই তাদের ব্যাকঅাপ হচ্চে অাবার ঠিক হয়ে যাচ্চে। সত্যিকার প্রেম গুলো এমনই হয়। - অাজ অানিলার জন্মদিন তাদের প্রিয় বড় কড়ই গাছটার নিচে অানিলা অপেক্ষা করছে অভির জন্যে। অভি রিক্সার জন্যে অপেক্ষা করছে কিন্তু আশেপাশে রিক্সা দেখছে না। তখনি অভির চোখে পড়লো এক মহিলার কাছ থেকে ব্যাগ নিয়ে ছুটে চলছে একটি লোক মানে হাইজ্যাকার, মহিলাটি তখন হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করছে কিন্তু কেউ এগিয়ে অাসছে না। মুহর্তের মাঝে অভি হাত থেকে অানিলার জন্যে কেনা গিফট টা ফেলে দিয়ে হাইজ্যাকারের পিছনে দৌড়াতে লাগলে। প্রায় ১০ মিনিট দৌড়ানোর পর এক পযার্যে হাইজ্যাকার কে ধরে ফেলে হাইজ্যাকারটি তখন অভির ডান হাতে চাকু মেরে পালিয়ে যায়। অভির হাত তখন রক্তে লাল হয়ে যায়। পচন্ড ব্যাথা করছে অভি ভাবছে সামান্য রক্ত ঝরাতে কিছু হবে না মহিলাটির কাছে তার ব্যাগটি পৌছে দিতে পারায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছে। >= অান্টি অাপনার ব্যাগ। >= কি বলে ধন্যবাদ দিবো। >= না না অান্টি ঠিক অাছে অাপনি অামার মায়ের বয়সের। >= ঐকি বাবা তোমার হাত দিয়ে তো রক্ত ঝরছে। >= তা কিছু হবে না, ঠিক হয়ে যাবে। অাপনি দেখেন অাপনার ব্যাগ ঠিক অাছে কি না। >= হ্যাঁ বাবা, ব্যাগ ঠিক অাছে, জানো এই ব্যাগের টাকা দিয়ে অামার শুশ্বর মশাই কে অপারেশন করানো হবে, তুমি না থাকলে। তুমিও চলো সামনের হসপিটালে তোমার হাত ব্যান্ডেজ করে নিবে। >= জ্বি অাচ্চা চলুন। অভি তখন মহিলাটির সাথে হসপিটালের দিকে রওয়ানা হলো অপরদিকে অানিলা একা একা অপেক্ষা করছে অভির জন্যে কিন্তু অভি তো অাসছে না। অনেকগুলো ফোন করলো কিন্তু ফোন তো তুলছে না। রেগেমেগে বাসায় চলে গেলো অানিলা। অার ভাবছে অাজ অামার জন্মদিন ছিলো অার অভি এমনটা করলো সে কি অামায় ভালবাসে না। . হসপিটাল থেকে বের হয়েই ফোন চ্যাক করে অভি দেখে ২১ টা কল এসেছে অানিলার নাম্বার থেকে। মেয়েটা এমনিতে অনেক রাগী এখন তো অারো রেগে অাছে, অাজকের দিনে কেন যে এমন হলো। অনেক ভেবে অানিলা কে কল করলো, অানিলা ফোন তুললো না। একনাগালে পাঁচটা কল করলো কিন্তু ফোন রিসিভ হলো না। সপ্তম নাম্বার কল রিসিভ করেই। >= ওই লুইচ্চা তুই অামায় ফোন দিলি কেন (অানিলা) >= বাবু তুমি এমন তুই তাক্কার করছো কেনো (অভি) >= তোকে কি অামি পুজো করবো নাকি (অানিলা) >=বাবু অামার কথাটা শুনো (অভি) >= তোর কোন কথা অামি শুনতে চায় না, ফোন রাখ অার শুন এখানেই তোর সাথে অামার রিলেশন শেষ। (অানিলা) >= কি বলছো বাবু এইগুলা, তুমি অামার সাথে একবার দেখা করো। (অভি) >= তোর সাথে কেন দেখা করবো, বললাম তো ব্যাকঅাপ। এই বলেই ফোন কেটে দিলো অানিলা। . অভি ভাবছে সত্যি মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে অাজকের মতো অার কোনদিন এমন করে রাগেনি। . পাঁচদিন কেটে গেলো অানিলার সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছে না অভি ফোন তুলছে না ফেইসবুক অাইডি ডিএকটিভ। বারবার কল করেই যাচ্চেই অভি। পচন্ড বিরক্ত হয়ে ফোন রিসিভ করলো অানিলা। >= ওই তোরে না বলছি অামায় ফোন দিবি না। >= বাবু তোমাকে অামি জীবনেও ফোন দিব না, তুমি শুধু একটিবার অামার সাথে দেখা করো। >= কখন দেখা করতে হবে। অভি মেসেজ করে জায়গার নাম এবং সময় পাঠিয়ে দেয়। . এর পরদিন - . শীতের সকাল অাবারো সেই কড়ই গাছের নিচে চাদর গায়ে দিয়ে হাজির হলো অভি। অাজ ১৫ মিনিট অাগেই এসে পৌছালো। ঠিক সময়ে অানিলাও চলে অাসলো। . >= হ্যাঁ বলো, কেন ডেকেছো (অানিলা) >= তুমি অার রাগ করে থেকো না প্লিজ। (অভি) >= রাগ করবো না কেন, যে মানুষ টা কে ভালবাসি সে যখন অামার সাথে প্রতারনা করলো অামার জন্মদিনে দেখা করবো বলে দেখা করলো না। তার উপর অামি কি করে রাগ করি (অানিলা, কেদে কেদে বলছে) >= বাবু বিশ্বাস করো অামি এসেছিলাম বাট তোমায় পায়নি একটু লেট করে এসেছিলাম অার সেদিন অামার সাথে এমন এমন ঘঠনা ঘঠেছিল (অভি) >= অার কতো মিথ্যে, বলবে, মিথ্যে বলে লাভ নেই অামি গেলাম। এক পা দু পা করে অানিলা চলে যাচ্চে পিছন থেকে অভির ডাক। >= অামার সকল কথা না হয় মিথ্যে হলো এই যে অামার হাতে এখনো ব্যান্ডেজ এটাও কি মিথ্যে। (শরীর থেকে চাদর সড়িয়ে অভি) অানিলা পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে সত্যি তাই অভির হাতে ব্যান্ডেজ। দৌড়ে এসে অানিলা বলতে লাগলো- >= বাবু তোমার এমন কি করে হলো, কবে হলো (অানিলা) >= এতক্ষন যা বললাম, তুমি তো বিশ্বাস করোনি এক মহিলার টাকা নিয়ে হাইজ্যাকার চলে যাচ্চিল হাইজ্যাকার কে ধরতে গিয়ে (অভি) >= স্যারি বাবু, অামার ভুল হয়ে গেছে অার তোমার এইসব গুনের জন্যেই তোমাকে এতো ভালবাসি। অভির বুকে মাথা রেখে কেদে কেদে অানিলা বলছে। এ যেনো সত্যি এক অন্যরকম ভালবাসা মুর্হতের মাঝে ব্যাকঅাপ অাবার দুইজনের হাত ধরাধরি সত্যিকার ভালবাসাগুলো এমনি হয়। অানিলা এবং অভির ভালবাসা এইভাবেই চলছে তাদের ভালবাসায় যেনো কখনো কারো নজর লাগবে না। . |