কে বলেছে সে বহুদূর - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: গল্প সমগ্র (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=14) +---- Forum: ভালোবাসার গল্প (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=45) +---- Thread: কে বলেছে সে বহুদূর (/showthread.php?tid=2055) |
কে বলেছে সে বহুদূর - Maghanath Das - 02-21-2017 কখনো ভাবিনি আমার জীবনে এমন একটা দিন আসবে। সারাজীবন যেটা চেয়ে জীবন কে তুচ্ছ করে দিয়েছিলাম আর সেটা না পেয়ে আবারও সেই নিত্যনতুন জীবনে ডুব দিয়েছিলাম, যা পাওয়ার আশা বাদ দিয়েছিলাম তা আজ আবার আমার কাছে এসে ধরা দিলো।কিন্তু সেটা কি গ্রহনযোগ্য। ,, আমি নিল।অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র।বাবা মায়য়ের একমাত্র ছেলে। এই হল আমার পরিচয়।এবার ঘটনায় আসা যাক ,, আমি নিশি কে প্রচন্ড রকমভাবে ভালবাসতাম।জানিনা নিশি আমাকে ভালবাসত কিনা।নিশির সাথে প্রথম দেখা হওয়াটা অনেকটাই ভাগ্যের পরিহাস।আমাদেরর ফ্রেন্ড সার্কেল এর সবাই রক্ত দান সিবিরে যোগ দিতাম।সেভাবেই এক সিবিরে পরিচয় হয় নিশির সাথে।কিন্তু সেটা শুধু নাম জানার মধ্যেই সিমাবদ্ধ ছিল।আর আমার ক্ষেত্রে ছিল প্রথম দেখাই প্রেম যা অনেক ক্ষেত্রেই অপূর্ন থেকে যায়।আমিও ভাবছিলাম যে হয়ত আমিও তাদর দলেরই একজন।কিন্ত আমি তখনও জানতাম যে আমি তার দেখা আবার পাব।আমার বাবার ঘনিষ্ট বন্ধু রহমান আংকেল এর বাড়িতে সেদিন নিশির সাথে আমার আবারও দেখা হয়।কখনো ভাবিনি যে নিশি আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে হবে।ভালই হল। ,, নিশিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম।কিন্তু বাধা একটাই কি করে বলব ওকে।মাথায় কিছুই আসতেছেনা।।।।এই বিষয়ে আমাকে একমাত্র সাহায্য করতে পারে তানিয়া ,, তানিয়া আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।ওই আমাকেএই ব্যাপারে সাহায্যকরতে পারবে।ফোন দিলাম,,,, ,, তানিয়া:-হুম বল নিল। আমি::--দুস্ত আমি প্রেমে পড়েছি। ::---সকাল সকাল ডপ কেন দিতেছস।ভাই আমি এখন ফাযলামির মুডে নাই :::--সত্যি দুস্ত।মেয়েটার নাম নিশি।বাবার বন্ধুর মেয়ে। ::-দুস্ত দেখতে কেমন রে????(আনন্দের সাথে) ::--পুরাই তর ভাবির মত ::--ভাবি মানে?? ::--আরে আমার বউয়ের মত ::--তোই কি আগে বিয়ে করছিলি নাকি???, ::--আরে বুঝস না কেন?বললাম যে আমি যেইরকম চাইছিলাম ঠীক সেইরকম।। ::--ওহ।সালা তা এটা কি সোজা ভাবে বলা যায় না। ::--বাদ দে,,দোস্ত তোর হেল্প লাগবে ::--বলে ফেল জানু।বাট এটার জন্য ট্রিট চাই ::;--সব হবে।আগে এইটা বল ওকে কিভাবে ইমপ্রেস করব ::---তুই আগে ক্যাম্পাসে আয়।তারপর সব বলছি। ,, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ক্যাম্পাসে গেলাম।কিন্তু তানিয়ার কোনো দেখা পাচ্ছিনা।অনেক খুজার পর লাইব্রেরিতে পেলাম। তারপর তানিয়া কে নিয়ে চলে গেলাম সোজা সেই কাশবনে। তারপর তানিয়ার কাছ থেকে সব গুলো বুদ্বি নিয়ে সোজা চলে গেলাম বাসায়।আর তারপর দিন থেকেই নিশি কে ফলো করা শুরূ করলাম।আমি জানতাম কোনো মেয়েকে ফলো করলে নাকি সেই মেয়ে নাকি তার কুচোখ থুক্কু দিব্য চোখ দ্বারা ১ কিলোমিটার দূর থেকে বুঝতে পারে।কিন্তু এই মেয়ের তো কোনো আ্যকশন রিয়েকশন কিছুই নাই।কিছুই মাথায় আসতেছেনা।রাত এ বাসায় ফিরে তানিয়াকে ফোন দিলাম ,, তানিয়া:-বল জানু আমি::--জানু কিছুই ত হলনা।এখন কি করব ::--তানিয়া আবার আরও একটা বুদ্বি দিল কিন্ত আপনাদেরকে বলা যাবেনা ::--টাংকু জানু ::-ভাগ সালা।এখন জিএফ পাইয়া আমাগো কোনো খবর লওনা।মনে রাইখও ,,,,,,,,, এখন একটা নতুন সিম কিনলাম।আর নিশির মোবাইলে বিভিন্ন রকম কবিতা ভালবাসা কথা লিখে এসএমএস করা শুরু করলাম। কিন্তু এই প্লান এও কোনো কাজ দিলনা,, ,, মন খারাপ করে রুমে বসে ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনছিলাম আর সিগারেট খাচ্ছিলাম।আমার রুমে সচরাচর কেউ আসেনা।আর আসলেও নক করে আসে।হটাৎ কাধে কারোও স্পর্শ অনুভব করলাম।গাড় ফিরাতেই চমকে গেলাম।নিশি ,, নিশি:-চমকে গেলেন যে? আমি::--আমার রুমে পারমিশন ছাড়া কেউ আসেনা তাই একটু চমকে গেলাম আর কি ::--এখন মনে হয় অনেকেই আসবে রুমে।তবে পারমিশন না নিয়ে :::--বুঝলাম না।কে আসবে :::--সব কিছছু বুঝতে নেই মি: নিল ::;--নাইবা বুঝলাম।কিন্তু আপনার আগমনের কারনটা জানতে পারি কি? ::--কেন? আসতে পারিনা? ::-অবশ্যই আসতে পারেন বাট আসর তো কোনোনো কারন থাকবে!!তাই নয় কি?? ::--আপাতত নাইবা জানলেন।সিগারেট কেন খাচ্ছেন।আমি কিন্ত সিগারেট খাওয়া একদমই পছন্দ করিনা। ::--না।চেইন স্মোকার না।ইচ্ছে করলে ছেড়ে দিতে পারব যদি কেউ চায় ::--তার অধিকার বোধ নিয়ে সে এখনও নিশ্চিত না।তাই হয়ত এখনো কিছু বলছেনা।যখন সে নিশ্চত হবে তখন কিন্তু সমস্যা হবে। ::---একটা কথা বলব ::--হুম।অবশ্যই। ::--কখনো কাউকে বলিনি।তাই জানিনা কিভাবে বলতে হয়।তবু বলছি ,, এই কথা বলবনা যে তোমাকে ছাড়া বাচবনা।তোমার জন্য চাদ নামিয়ে তোমার পায়ের কাছে রাখব।তবে তোমার অনূভুতিগুলো অনুভব করতে না পারলে হয়ত বেচে থেকেও মারা যাব।তাই বলছি,,,, আমাকে শাশন করার দায়িত্বটা নিবে।এলোমেলো চুলগুলো ঠীক করার দায়িত্ব নিবে।তোমার পাশে হাতে হাত রেখে হাটার অধিকার টা দিবে।তোমার চুলের ঘ্রানন নেয়ার অধিকার টা দিবে।তোমার কাধে মাথা রাখার অধিকার টা দিবে।প্রমিস করলাম তুমি ছেড়ে দিলেও তোমাকে কখনও ছাড়বনা। ,, নিশি::--কিছু বলার নাই।তবে শুধু এতটুকুই বলব,,,ভালবাসি অনেক। আমি::--এর থেকে বেশি কিছুই চাইনা। ,, অনেক আনন্দে চলে যাচ্ছিল আমাদের দিনগুলি।ভালবাসা খুনসুটি মান অভিমান দিয়ে।আর কখনো কোনো সমস্যায় পড়লে তানিয়া তো আছেই।আসলে এমন কিছু তানিয়ার জন্যই মনে হয় আজও ভালবাসাগুলো টিকে আছে।কিন্তু সবাবার কপালে ভালবাসা টিকে না।আমিই তার জলজ্যান্ত প্রমান হিসেবে দাড়িয়ে গেলাম। ,, আমাদের দিনগুলি বা শেয়ারিং কেয়ারিং দেখে সন্দেহের কোনোনো অবকাশ থাকেনা।আর আমি এটা বিশ্বাস করতাম যে নিশি আমাকে রিয়েলি অনেক লাভ করে। কিন্ত তার ভালবাসাটা ছিল সুধুই ছলনা।আর এটা বুঝতে আমার অনেক দেরি হয়ে গেছিল। ,, আমাদের ভালবাসার কথাটা আমাদের পরিবার জেনেগিয়েছিল রিলেশনের কয়েকদিনের মাথায় এবং তারা মেনেও নিয়েছিল। প্রতিদিনের মত নিশিকে ফোন দিলম '' আমি::--কেমন আছ?? নিশি::-ভাল বাট মনটা অনেক খারাপ ::--কেন কেন মন খারাপ কেন??? :::--কলেজ থেকে সবাই পিকনিক এ যাচ্ছে।আব্বুকে বলার পর আব্বু নিষেধ করে দিল ::--এতে কি মন খারাপ করতে হয়।পাগলি :--বন্ধুরা সবাই যাবে কিন্ত আমি যাবনা।মন খারাপ হবেনা বল? ::--কোথায় যাচ্ছে? ::--কক্সবাজার ::;--ঠিক আছে।আমি তানিয়াকে ফোন দিয়ে বলে দিচ্ছি।তুমিও তোমার কোনো এক মেয়ে ফ্রেন্ড কে নিয়ে নাও।আমরা তোমার কলেজ থেকে যেদিন যাবে আমরাও সেদিন যাব পিকনিক এ কক্সবাজার ::--ওয়াও,,কিন্তু ::--কিন্ত কি? ::--আব্বু ::;--আমি তো আছি ::--I really love you nill ::--love u tooo ,, নিশির বাবাকে অনেক কস্টে রাজি করিয়ে ১৪ই ফেব্রুয়ারি আমি, নিশি,তানিয়া আর স্নিগ্ধা রওয়া দিলাম কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে আর বি-বাড়িয়া থেকে ,, আমার ফ্রেন্ড ফাহিম যাবে। গাড়ি আমাদের নিজেদের টা নিলাম।আমি অবশ্য রাস্তা চিনিনা।কিন্তু ফাহিম চিনে। ,, ঠিক ১৫ ঘন্টা লং জার্নি করার পর আমরা কলেজ বাস এর আগে কক্সবাজার গিয়ে পৌছালাম।তখনো আমি জানিনা সেখানে আমার জন্য অনেক বড় একটা ধাক্কা অপেক্ষা অপেক্ষা করছে।রুম নিলাম দুইটা।আমি আর ফাহিম এক রুমে আর ওরা তিনজন একরুমে।অনেক আনন্দ আর হাসিতামাশা দিয়েদুদিন কেটে গেল।আজ আমাদের ফেরার দিন।কিন্তু সকাল থেকে নিশিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।হোটেল এর রিসিপসনে জিগ্গেসস করে কিছুই জানতে পারলামনা।তানিয়া কে প্রশ্ন করলে ও বলল ফোন দিতে।সাথে সাথে ফোন দিলাম কিন্তু ফোনটা রুমে কোথাও বেজে চলছে।রুমে গিয়ে দেখলাম একটুকরো কাগজের উপর মোবাইলটা রাখা আছে।কাগজটা ছিল একটা চিরকুট আর তাতে লিখা ছিল ,, নিল পারলে ক্ষমা করে দিও।এছাড়া আমার কাছে কোনো পথ খোলা ছিলনা।বাবা মা কিছুতেই নাহিদ কে মেনে নিচ্ছিলনা। কিন্ত আমি নাহিদকে ছাড়া বাচবনা।তখনই তোমার ডায়েরি পড়ে সব কিছু জানতে পারলাম। আর তোমার সাথে আমার ভালবাসার নাটকটা করতে হয়।আর আমি নাহিদ এর সাথে চলে যাচ্ছি।বাবা মাকে বলে দিও এই কথাটা।আর তারা যাতে আমাকে আর না খুজে --------------------------------------------- ------------------------------------- চিঠিটা পড়ে আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না।শুধু একটে কথাই মাথায় আসছিল।নিশি আমাকে একটাবার বলে দেখত। আমি তার জন্য কিছু করতে পারি কি না।আর কিছুই করার নাই।কিছুক্ষনের মধ্যে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ,, বাড়ি পৌছে নিশির বাবার হাতে চিঠিটা দিলাম।তিনি কিছুই বললেন না।কিইবা বলার থাকতে পারে তার ,, তারপর থেকেঘর থেকে বের হওয়া প্রায় বন্ধ করে দিলাম।আর বের হলেও রাতে বের হয়।তানিয়া প্রায় বাসায় আসে।কলেজে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে।কিন্তু আমি যাইনা।চার দেয়ালের মাঝে নিজে আবদ্ব করে অন্ধকার আর সিগারেট টাকে আপন করে নিলাম।সবাই ছেড়ে গেলেও সিগারেট আমাকে কখনোও ছেড়ে যাবেনা।এরপর অনেকদিন কেটে গেছে ,, বাবা মা আমাকে এখন অনেক সময় দেয় আগের মত স্বাভাবিক করার জন্য।আমার ইয়ার ফাইনালেও রেসাল্ট ভাল হয়নি।এখন আবার বাবার ব্যাবসায় নিজেকে নিয়োগ করলাম নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য।কিন্ত কে একজন বলেছিল,, প্রথম প্রেম ভুলা যায়না।আমার ক্ষেত্রে তার বিপরীত হয়নি।নিশি চলে যাওয়ার প্রায় ৮ মাস পর নিশি হঠাৎ ফিরে এল কিন্ত একা। কিন্ত আমি তার সামনে যায়নি।হয়ত অভিমান বা হয়ত হারিয়ে গেছে মনে করে। ,, রাতে বাসায় ফিরে কাউকে না পেয়ে রুমে বসে সিগারেট খাচ্ছিলাম।হঠাৎই নিশি আমার রূমে ডুকল।আমি কিছু না বলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলাম।বের হয়ে দেখি নিশি কাদছে ,, আমি কখোনই নিশির চোখের জল সহ্য করতে পারিনি। ,, আমি::-সুখে থাকার জন্য চলে গিয়েছিলে।এখন কেন কাদছ নিশি::--সুখগুলো দু:খের ভিরে হারিয়ে গেছে ::;-মানে ::--তোমার থেকে চলে গিয়ে নাহিদকে বিয়ে করি।ওকে ভালবেসে আমার সবটা ওকে দিয়েদেই।কিন্ত ও আমার দেহকে ভালবাসত। আমাকে নয়।ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে :::--হাহাহাহা।মাইন্ড কইরো না।হাসি পাইলো তাই হাসলাম।এখন নিশ্চয় আমার কাছে ক্ষমা চাইতে আসছ ::--ক্ষমার যোগ্য আমি নই তা আমি যানি ::--তাহলে ::--তোমার কি অবস্থা ::--যদি বলি তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।বিশ্বাস কর আমি এখনও তোমাকে আগের মতই ভালবাসি ::-হাসালে নিল।আমি তোমার ভালবাসার যোগ্য নই ::--কথা দিয়েছিলাম তুমি ছেড়ে দিলেও তোমাকে ছেড়ে যাবনা ::-নিল,, ::-will you merry me?? :::--সম্ভব না নিল ::-কেন?? ::--আমি প্রেগন্যান্ট,, ২ মাসের ::--কি?? ::;-হুম ::-তাও যাবনা।আমার কথার অনেক মুল্য নিশি।আর ভালবাসার মুল্য তার চেয়ে অনেক বেশি ::--কেন বুঝতেছনা.এইটা তোমার আবেগ :::--তুমি কি চাওনা তোমার গর্ভের সন্তান পৃথীবির আলো দেখুক? ::--কিন্তু তার পরিচয় কি হবে ::--সে হবে আহনাফ নিল এর সন্তান মেহজাবিন বিন্তে সোহা ::--জরিয়ে ধরে শুধুই কেদে যাচ্ছে :::--শার্ট টা ভিজে গেল তো? ::--প্রতিদিন ত ভিজাবো না।একদিনই ::--মা ডাকছে ,, বাবা মাকে বুঝিয়ে বলার পর আর অমত করিনি।হাজার হলেও আমি তাদের একমাত্র সন্তান।আর আমার পড়ালেখা চলবে। বাবার ব্যাবসায়ও যাব।শুধু নিশি কাছে থাকবে ,, প্রায় সাড়ে সাত মাস পর,,,,, ,, আজ নিশির অপারেশন।সবাই খুব চিন্তিত।সাথে খুশিও।আজ আমাদের সন্তান আসবে যে।কিছুক্ষন পর ডাক্তার বেড়িয়ে আসল o.t. থেকে।আমাদের মেয়ে হয়েছে।সবাই খুব খুশি।কিন্তু কাদছে শুধু একজন।নিশি।কস্টে নই,,খুশিতে।আমরা খুব সুখি এখন।আর নিশিও নাহিদকে সম্পূর্ন রুপে ভুলে গেছে।আর আমাদের হ্যাপি ইন্ডিং এর ক্ষেত্রে মূল ভুমিকা তানিয়ার। কারন বাবা মা জানে নিশি তানিয়াদের বাড়িতে ছিল।আর চিঠির কাহীনি মিথ্যা।আসলেই তানিয়া আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধ |