স্লিম মানুষেরও কী হৃদরোগ হয়? - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: দৈনন্দিন জীবন (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=34) +---- Forum: স্বাস্থ্যগত (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=29) +---- Thread: স্লিম মানুষেরও কী হৃদরোগ হয়? (/showthread.php?tid=2103) |
স্লিম মানুষেরও কী হৃদরোগ হয়? - Hasan - 02-21-2017 সাধারণত মনে করা হয় যে, মোটা মানুষদেরই হৃদরোগের সমস্যা হয়। কিন্তু স্লিম মানুষদের কী হৃদরোগের সমস্যাটি হয় না? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জাগতে পারে। মুম্বাই এর এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউট এর কারডিও ইলেক্ট্রোসাইকোলজিস্ট ডা. সান্তোশ কুমার দোরা এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক তার উত্তরটি। ডা.দোরা এর মতে যেকোন মানুষেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এটি শুধু কোলেস্টেরল বা শরীরের ভরের উপরই নির্ভর করেনা বরং আরো কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর ও দায়ী থাকে। যদিও এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই যে, হাই লিপিড প্রোফাইল, বিশেষ করে উচমাত্রার কোলেস্টেরল (যা একটি পরিবর্তিত রিস্ক ফ্যাক্টর) এর সমস্যা থাকা একজন মানুষের হৃদরোগ বা করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকিকে নির্দেশ করে। ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন হচ্ছে হৃদরোগের সাধারণ দুটি রিস্ক ফ্যাক্টর। এছাড়াও আপনি যদি ধূমপায়ী হন অথবা আপনার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে আপনার হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ আপনার পিতামাতার যদি হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা থাকে অথবা আপনার ভাই বা বোনের যদি করোনারি হার্ট ডিজিজ থেকে থাকে তাহলে আপনার হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পায়। বয়সের কারণেও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যদি আপনি স্থূলকায় না হয়ে স্লিম হন এবং আপনার বয়স যদি ৪০ হয় তাহলে আপনি করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়া থেকে মুক্ত তা বলা যাবে না। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ধূমপান, বয়স, জেনেটিক ইতিহাস অথবা কোলেস্টেরল এর যেকোন একটি রিস্ক ফ্যাক্টর যদি আপনার থাকে তাহলে শুধু স্লিম হওয়ার কারণে আপনি করনারি হার্ট ডিজিজ হওয়া থেকে রেহাই পাবেন না। যদি আপনার করোনারি হার্ট ডিজিজের পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো না থাকে কিন্তু উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে তাহলেও আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। যদিও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলেই যে হার্ট অ্যাটাক হবে এমন কোন কথা নেই, কিন্তু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এর কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনীতে গিয়ে জমা হয়, যার ফলে ধমনীতে বাঁধা তৈরি হয়, যার পরিণতিতে হার্ট অ্যাটাক হয়। এটি হওয়ার সম্ভাবনা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন হয় অন্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো থাকার সাপেক্ষে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ১০০ জন হাই কোলেস্টেরলের রোগীর মধ্যে ১৫ জনের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ১৫% খুব কম সংখ্যা নয়, তাই নিরাপদে থাকার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া এবং নিয়মিত চেকআপ করানো জরুরী। এর পাশাপাশি আপনার ডায়েটের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু পরিবর্তন করা উচিৎ। উচমাত্রার কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার যেমন- লাল মাংস, পনির, ফ্রায়েড ফুড, আইসক্রিম, গলদা চিংড়ি, মারজারিন ইত্যাদি খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম বা সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ব্যায়াম করলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। এছাড়াও কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি কমায় এমন খাবার যেমন- রসুন, মেথি, বাদাম, বীজ ও ওটস ইত্যাদি যোগ করুন আপনার খাদ্য তালিকায়। এছাড়াও ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণের হিসাব রাখুন। সূত্র: দ্যা হেলথ সাইট |