গল্প -রুম-ডেট। - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: গল্প সমগ্র (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=14) +---- Forum: জীবনের গল্প (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=44) +---- Thread: গল্প -রুম-ডেট। (/showthread.php?tid=2169) |
গল্প -রুম-ডেট। - Hasan - 02-22-2017 অভি কয়েকদিন থেকেই বর্ণাকে রুম-ডেট করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতদিন বর্ণা নানা অজুহাতে মানা করে আসলেও আজ রাজী হলো। বর্ণাও রুমডেটের ব্যাপারে আগ্রহী। তবে কেন যেন অজানা আশংকায় সাহস পাচ্ছিলোনা। বর্ণাদের বাসার সবাই বর্ণার আব্বুর বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে গেছে। বর্ণা ইচ্ছে করে মাথা ব্যাথার অজুহাতে আর যায়নি। বাসায় এখন শুধু বর্ণা আর বর্ণার ছোটো বোন ঐশী। ঐশীর বয়স পাঁচ বছর,সে কী-ই বা আর বুঝবে! বর্ণাদের বাসায় কেউ নেই শুনে অভি আনন্দে আত্মহারা। এতদিনের প্ল্যান সফল হচ্ছে ভেবে অভির মনে অন্য ফিলিংস কাজ করে। এশার আজান দিতেই অভি বর্ণাদের বাসার দিকে রওনা হয়। অভিদের এলাকাটা গ্রাম আর শহরের মিশ্রণে তৈরী। অভিদের বাড়ীর পর থেকেই টানা প্রায় ত্রিশটা বিল্ডিং। বর্ণাদের বাড়ীর পথটা সেদিকে নয়। অভিদের বিল্ডিংয়ের উত্তর পাশে দুইটা জঙ্গল। পরিত্যাক্ত একটা জঙ্গল আছে প্রথম বাগানটাতে। অভি শুনেছে খুব শীঘ্রই জঙ্গল সাফ করা হবে। সেইসাথে সেখানে কয়েকটা বিল্ডিং হওয়ার ও কথা রয়েছে। জঙ্গলের মুখেই একটা তালগাছ। তালগাছের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আবছা আলোতে অভি কি যেন দেখতে পেলো| ফোনের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলো। কাছাকাছি গিয়ে দেখলো একটা বিড়াল। এক টুকরো মাটি ছুঁড়ে মারতেই বিড়ালটি সোজা জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে গেলো। . মানুষ যখন বড় কোনো কাজ করতে অগ্রসর হয়,তখন পেছনের তুচ্ছ ব্যাপারগুলো ভুলে যায়। অভির ব্যাপারটাও তেমন। রুম-ডেট তার অনেক দিনের স্বপ্ন। সেটা পূরণ হতে আর কয়েকটা পদক্ষেপ বাকী! অভি তাড়াতাড়ি হেঁটে চলে। জঙ্গলের মাঝে একটা বাঁশ বাগান আছে। অভি বাঁশ বাগানের কাছাকাছি আসতেই পেছনে কিসের যেন শব্দ শুনতে পেলো। পেছনে ফিরে দেখলো কিছুই নেই। পেছন থেকে সামনে তাকিয়ে অভি চমকে উঠলো। একটু আগে যে বাঁশগুলো উপরের দিকে মুখ করে ছিলো সেগুলো অভির সামনে ঝোপসহ পড়ে আছে! একটু আগেও এ জায়গাটা অনেক আঁধার ছিলো,সেখানটা কেমন যেন আগের চেয়ে আলোকিত। অভি তাড়াতাড়ি সামনে এগিয়ে যায়। মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর অভি খেয়াল করে ও পরিত্যাক্ত বাড়ীটার সামনে দিয়ে যাচ্ছে। তার যাওয়ার কথা বাড়ীর পেছনের রাস্তা দিয়ে! অভি পেছনের রাস্তায় যখন উঠে,তখন বর্ণা ফোন দেয়। -হ্যালো অভি! কোথায় তুমি? -হ্যাঁ বেবী আমি পাশেই আছি। দশ মিনিটের মতো লাগবে। -আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো। . অভি আচ্ছা বলার আগেই ফোন কেটে দেয় বর্ণা। অভি জোরে হাঁটে। মনে কামনার জন্ম হলে মন অন্য কিছু ভাবতে পারেনা। কিছু ভাবার সময় ও নেই অভির। অভি হাঁটতে হাঁটতে একটা পুকুরের কাছে এসে পড়ে। অভি কিছুটা অবাক হয়। কি উল্টা-পাল্টা হচ্ছে তার সাথে! এখানে তো কোনো পুকুর থাকার কথা নয়। অভি বর্ণাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে বড় জঙ্গলটাতে পুকুর আছে কিনা। বর্ণা বলে,পুকুর তো ছোটো জঙ্গলে,বড় জঙ্গলে কোনো পুকুর নেই। অভি খুশী হয়। আঁধারে কত তাড়াতাড়ি চলে এলো! পুকুরের ওপারে একটাই বিল্ডিং। ওটা বর্ণাদের। পুকুরের পাড় ধরে হাঁটার সময় অভি পেছনে একটা শব্দ শুনতে পায়। শব্দটা কারো গোঙ্গানির। অস্পষ্ট শব্দ। কৌতুহলী মনে অভি শব্দের উৎস খোঁজে। শব্দটা পেছনের দিক থেকে আসছে। পেছনে কাউকে দেখতে পায়না। ফোনটা একটু সামনে এগিয়ে ধরে সে। উপরের দিকে চোখ যায় অভির। সাদা কাপড় পরা কেউ গাছে ঝুলছে। চোখ বড় করে আবার তাকায় অভি। হ্যাঁ একটা মেয়ে মানুষ গাছে ঝুলছে। গাছটা সম্ভবত আমগাছ। সেদিকে অভির খেয়াল নেই। আরেকটু সামনে আগায় সে। একটা কিশোরী গাছে ঝুলছে,সাদা কাপড় নয়। সাদা কামিজ পরা,পায়জামাটাও সাদা। গলা উড়না দিয়ে বাঁধা। উড়নার এক প্রান্ত গাছের ডালে আরেক প্রান্ত গলায়। অভি কিছু না ভেবে দিলো ভোঁ-দৌড়। এক দৌড়ে বর্ণাদের গেইটে আসে। বর্ণাকে এ ব্যাপারটা বলা যাবেনা,বললে রুম-ডেটের বারোটা বাজবে! কলিংবেল চাপার আধ- মিনিটের মধ্যেই দরজা খুলে গেলো। বর্ণা বললো,কি মিষ্টার! এতক্ষণ লাগলো কেনো? মুখটা একটু বাঁকা করে অভি বললো,কতক্ষণ? বর্ণা একটু হেসে বললো,অনেকক্ষণ! অভি আবার মুখ বাঁকা করলো। ভেতরে ঢুকে অভি দরজা লাগিয়ে দিলো। বর্ণা রুমের দিকে যাওয়ার জন্য উদ্যত হতেই অভি বর্ণার হাত টেনে মুখোমুখি দাঁড়ালো। বর্ণা কিছু না বলে একটু হাঁসলো। অভি বর্ণার ঠোঁটে তার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। লম্বা একটা লিপ কিসের পর বর্ণা অভির বাহু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,বাইরে থেকে আসছো,বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। বিরক্তিকর মুখে অভি বাথরুমে ঢুকলো। বাথরুমে ঢুকেই ওপরের ছোটো ফাঁকটা দিয়ে বাইরের দিকে তাকানোর চেষ্টা করলো,উদ্দ্যেশ্য পুকুরের পাড়ের গাছটা দেখা। বাইরে তাকানো মাত্রই অভি একটা বিভৎস মুখ দেখলো,চোখ গলে রক্ত পড়ছে। অভি চিৎকার দিয়ে উঠলো। . সাথে সাথেই তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাজে স্বপ্ন সেইসাথে ম্যাসেজের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গেছে তার। বর্ণা ম্যাসেজ দিয়েছে,kal basay kew thakbena,kal rate basay eso babu.. অভি রিপ্লাই দেয়,ami jabona,korbona room-date.. ফোনটা অফ করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে অভি। . গল্প -রুম-ডেট। -Touhid Islam Robon |