Forums.Likebd.Com
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিজের মধ্যে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে - Printable Version

+- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com)
+-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228)
+--- Forum: টিপস এন্ড ট্রিকস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=1)
+---- Forum: অনলাইন আয় (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=8)
+---- Thread: ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিজের মধ্যে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে (/showthread.php?tid=2185)



ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিজের মধ্যে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে - Hasan - 02-22-2017

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিজের মধ্যে কিছু যোগ্যতা

অর্জন করতে হবে। সেই যোগ্যতাগুলো নিয়েই আজকের

এ পর্বটি।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিচের যোগ্যতাগুলো খুব

জরুরী:

– টাকাকে নয় কাজকে ভালবাসতে হবে।

– ফ্রিল্যান্সিংকে শুধু পার্টটাইম হিসেবে না ফুলটাইম ক্যারিয়ার ভাবা

শুরু করতে হবে।

– কমিউনিকেশন দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে

দেয়।

– ইংরেজিতে যত ভাল হবেন, তত বেশি সফল হবেন।

– যত বেশি কিছুতে যত বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে

পারবেন তত বেশি।

– সবসময় নিজের আরো বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা

থাকতে হবে।

– যে যত বেশি গুগলের উপর নির্ভরশীল, তার সফলতার

সম্ভাবনা তত বেশি।

– ইন্টারনেটের উপর জীবনকে নির্ভরশীল করতে

পারলে ফ্রিল্যান্সিং সফল হবেন।

– প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায়না।

– ধৈয্য শক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টাকাকে নয় কাজকে ভালবাসতে হবে:

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য টাকার লোভ ত্যাগ করে কাজে

দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।

দক্ষলোকদের সমাদর সবজায়গার মতই ফ্রিল্যান্সিংয়ের

ক্ষেত্রে। সেজন্য সবার প্রথমে বিভিন্ন রিসোর্স থেকে

কাজ শিখে সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক কাজ করে দক্ষতা অর্জন

করলেই অনলাইনে কাজের রেট এবং চাহিদা দুটি বৃদ্ধি পাবে। এরকম

চাহিদাপূর্ণ অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছুটা সময় দিতে হবে।

মনে রাখবেন, অদক্ষ ব্যক্তিদের টাকার পিছনে দৌড়াতে হয়। কিন্তু

দক্ষ ব্যক্তিদের পিছনে টাকা দৌড়ায়।

ফ্রিল্যান্সিংকে শুধু পার্টটাইম হিসেবে না ফুলটাইম ক্যারিয়ার ভাবা শুরু

করতে হবে:

সময় এসেছে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে পার্টটাইম চাকুরি না ভেবে

ফুলটাইম হিসেবে নিতে হবে। তাহলে প্রত্যেকে কাজের

ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন হবে এবং দক্ষ হওয়ার ব্যাপারে

আগ্রহী হবে। তখন বিদেশী বায়াররা এদেশের

ফ্রিল্যান্সারদেরকে কাজ দিতে আরো বেশি স্বস্তি পাবে।

ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম ভাবার কারনে মূলত আমরা ৩ভাবে

ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি:

১) দিনের সময়ের সর্বোচ্চ সময়টি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বরাদ্দ

রাখতে পারছিনা। সেজন্য দক্ষ যেমন হতে পারছিনা, তেমনি কাজও

বেশি করতে পারছিনা।

২) যখন ফ্রিল্যান্সিংকে ফুলটাইম হিসেবে ভাবা শুরু হবে তখন

আরো বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রা আরো

বেশি দেশে ঢুকবে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে

বড় সুফল নিয়ে আসবে।

৩) ফুলটাইম কাজ ভাবা শুরু করলে ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র অনলাইন আয়ের

মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা, ধীরে ধীরে এটি তখন

সম্মানজনক ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হওয়া শুরু হবে। তখন

প্রত্যেকের মধ্যে ভাল করার ব্যাপারে উৎসাহ আরো বাড়বে।

যোগাযোগের দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক

বাড়িয়ে দেয়:

এক জরিপে দেখা গেছে, যাদের যোগাযোগ দক্ষতা বেশি

তারা অন্য সব জায়গার মত ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও সফল

সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে। যোগাযোগ দক্ষতা বলতে বুঝায়:

বায়ারের বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে পারা , বায়ারকে নিজের বক্তব্য

সঠিকভাবে বুঝাতে পারা এবং সেই সাথে বায়ারকে কনভেন্স

করতে পারাটাই হচ্ছে, যোগাযোগের মৌলিক দক্ষতা।

যোগাযোগের এ মৌলিক দক্ষতা থাকলে বায়ার কাজ দিয়ে স্বস্তি

পায়। আর সেজন্য একবার কাজ করলে পরের কাজটির

ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন, একই ফ্রিল্যান্সারকেই

কাজটি দেওয়ার জন্য। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে

যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যেতে

হবে। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খুব দ্রুত সফল হওয়া যাবে।

ইংরেজিতে যত ভাল হবেন, তত বেশি সফল হবেন:

ইংরেজি হচ্ছে যেকোন ধরনের বায়ারের সাথে

যোগাযোগের মূল ভাষা। যে যত ভাল ইংরেজি পারে, সে তত

বেশি ভালভাবে বায়ারের সাথে সম্পর্কস্থাপন করতে পারে। কারণ

বায়ারের নির্দেশনা বুঝতে তার অনেক বেশি সহজ হয়। বায়ারও

যাকে দিয়ে কাজ করাবে, তার কথা জড়তা ছাড়া বুঝতে পারে। এ

ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের সাথে বায়ার ‍স্বাচ্ছন্দে যোগাযোগ

স্থাপন করতে পারে দেখে দীর্ঘদিনের কাজের সম্পর্ক

বজায় রাখে। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, শুধুমাত্র ভাষাগত সমস্যার

কারনে কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করার পরও বায়ার এ ফ্রিল্যান্সারের কাছে

আর নতুন কোন কাজ নিয়ে ফিরে আসেনা। একজন সফল

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাই নিজেকে ইংরেজিতে ধীরে

ধীরে দক্ষ করে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।

যত বেশি কিছুতে যত বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে

পারবেন তত বেশি:

যদি একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে একটি কাজের বাইরে অন্যান্য

আরও কাজের সাপোর্টও পাওয়া যায়, তাহলে তার সাথে বায়ারের

দীর্ঘদিনের জন্য সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য সব

কাজেই দক্ষতা তৈরি করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে

বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করা যায়। এক্ষেত্রে মাথাতে

রাখতে হবে, সব কাজে সমান দক্ষতা অর্জন করাটা অনেক বেশি

কষ্টকর। যেটা করতে হবে, কোনটি একটিতে ভালো দক্ষ

হতে হবে, বাকিগুলোতে মোটামুটি দক্ষ হলেই চলবে।

সবসময় নিজের আরো বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা

থাকতে হবে:

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বহুদিন পযন্ত বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা

ধরে রাখার জন্য সবসময় নতুন কিছু শিখার অভ্যাস গড়ে তুলতে

হবে। ধরি, কেউ যদি এসইওর কাজের মাধ্যমে আউটসোর্সিং

করে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় এসইও সম্পর্কিত

লিখা পাওয়া যায়, এরকম ব্লগগুলোর পোস্ট নিয়মিত পড়া উচিত। নতুন

যত আপডেট আসছে, সব কিছু জেনে সেগুলোতে

নিজেকে দক্ষ করতে হবে।

যে যত বেশি গুগলের উপর নির্ভরশীল, তার সফলতার সম্ভাবনা

তত বেশি:

কোন সমস্যাতে পড়লে সে বিষয়ে জানার জন্য কোন ব্যক্তির

কাছে প্রশ্ন না করে, সে বিষয়ে গুগলকে প্রশ্ন করা উচিত।

গুগলের উপর এ নির্ভরশীলতা জানার পরিধি অনেক বাড়িয়ে দেয়।

গুগলে খোজ করলে অনেকগুলো উত্তর পাওয়া যাবে, যা চিন্তা

শক্তিকে বাড়াবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতার জন্য শুরু থেকেই

গুগলের উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে।

ইন্টারনেটের উপর জীবনকে নির্ভরশীল করতে পারলে

ফ্রিল্যান্সিং সফল হবেন:

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেই কাজ পেয়ে যায়না। এরকম সফলতার জন্য

শুরুর দিকে কষ্ট অনেক বেশি করতে হয়। আর এজন্য

ইন্টারনেটে দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করা উচিত। শুধু

ফেসবুকে সময় ব্যয় না করে, বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম, ভিডিও কিংবা

অনলাইনের অন্য জায়গাগুলো প্রতিদিনের বড় একটা সময় ব্যয় করার

অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এসব

জায়গাগুলোতে সারাবিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের

অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করে। এগুলো

সত্যিকারেরভাবে অনেক কিছু নতুন অনেক কিছু শিখতে এবং

সবকিছুর বিষয়ে আরো অ্যাডভান্স হতে সহযোগিতা করে।

প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায়না:

যে কোন কাজের সফলতার জন্য যেমন সবার প্রথমে দরকার

ইচ্ছাশক্তি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও বিষয়টা ব্যতিক্রম না। প্রচন্ড

ইচ্ছাশক্তি থাকলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার ব্যাপারে যত

প্রস্তুতিমূলক পরিশ্রম করা দরকার, সব কিছু করতে আগ্রহ থাকবে।

সুতরাং কারও কথা শুনে হালকাভাবে লক্ষ্য নিয়ে নামলে ব্যর্থ হওয়ার

সম্ভাবনাটা ৯৫%। কিন্তু যদি নিজের তীব্র ইচ্ছা থাকে এবং একাগ্রতা

থাকে, তাহলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হবেন।

ধৈয্য শক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে ধৈয্য শক্তি বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। কাজ

শিখতেও ধৈয্য নিয়ে শিখতে হবে। পরে শুরুতে কাজ পাওয়ার

জন্য বহুদিন ধৈয্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। এমন হতে

পারে, কাজ শিখার পর ১ম কাজের অর্ডার পেতে ১বছরও লেগে

যেতে পারে। কিন্তু তারপরও ধৈয্য হারালে চলবেনা। চেষ্টা

চালিয়ে যেতে হবে, নিজেকে দক্ষ করতে হবে, বায়ারের

কাছে কাজ চাওয়ার ধরনে পরিবর্তন এনে দেখা যেতে পারে।

হতাশ না হয়ে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে উপরের বিষয়গুলো নিজের

ভিতরে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে।

আন্তর্জাতিকবাজারে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জে জিততে হলে

নিজের মধ্যে বিশেষ কিছু থাকতেই হবে। কাজের দক্ষতার

পাশাপাশি অধ্যাবসায়, ধৈয্য এবং নতুন কিছু শিখার নেশা সফলদের কাতারে

পৌছিয়ে দিবে।