গ্রীম ভাইদের রূপকথা - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: গল্প সমগ্র (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=14) +---- Forum: রূপকথার গল্প (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=52) +---- Thread: গ্রীম ভাইদের রূপকথা (/showthread.php?tid=233) |
গ্রীম ভাইদের রূপকথা - Hasan - 01-10-2017 সে অনেকদিন আগের কথা৷ এক গ্রামে বাস করতো এক বৃদ্ধ কাঠুরিয়া৷ সে বনে কাঠ কাটতো৷ সারাদিন কাঠ কেটে, তা বাজারে বিক্রি করে যে কয় টাকা পেতো, তা দিয়েই চলতো তার সংসার৷ সংসার বলতে একটি মাত্র ছোট্ট ছেলে৷ সংসার খরচের টাকা থেকে একটু একটু করে বাঁচিয়ে কিছু টাকা জমালো কাঠুরিয়া৷ তারপর এক সকালে সে টাকা ছেলেটির হাতে দিয়ে বললো, : তোমার জন্য আমি এই কয়েকটি টাকা জমিয়েছি৷ তুমি আমার এক মাত্র সন্তান৷ তোমাকে স্কুলে যেতে হবে৷ চলো তোমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিই৷ তোমার পড়া লেখার পর আমি যখন খুব বৃদ্ধ হয়ে যাবো, যখন কাজ করতে পারবো না, তখন তুমি আমাকে সাহায্য করতে পারবে৷ বৃদ্ধ বয়সে তো আর কুঠার চালাতে পারবো না৷ ঘরে আগুনের পাশে বসে থাকা ছাড়া আমার আর কি করার আছে বলো? ছেলেটি স্কুলে ভর্তি হলো৷ পড়ালেখা করতে থাকলো খুব মনোযোগ দিয়ে৷ স্কুল পাশ করে কলেজে ভর্তি হবার আগে সে গেলো তাদের গ্রামে৷ আহা... তাদের গ্রামটি কত সুন্দর৷ তিন দিকে পাহাড়, একদিকে বন৷ ঘন বন৷ কত গাছ সেখানে৷ ছেলেকে দেখে বাবা বললো : দেখো আমি তোমার জন্য আর কিছু করতে পারবো না৷ পেট চালাবার জন্য রুটি কেনার জন্য যতটুকু কাজ করা দরকার তার বেশী আমি কাজ করতে পারি না৷ বাবার অবস্থা দেখে ছেলেটি বললো : দেখো বাবা আমাকে নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই৷ খোদা চাইলে আমাদের সবচেয়ে ভালো কিছু হতে পারে৷ বাবা ছেলেটির দিকে তাকালেন৷ এই ক বছরে তার ছেলেটি বেশ বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে৷ পরদিন বাবা যখন কাঠ কাটতে বেরুবে, তখন ছেলেটি বললো : বাবা আমিও তোমার সঙ্গে যেতে চাই৷ আমিও কাঠ কাটবো৷ : তযতে পারো৷ কিন্তু এ কাজটি তোমার জন্য খুবই কষ্টের হবে৷ তুমি এ ধরনের পরিশ্রমে অভ্যস্ত নও৷ আমাদের বাড়িতে তো আর একটা কুঠার নেই৷ নতুন করে কেনার মত টাকাও নেই৷ ছেলেটি বললো : এটা কোন সমস্যা নয়৷ আমরা আমাদের প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি কুড়াল ধার করতে পারি৷ আমি জানি কাঠ বিক্রি করে আমরা নতুন একটি কুড়াল কিনতে পারবো৷ বাবা পাশের বাড়ি থেকে কুড়ালটি ধার করে আনলো৷ দুজন মিলে চলে গেলো বনে৷ সেখানে নানা রকম পাখি৷ কিচির মিচির শব্দ৷ কত রকমের গাছ, বুনো নানা জাতের ছোট গাছ মাটিতে, শ্যাওলাও আছে৷ বাবা গাছের ডাল কাটতে শুরু করলো৷ কিন্তু ছেলেটির জন্য এ কাজ মোটেও সহজ ছিল না৷ সূর্য যখন মাথার ঠিক উপরে তখন বৃদ্ধ লোকটি বললো চলো আমরা একটু বিশ্রাম নিই৷ দুপুরের খাবারও খাওয়া দরকার৷ ছেলেটি বললো : বাবা তুমি বিশ্রাম নাও৷ আমি বরং এ দিকটা ঘুরে দেখি৷ এখানে বেশ কয়েকটা পাখির বাসা দেখেছি৷ বাবা বললো : বোকা ছেলে৷ এভাবে ঘুরলে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে৷ কাজ করতে পারবে না৷ কাজ না করলে নতুন কুঠার কেনাও যাবে না৷ বাবার কথায় একটু হাসি দিয়ে সে বন দেখতে বের হলো৷ একটা পুরোনো ওক গাছে যখন সে উটলো, তখন গম গম আওয়াজ শুনলো৷ আকুতি৷ আমাকে বাচাও, আমাকে উদ্ধার করো৷ কে বলছে এ কথা প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে গেলো ছেলেটি৷ বললো : কোথায় তুমি? : আমি ওক গাছের নীচে৷ শিকঁড়ের কাছে৷ ছেলেটি মাটি খুড়তে লাগলো৷ ওক গাছের বড় একটি শিকঁড়ের নীচে পেয়ে গেলো একটি নীল বোতল৷ সেখান থেকেই আসছে শব্দ৷ একটু কথাবার্তা বলে বোতলের ছিপি খুলে দিলো৷ তখনি ধোয়া বের হতে থাকলো৷ আর সেই ধোয়া এক সময় বিশাল দৈত্যর আকার ধারণ করলো৷ কালো কুচকুচে দৈত্য বের হয়েই সে বললো : আমি মুক্তি পেয়েছি৷ এবার আমি তোমার ঘাড় মটকাবো৷ ভয় পেলো না ছেলেটি৷ বুদ্ধি করে বললো : আমি তোমার কথা বিশ্বাস করি না৷ তুমি এত বড় কিন্তু এই ছোট্ট বোতলের মধ্যে ঢুকলে কি করে৷ আমাকে দেখাবে৷ দৈত্যটি আবার যেই ঐ বোতলের মধ্যে ঢুকে বসলো ঠিক তখনি ছেলেটি বোতলের ছিপি বন্ধ করে ফেললো৷ ..........তারপর কি হলো তখন? |