Forums.Likebd.Com
পিৎজা না পেয়ে ছাদ থেকে লাফ; বালক আটকে গেল কার্নিশে! - Printable Version

+- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com)
+-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228)
+--- Forum: খবরা-খবর (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=110)
+---- Forum: ভিন্ন স্বাদের খবর (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=112)
+---- Thread: পিৎজা না পেয়ে ছাদ থেকে লাফ; বালক আটকে গেল কার্নিশে! (/showthread.php?tid=2650)



পিৎজা না পেয়ে ছাদ থেকে লাফ; বালক আটকে গেল কার্নিশে! - Hasan - 03-13-2017

নীচে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে আবেদন-নিবেদন করছেন, "নড়িস না বাবা", "লাফাস না বাবা", "অনেক পিৎজা দেব। " পুলিশ-দমকল বাহিনী কোনো সময় ছাদ থেকে, কোনো সময় দেয়াল বেয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। আর ওর মধ্যেই পিৎজার শোকে ৫ তলার কার্নিশে দাঁড়িয়ে নীচে লাফ দেওয়ার হুমকি দিয়ে সবাইকে তটস্থ করে রাখছে ১৩ বছরের বালক। শেষ পর্যন্ত এক যুবকের তৎপরতায় ও পুলিশ-দমকলের সাহায্যে উদ্ধার করা হল ওই বালককে। ঘটনা ভারতের শিলচরে।



ঘটনার শুরু গত কাল রাতে। ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। রাতে হঠাৎ পিৎজা খাওয়ার বায়না ধরে অঙ্কিত। তা না পেয়ে সারা রাত ধরে গুমরে থেকে শেষে সবাইকে তটস্থ করে তুলে সে। শিলচর শহর এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি। প্রথমে বিষয়টি পথচারীদের দু-একজনের নজরে পড়ে। দেখতে দেখতে নীচে ভিড় জমে যায়।



এরই রেশে শহর জুড়ে যানজট মাত্রা ছাড়ায়। ছুটে যায় পুলিশ, দমকল, এসডিআরএফ। র্নিশে দাঁড়িয়েই শত-শত পিৎজার 'অফার' পাচ্ছিল অঙ্কিত। দু-একজন গিয়ে দোকান থেকে পিৎজা কিনেও নিয়ে আসে। তবু নামতে রাজি হয়নি। তার একটাই বক্তব্য, এই জীবন রেখে লাভ নেই। তাই সে মরতে চায়।



তাকে বাঁচাতে ৫ তলা ভবনের জানালার কার্নিশে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না। ঘণ্টা দুয়েক তার পিছনে পড়ে থেকে মান্না ভুইয়া নামে এক যুবক দালান বেয়ে আচমকা তার পা ধরে ফেলে। মান্নার পিছনে পিছনে এগিয়ে যায় জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর এক জওয়ান। তখন ছাদ থেকে রশি ফেলা হলে দুইজনে মিলে তার কোমর বেঁধে দেন। অন্যরা তাকে টেনে ছাদে নিয়ে যায়।



যাকে নিয়ে শনিবার দুপুরে এত হইচই, সেই অঙ্কিত পাল আসলে শিলচরের ছেলে নয়। তার বাড়ি আসামের নগাঁও জেলার যমুনামুখে। পড়শোনা সেখানকারই সেন্ট্রাল স্কুলে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর আর স্কুলে পাঠানো যাচ্ছিল না তাকে। বাবা নির্মল পাল ও মা তপতী পাল অতিষ্ঠ হয়ে যান।



শেষে ফুপু জলি পাল তাকে শিলচরে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, শিলচরে থেকেই অঙ্কিত পড়াশোনা করবে। উদ্ধারের পর তার বাবাকে ফোন করা হয়েছে। তিনি আগামীকাল এসে ঘরের ছেলেকে ঘরে নিয়ে যাবেন।



সূত্রঃ কালের কন্ঠ