দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখবে যে মাছ - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: দৈনন্দিন জীবন (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=34) +---- Forum: স্বাস্থ্যগত (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=29) +---- Thread: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখবে যে মাছ (/showthread.php?tid=2911) |
দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখবে যে মাছ - Hasan - 05-12-2017 দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখবে যে মাছ দেহের দরকারী সব অভাব পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফ্যাটি অ্যাসিড। তৈলাক্ত মাছই হলো এই ফ্যাটি এসিডের অন্যতম উৎস । সপ্তাহে অনন্ত দুইবার করে যদি আপনি এই মাছ খেয়ে থাকেন তাহলে দৃষ্টিহীনতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে যে , ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক রোগীই অকালে চোখের দৃষ্টি হারায়, কিন্তু এই মাছ যারা খেয়ে থাকেন তাদের দৃষ্টিহীনতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। মাছ খেয়েই ফ্যাটি এসিডের অভাব পূরণ করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিসপ্তাহে অন্তত ২বার করে তৈলাক্ত মাছ খাওয়া উচিত। এতে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যবয়সে চোখের জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। গবেষকরা বলছেন, টাইপ টু ডায়াবেটিস বহু মানুষের জন্যই মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে চোখের রোগ। অনেক ডায়াবেটিস রোগীই ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে আক্রান্ত হন। এ রোগে সারা বিশ্বের অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগী অন্ধ হয়ে যান। আর টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগীদের বয়স যতই বাড়ে ততই এ রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। লং-চেইন ওমেগা-থ্রি পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড চোখের রেটিনাতে প্রয়োজন হয়। আর এ চাহিদা পূরণ করার জন্যই প্রয়োজন হয় মাছের তেলের মতো খাবারের। এ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় আরও কিছু খাবারে। এসবের মধ্যে রয়েছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম। গবেষকরা ২,৬১১ জন অংশগ্রহণকারীর নারী-পুরুষের ওপর একটা অনুসন্ধান চালান। তারা প্রতিদিন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড প্রয়োজনীয় মাত্রায় গ্রহণ করেন। এরপর তাদের বিভিন্ন বয়স, ছেলে-মেয়ে, বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত বিষয়ের উপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। গবেষনায় দেখা যায়, যে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীরা দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি ওমেগা-থ্রি পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করেন তাদের দৃষ্টিহীনতার ঝুঁকি ৪৮ শতাংশ কমে যায়। |