বিল গেটস সম্পর্কে ১৭টি বিস্ময়কর তথ্য - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: অন্যান্য ও মজা (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=9) +---- Forum: জানা ও অজানা (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=16) +---- Thread: বিল গেটস সম্পর্কে ১৭টি বিস্ময়কর তথ্য (/showthread.php?tid=410) |
বিল গেটস সম্পর্কে ১৭টি বিস্ময়কর তথ্য - Hasan - 01-14-2017 বেশিরভাগ মানুষই বিলগেটস সম্পর্কে তিনটি তথ্য জানেন: ১. তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী লোক ২. তিনি সর্বকালের সবচেয়ে সফল প্রযুক্তি কম্পানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ৩. তিনি খুবই উদার একজন বিশ্বপ্রেমিক। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাতব্য কাজ করার মধ্য দিয়ে তার এই উদারতা প্রকাশিত হয়। তবে তার এমন অনেক বিষয় রয়েছে যে সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই ওয়াকিবহাল নন। এখানে এমন ১৭টি বিষয় তুলে ধরা হলো: ১. লেকসাইড প্রিপারেশন স্কুলে পড়ার সময় কিশোর বয়সেই বিল গেটস তার প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামটি লেখেন জেনারেল ইলেকট্রিক এর একটি কম্পিউটারে। ২. বিল গেটস এর স্কুল যখন তার কোডিং করার সক্ষমতা আবিষ্কার করল তারা তাকে স্কুলের কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখতে দিল। যার মাধ্যমে শেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শিডিউলিং করা হয়। গেটস খুবই চতুরতার সঙ্গে কোড বদলে ফেলেন যার। আর প্রতিদান হিসেবে তাকে উৎসাহী মেয়েদের মাঝখানে বসানো হয়। ৩. কিশোর বয়সেই গেটস “ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপেডিয়া” সিরিজের সব বই পড়ে শেষ করেন। ৪. স্যাট পরীক্ষায় গেটস ১৬০০ নাম্বারের মধ্যে ১৫৯০ পান। ৫. আরো অনেক প্রযুক্তি উদ্যোক্তার মতো গেটসও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করতে না পেরে ছিটকে পড়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন পুরোপুরি মাইক্রোসফটে মনোযোগ দেওয়ার জন্য। ৬. হার্ভার্ড থেকে ছিটকে পড়ার দুই বছর পর গেটস নিউ ম্যাক্সিকোতে গ্রেপ্তার হন। লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭. মাইক্রোসফটে গেটস কর্মীদের লাইসেন্স প্লেট মুখস্ত করতেন। কর্মীদের আসা-যাওয়ার ওপর নজর রাখতেই তিনি এটা করতেন। তবে কম্পানিটি একটু বড় হওয়ার পর গেটস আরো নমনীয় হন। ৮. গাড়ির কথা বলতে গেলে, গেটস এর পোর্শে সংগ্রহের কথা বলতে হবে। তার সংগ্রহে থাকা গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি হলো, পোর্শে ৯৫৯ স্পোর্টস কার। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থা বা পরিবহন দপ্তর গাড়িটির অনুমোদন দেওয়ার ১৩ বছর আগেই তিনি গাড়িটি কেনেন। ৯. আকাশ ভ্রমণের জন্য গেটস কোচে উড়তেন। এখন অবশ্য তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে তার মালিকানায় থাকা বিমানে চড়ে আকাশে ওড়েন। ১০. বিমান ছাড়াও বিল গেটস এর বড় গর্বের জিনিস হলো কোডেক্স লেইসেস্টার। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির লেখালেখির একটি সংগ্রহ এটি। এটি ১৯৯৪ সালে এক নিলাম থেকে ৩০.৮ মিলিয়ন ডলারে কেনেন তিনি। ১১. এতো বিশাল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও গেটস তার সন্তানদের প্রত্যেককে মাত্র ১০ লাখ ডলার করে দিয়ে যাবেন। অথচ বর্তমানে তিনি ৮ হাজার ১১০ কোটি ডলারের মালিক। তিনি মনে করেন, সন্তানদেরকে বেশি অর্থকড়ি দিয়ে গেলে এতে তাদের কোনো উপকার করা হয় না। ১২. যদিও গেটস তার বেশিরভাগ সময়ই এখন তার ফাউন্ডেশনের পেছনে ব্যয় করেন তথাপি তিনি এখনো মাইক্রোসফটের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি এর “পার্সোনাল এজন্ট” নিয়ে কাজ করছেন। এটি আপনার সবকিছু মনে রাখবে এবং কোন বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে তা বাছাই করতে আপনাকে সহায়তা করবে এবং পিছনে গিয়ে আপনাকে কোনো জিনিস বের করতে সহায়তা করবে। ১৩. গেটস বলেন, যদি মাইক্রোসফট কম্পানিটি সফল না হত তাহলে তিনি হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করতেন। ১৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আগ্রহ সত্ত্বেও গেটস বলেন তিনি অতি বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নদের দলে আছেন। এই দলে স্টিফেন হকিং এবং এলোন মাস্ক এর মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের বিখ্যাত লোকেরাও রয়েছেন। ১৫. বিল গেটস প্রিয় ব্যান্ড উইজার। ইউটু ও তার পছন্দের একটি ব্যান্ড। আর তিনি এখনো টেপ রেকর্ডারে গান শুনতে পছন্দ করেন। ১৭. গেটস কোনো বিদেশি ভাষা জানেন না। আর বিল গেটস এর মতে এটাই তার নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। সূত্রঃ অনলাইন |