পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ধূমকেতু - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=13) +---- Forum: বিজ্ঞান জগৎ (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=38) +---- Thread: পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ধূমকেতু (/showthread.php?tid=415) |
পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ধূমকেতু - Hasan - 01-14-2017 পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ভয়ঙ্কর দুইটি ধূমকেতু। এগুলো অসম্ভব গতিতে ছুটি আসছে। খুব দূর থেকে এক রকম ঝাপসা ভাবেই ধেয়ে আসা ওই দুটি মহাজাগতিক বস্তুকে দেখতে পেয়েছে নাসার মহাকাশযান- ‘নিওওয়াইজ’। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে হয়েছে ভয়ঙ্কর একটি গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড। অন্যটি ধূমকেতু। তাদের এও মনে হয়েছে, বহু দূর থেকে যাকে ‘গ্রহাণু’ বলে মনে করা হচ্ছে, তা একটি ধূমকেতুও হতে পারে। ‘হামলা চালাতে’ পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়বে দু’- দু’টি অচেনা, অজানা মহাজাগতিক বস্তু। আর ঠিক মাস দেড়েকের মধ্যেই। প্রায় একই সঙ্গে। ‘নিওওয়াইজ’ মহাকাশযান দেখেছে, পৃথিবীর দিকে রীতিমতো ঝড়ো গতিতে ছুটে আসছে এই দুই আগন্তুক। হঠাৎ করেই গত নভেম্বরে নাসার ‘নিওওয়াইজ’ মহাকাশযানের টেলিস্কোপের চোখে পড়ে যায় ওই দুই ‘আগন্তুকে’র শরীর। জানা যায়, ভয়ঙ্কর গতিতে তারা ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। গ্রহাণুটি ছুটে আসছে বৃহস্পতির পাশ কাটিয়ে গ্রহাণুপুঞ্জ ও মঙ্গলের কক্ষপথ ছুঁয়ে পৃথিবীর দিকে। এই গ্রহাণুটির আবিষ্কার হয়েছে সদ্যই। ২০১৬-র ২৭ নভেম্বরে। এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘2016-WF9’। এই ভয়ঙ্কর গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়বে আর ঠিক মাসদেড়েক পরে। ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখে। আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহটি থেকে তখন তার দূরত্ব থাকবে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মাইল। বা, ৫ কোটি ১০ লক্ষ কিলোমিটার। নভেম্বরে যখন প্রথম হদিস মিলেছিল এই গ্রহাণুটির, তখন সেটি বৃহস্পতির কক্ষপথে চক্কর মারছিল। আর নিজে লাটিমের মতো বনবন করে ঘুরতে ঘুরতে বৃহস্পতিকে পাক মারছিল গ্রহাণুটি পৃথিবীর ৪ বছর ৯ মাস সময়ে। এই ‘2016 WF9’ আকারে বেশ বড়। লম্বায় ০.৩ থেকে ০.৬ মাইল বা আধ কিলোমিটার থেকে ১ কিলোমিটার মতো। কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এই গ্রহাণুটি? আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘নিওওয়াইজ’ মহাকাশযানের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এখনও পর্যন্ত যেটুকু হিসেব কষতে পেরেছি, তাতে বলা যায়, ততটা বিপদের আশঙ্কা নেই এই গ্রহাণুটি থেকে। আপাতত পৃথিবীর কক্ষপথে ঢোকার পর তা আমাদের বাসযোগ্য গ্রহটিকে পাক মেরে আবার চলে যাবে সৌরমণ্ডলের বাইরের দিকে। মানে, মঙ্গলের পাশ কাটিয়ে সেটি আবার ছুটে যাবে গ্রহাণুপুঞ্জের দিকে। তার পর তার ‘ডেস্টিনেশন’ হবে বৃহস্পতির কক্ষপথ।’ |