আমের ১২ স্বাস্থ্য উপকারী গুণ - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: বিশেষ আয়োজন (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=74) +---- Forum: গুনগুণ (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=78) +---- Thread: আমের ১২ স্বাস্থ্য উপকারী গুণ (/showthread.php?tid=461) |
আমের ১২ স্বাস্থ্য উপকারী গুণ - Hasan - 01-14-2017 সুস্বাদু আমের প্রতি আগ্রহ সবার। মৌসুম চলাকালে আম খাওয়াও হয় প্রচুর। আম খেতে যেমন মজার তেমনি পুষ্টিকর। সারাবছরে আপনার দেহের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় কিছু পুষ্টির যোগান আম এই মৌসুমেই দিয়ে থাকে। কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতে আম পুষ্টিগুণে সেরা। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচাআম ৪৪ কিলোক্যালোরি ও পাকাআম ১০ ক্যালরি শক্তি প্রদান করে। কাঁচাআমে ৬৩ মি.গ্রা ও পাকাআমে ৪১ মি.গ্রা ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কাঁচাআমে ০.০৪ মি.গ্রা ও পাকাআমে ০.১ মি.গ্রা ভিটামিন বি-১ পাওয়া যায়। কাঁচাআমে ০.০১ মি.গ্রা ও পাকাআমে ০.০৭ মি.গ্রা বি-২ রয়েছে। কাঁচাআমে ১০ মি.গ্রা ও পাকাআমে ১৬ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ০.৫ গ্রাম খনিজ লবণ থাকে। কাঁচাআমে ০.৭ গ্রাম প্রোটিন ও ০.২ গ্রাম ফ্যাট থাকে। পাকাআমে ১ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৭ গ্রাম ফ্যাট থাকে। কাঁচাআমে ১০.১ গ্রাম শ্বেতসার ও প্রতি ১০০ গ্রাম পাকাআমে ২০.০০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। কাঁচাআমে ৯০ মাইক্রোগ্রাম এবং পাকাআমে ৮,৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। কাঁচাআমে ৫.৪ ও পাকাআমে ১.৩ মি.গ্রা আয়রন পাওয়া যায়। - আমে থাকা ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি- কাশি দূর করে। - আম কর্মশক্তি যোগায়, এতে রয়েছে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট। আমে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। - ক্যালসিয়াম হাড় সুগঠিত করে, হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে। - আম থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। আমে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। - আমে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তস্বল্পতা দূর করে ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। এই ফলের আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে। - এছাড়াও ক্যারোটিন, আইসো-কেরোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক অ্যাসিড ইত্যাদি এনজাইম। এসব উপাদান কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। - পাকাআম রক্তে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ঘামের কারণে শরীর থেকে সোডিয়াম বের হয়ে যায়। কাঁচাআম খেয়ে শরীরের সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। - কাঁচা আমের পেকটিন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত উপকারী। - কাঁচা আমের ভিটামিন সি রক্তনালীসমূহের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কনিকা গঠনে সাহায্য করে। এতে করে যক্ষা, রক্তস্বল্পতা ও কলেরা রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। - গরমের কারণে হওয়া স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাসে কাঁচাআম ও জিরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। - আমের ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। - আম রূপ চর্চায় সহায়তা করে। রোদের পোড়াভাব কমাতে, ত্বকের দাগ দূর করতে ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে আম সাহায্য করে। সতর্কতা ডায়াবেটিস রোগীর আম খাওয়ায় সতর্ক থাকা উচিত। পরিমিত পরিমাণ আম খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। তবে অতিরিক্ত আম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর।" |