আপনার স্মার্টফোন কি গরম হয়? তাহলে পড়ুন - Printable Version +- Forums.Likebd.Com (http://forums.likebd.com) +-- Forum: বাংলা ফোরামস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=228) +--- Forum: টিপস এন্ড ট্রিকস (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=1) +---- Forum: মোবাইল (http://forums.likebd.com/forumdisplay.php?fid=2) +---- Thread: আপনার স্মার্টফোন কি গরম হয়? তাহলে পড়ুন (/showthread.php?tid=725) |
আপনার স্মার্টফোন কি গরম হয়? তাহলে পড়ুন - Hasan - 01-15-2017 কেউ বলে, অতিরিক্ত কথা বললে স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়। কেউবা বলে, গেম খেললে গরম বেশি হয়। আবার কেউবা বলে, ডেটা কানেকশন অন করে নেট ব্যবহার করলে। কিন্তু কথা বলার জন্য, গেম খেলার জন্য কিংবা নেট করার জন্যই তো স্মার্টফোন। তাহলে গরম কেন হবে? এর প্রতিকারই বা কী? সামান্য স্মার্টফোন থেকে শুরু করে গাড়ি, কম্পিউটার সব। এর কারণ বেশ স্বাভাবিক। খবর-অনলাইন কিন্তু সব স্মার্টফোন সমান গরম হয়! হয় না হয়তো। কোনোটা কম কোনোটা বেশি। আসলে কিছু কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়। সমস্যার সমাধান না করলে অনেক সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। তাই জেনে রাখা দরকার কী কী কারণে স্মার্টফোন গরম হয়ে থাকে এবং তার প্রতিকার কী। প্রসেসর : স্মার্টফোন বেশি গরম হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই নজরে আসে প্রসেসর ভ্যালু। মূলত এটিই গরম হওয়ার প্রধান কারণ। যে কোনো স্মার্টফোনের মূল অঙ্গই হলো প্রসেসর। আপনি ফোন ব্যবহার করুন আর নাই করুন প্রসেসর তো থেমে নেই। এটি সবসময় চলতে থাকে। সে তার কাজ বন্ধ রাখে না। পার্থক্য শুধু ব্যবহারে কম-বেশি। প্রসেসর নির্মাণ করা হয় অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে এবং এর ভিতর অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন থাকে। যখন প্রসেসর তার কাজ করে তখন এই ইলেকট্রনগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে। এ সময় ইলেকট্রনগুলো নিজেদের ভিতর সংঘর্ষ ঘটায় এবং তাপ উৎকদন করে। অর্থাৎ আপনার প্রসেসর যত বেশি কাজ করে তাপ ও তত বেশি উৎকদন হয়। আপনি যদি শুধু কথা বলা কিংবা মিউজিক শুনে থাকেন তবে ফোনটি কম গরম হবে। আর যদি গেম খেলা ও ফাইল ডাউনলোড একসঙ্গে করেন তবে স্বভাবতই প্রসেসরে প্রেসার পড়বে। সাধারণ কথা বলা কিংবা গান শোনার তুলনায় টানা ডাউনলোড করলে ইলেকট্রনগুলো কাজ করার ফলে বেশি তাপ উত্পন্ন করে। এর ফলে আপনার সাধের ফোনটি গরম হয়। প্রসেসর ফোনের বডির সঙ্গে লেগে থাকে। ফলে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত গরম অনুভূত হয়। ব্যাটারি : স্মার্টফোনের প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি হলেও ব্যাটারির প্রযুক্তি সেভাবে উন্নত হয়নি। আগে স্মার্টফোন একটু মোটা ছিল কিন্তু এখন অনেক পাতলা, স্লিমফিগারের স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। সে তুলনায় ব্যাটারির কার্যক্ষমতা বাড়েনি। দুর্বল ব্যাটারি বেশি তাপ তৈরি করে। আর যন্ত্রপাতিগুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব না থাকার ফলে এই ব্যাটারির গরম সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং আপনার স্মার্টফোন অত্যধিক গরম হয়ে পড়ে। খেয়াল রাখবেন, আপনার স্মার্টফোন চার্জ নেওয়ার সময়ে বা ডিসচার্জ করার সময়ে ফোনকে বেশি গরম হয়। এটা স্বাভাবিক। দুর্বল নেটওয়ার্ক : আপনি যদি এমন জায়গায় থাকেন, যেখানে নেটওয়ার্ক নেই কিংবা দুর্বল। সিগন্যাল আসছে আবার ছেড়ে দিচ্ছে। স্মার্টফোনের ডেটা কানেকশন অন থাকার পর দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে ফোন গরম হতে থাকে। আবার অনেক সময় ওয়াইফাই সিগন্যাল পেতে ফোনটিকে খুব বেগ পেতে হচ্ছে, তবে সেই পরিস্থিতিতে স্মার্টফোনের চার্জ বেশি খরচ হয়। সেক্ষেত্রেও দুর্বল নেটওয়ার্কে সিগন্যাল পাওয়ার জন্য ফোনটি বেশি শক্তি প্রয়োগ করে। প্রসেসরে চাপ পড়ে। আর এতেই স্মার্টফোনটি অত্যধিক গরম হয়। গরমের স্বাভাবিকতা : অনেকে মনে করেন কম দামি ফোন বলে গরম হয়, কথাটি ভুল। আপনার ফোনটি গরম হয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। এমনকি অনেক সময় ফোন গরম হয়ে নানা দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জানা দরকার গরমের স্বাভাবিকতা। সাধারণত গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশের তাপমাত্রা ৩৫-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই তাপমাত্রায় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে এটি গরম হয়ে যাবে। আর যদি স্ট্যান্ডবাই মুডে যদি ফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম থাকে তবে বুঝবেন সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সমাধানের চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন স্মার্টফোন বেশি গরম হলে প্রসেসরের ক্ষতি হয়। কর্মক্ষমতা কমে যায়। প্রসেসর এমনভাবে তৈরি যাতে এটি বেশি গরম হলে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য নিজের থেকেই কাজ কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ সে তার পূর্ণ কার্য সম্পাদন করতে পারে না। এমনটা বার বার হলে প্রসেসর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সমস্যার সমাধান : স্মার্টফোনে বেশি কথা বলা যাবে না বা বেশি গেম খেলা যাবে না এমনকি ডেটা কানেকশনও বেশি করা যাবে না ধারণাগুলো একেবারেই ঠিক নয়। বরং খেয়াল রাখুন ফোনে যেন সবসয়ম চার্জ থাকে বিশেষ করে ডাউনলোড করার সময়। একসঙ্গে অনেক অ্যাপস বা প্রোগ্রাম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। বেশি অ্যাপস খুলে রাখবেন না। এতে করে প্রসেসরে বেশি প্রেসার পড়ে। নিয়মিত অ্যাপস সফটওয়্যার আপডেট করুন। কোন কোন অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি জায়গা নিচ্ছে তা খুঁজে বন্ধ করে রাখুন। সদা র্যাম ও ক্যাশ পরিষ্কার রাখুন। অপ্রয়োজনীয় মেসেজ ডিলিট করে দিন। অ্যানিমেশন ব্যবহারে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনে ওয়াইফাই অফ রাখুন। স্মার্টফোনের জন্য এমন কভার বেছে নিন যেটা আপনার ফোনের তাপ শুষে নিতে পারে। বাইরের তাপ যেন ফোনকে আরও গরম না করে সেদিকটাও খেয়াল রাখুন। ফোন যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে রাখুন। |