12-06-2017, 11:41 PM
বাংলা চলচ্চিত্রে এক সময়ের আলোচিত খলনায়িকা নাসরিনকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। একটা সময় বাংলা সিনেমার আইটেম গান আর নাসরিন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত ছিল। কিন্তু আজ তিনি কাছে থেকেও অনেক দূরে। তাই তার মধ্যে আক্ষেপটা একটু বেশিই কাজ করে।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে কাঁদতে কাঁদতে তার অভিনয় জীবনের চরম দুর্দশার কথা জানালেন। নাসরিন চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলছিলেন আমার ঘরের ভাত অন্যজনে খাচ্ছে। আর আমার পেটে ক্ষুধা থাকা সত্তেও সেই দৃশ্য চেয়ে চেয়ে দেখছি। এক অর্থে তার কথা বড়ই আপত্তিকর। আবার একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে নাসরিন কতটা কষ্টের সঙ্গে কথাগুলো বলেছে।
ফেসবুকে নাসরিন বলেন, ‘আমি ৯২ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করি। প্রায় ২৪ বছর ধরে চলচ্চিত্রে আছি। সুন্দর ভাবে কাজ করে আসছিলাম। ইদানিং দেখছি যে আমাদের ছবি নির্মাণ কমে গেছে। আবার ছবি চলছেও না। দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গায় সিনেমা হলও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ অস্থির ও কষ্টের মধ্যে আছি।
এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো ইন্ডিয়ান ছবি আমাদের এখানে আসছে। ইন্ডিয়ান শিল্পীরা এখানে এসে দেদারছে কাজ করছে। আমাদের ছবিতে অভিনয় করছে আর আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। আমার ঘরের ভাত অন্যজনে খাচ্ছে। আর আমার পেটে ক্ষুধা থাকা সত্তেও সেই দৃশ্য চেয়ে চেয়ে দেখছি। আমার একটা প্রশ্ন আছে। ধরেন আপনার সন্তান ল্যাংড়া লুলা তাই বলে কি আপনি আপন সন্তানকে ফেলে অন্যের নাদুসনুদুস সন্তানকে কাছে টেনে নিবেন নাকি নিজের সন্তানের চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তুলবেন?
আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা প্রিয় দর্শকেও বুঝাতে পারছি না। আরে ভাই আমরা যদি ল্যাংড়া লুলা হইয়া থাকি তাহলে তো আপনাদের প্রথম দায়িত্ব আমাদেরকে সুস্থ করে তোলা। অথচ আপনি সেটা করছেন না। পরের সন্তান নিয়া টানাটানি করতেছেন। ওরা এসে নির্বিঘ্নে আমাদের এখানে শুটিং করছে। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের অভিনয় দেখছি।
ওদের দেশে গিয়ে আপনারা পারবেন এটা করতে? ওরা এলেই আমরা না চাইতে সবকিছু দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু ওদের কাছ থেকে এক কাপ চা পেতেও আমাদেরকে চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয়। ওরা এক কাপ চা দিয়েও আমাদেরকে অনার করে না। ঋতুপর্ণা আমাদের এখানে অভিনয় করতে এসেছিল। মান্না ভাই বেঁচে থাকতে আমরা ওদের ওখানে শুটিং করতে গিয়েছিলাম।
ঋতুপর্ণা আমাদের ১৫/১৬ জন মানুষের জন্য একটা মুরগি পাঠিয়েছিল। আর সে যখন আমাদের এখানে এসেছিল তখন আমরা তাকে এমন ভাবে খাইয়েছি যে সে অপারগ বলেছিল না, না এত খেতে পারব না। আমি তো মোটা হয়ে যাব… কি দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা ওদের কাছে গিয়ে কিছুই পাই না আর ওরা এলে আমরা এতটা উদার হয়ে সবকিছু দিতে থাকি যে ওরা আর নিতে চায় না।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও দর্শকদের উদ্দেশে কাঁদতে কাঁদতে নাসরিন বলতে থাকেন আপনারা কাকে অবহেলা করছেন? আপনাদের সন্তানদেরকে অবহেলা করছেন। প্লিজ, এভাবে অবহেলা করবেন না…
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে কাঁদতে কাঁদতে তার অভিনয় জীবনের চরম দুর্দশার কথা জানালেন। নাসরিন চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলছিলেন আমার ঘরের ভাত অন্যজনে খাচ্ছে। আর আমার পেটে ক্ষুধা থাকা সত্তেও সেই দৃশ্য চেয়ে চেয়ে দেখছি। এক অর্থে তার কথা বড়ই আপত্তিকর। আবার একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে নাসরিন কতটা কষ্টের সঙ্গে কথাগুলো বলেছে।
ফেসবুকে নাসরিন বলেন, ‘আমি ৯২ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করি। প্রায় ২৪ বছর ধরে চলচ্চিত্রে আছি। সুন্দর ভাবে কাজ করে আসছিলাম। ইদানিং দেখছি যে আমাদের ছবি নির্মাণ কমে গেছে। আবার ছবি চলছেও না। দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গায় সিনেমা হলও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ অস্থির ও কষ্টের মধ্যে আছি।
এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো ইন্ডিয়ান ছবি আমাদের এখানে আসছে। ইন্ডিয়ান শিল্পীরা এখানে এসে দেদারছে কাজ করছে। আমাদের ছবিতে অভিনয় করছে আর আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। আমার ঘরের ভাত অন্যজনে খাচ্ছে। আর আমার পেটে ক্ষুধা থাকা সত্তেও সেই দৃশ্য চেয়ে চেয়ে দেখছি। আমার একটা প্রশ্ন আছে। ধরেন আপনার সন্তান ল্যাংড়া লুলা তাই বলে কি আপনি আপন সন্তানকে ফেলে অন্যের নাদুসনুদুস সন্তানকে কাছে টেনে নিবেন নাকি নিজের সন্তানের চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তুলবেন?
আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা প্রিয় দর্শকেও বুঝাতে পারছি না। আরে ভাই আমরা যদি ল্যাংড়া লুলা হইয়া থাকি তাহলে তো আপনাদের প্রথম দায়িত্ব আমাদেরকে সুস্থ করে তোলা। অথচ আপনি সেটা করছেন না। পরের সন্তান নিয়া টানাটানি করতেছেন। ওরা এসে নির্বিঘ্নে আমাদের এখানে শুটিং করছে। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের অভিনয় দেখছি।
ওদের দেশে গিয়ে আপনারা পারবেন এটা করতে? ওরা এলেই আমরা না চাইতে সবকিছু দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু ওদের কাছ থেকে এক কাপ চা পেতেও আমাদেরকে চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয়। ওরা এক কাপ চা দিয়েও আমাদেরকে অনার করে না। ঋতুপর্ণা আমাদের এখানে অভিনয় করতে এসেছিল। মান্না ভাই বেঁচে থাকতে আমরা ওদের ওখানে শুটিং করতে গিয়েছিলাম।
ঋতুপর্ণা আমাদের ১৫/১৬ জন মানুষের জন্য একটা মুরগি পাঠিয়েছিল। আর সে যখন আমাদের এখানে এসেছিল তখন আমরা তাকে এমন ভাবে খাইয়েছি যে সে অপারগ বলেছিল না, না এত খেতে পারব না। আমি তো মোটা হয়ে যাব… কি দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা ওদের কাছে গিয়ে কিছুই পাই না আর ওরা এলে আমরা এতটা উদার হয়ে সবকিছু দিতে থাকি যে ওরা আর নিতে চায় না।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও দর্শকদের উদ্দেশে কাঁদতে কাঁদতে নাসরিন বলতে থাকেন আপনারা কাকে অবহেলা করছেন? আপনাদের সন্তানদেরকে অবহেলা করছেন। প্লিজ, এভাবে অবহেলা করবেন না…
Hasan