01-20-2017, 09:52 PM
বাবরি মসজিদ সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে আলোচিত একটি মসজিদের নাম। বাবরি মসজিদ’র অর্থ বাবরের মসজিদ। ১৫২৭ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে নির্মিত হয় বলে এর এইরকম নামকরণ। মসজিদটি ভারতের উত্তর প্রদেশেরফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত।
১৯৯২ সালে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ল এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে। যা দেড় লক্ষ জন সম্মিলিত একটি দাঙ্গার রুপ নেয়। এই দাঙ্গার ফলে মসজিদটি সম্পূর্ণরুপে ভূমিসাৎ করা হয়। ফলস্বরুপ ওই একই সালে ভারতের প্রধান শহরগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়া এসব দাঙ্গার মধ্যে কেবলমাত্র মুম্বাই ও দিল্লীতেই দুই হাজার মানুষের প্রাণ যায়।
দিল্লির সুলতানি এবং তার উত্তরাধিকারী মুঘল সাম্রাজ্যের শাসকরা শিল্প এবং স্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁদের নির্মিত অনেক সমাধি, মসজিদ ও মাদ্রাসা সূক্ষ নির্মাণ কৌশলের নিদর্শন বহন করে। বাবরি মসজিদ জানপুরের সুলতানি স্থাপত্যের পরিচয় বহন করে।
বাবরি মসজিদ তার সংরক্ষিত স্থাপত্য ও স্বতন্ত্র গঠনশৈলীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল। আধুনিক স্থপতিদের মতে বাবরি মসজিদের চিত্তাকর্ষক স্বনবিদ্যার কারণ হল মসজিদটির মিহরাব ও পার্শ্ববর্তী দেয়ালগুলিতে বিভিন্ন খাঁজ যা অনুনাদক হিসাবে কাজ করতো। এই নকশা মেহরাবে অবস্থিত ইমামের কথা সবাইকে শুনতে সাহায্য করতো।
এছাড়াও বাবরি মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেলেপাথর অনুনাদের কাজ করে যা মসজিদটির শব্দ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতো। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাদাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদ যে স্থানে ছিল সেই ভূমি সম্পর্কিত রায় দেয়।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে ২.৭৭ বা ১.১২ হেক্টর ভূমি সমান তিনভাগে ভাগ করার রায় প্রদান করেন। যার এক অংশ পায় হিন্দু মহাসভা রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, দ্বিতীয় অংশ পায় ইসলামিক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি তৃতীয় অংশ পাবে নির্মোহী আখরা নামে একটি হিন্দু সংগঠন।
এই স্থানে রামমন্দির ধ্বংস করে বাবরী মসজিদ নির্মিত হয়েছিল এ বিষয়ে তিনজন বিচারকের দুজন একমত হয়েছিলেন। তবে তিনজন বিচারপতিই একমত হন যে প্রাচীনকালে বাবরি মসজিদর স্থলে একটি সুপ্রাচীন হিন্দু মন্দির ছিল। পরে ঐ স্থানে খনন করে একটি হিন্দু ধর্মীয় স্থাপত্যের হদিস মেলে।
১৯৯২ সালে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ল এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে। যা দেড় লক্ষ জন সম্মিলিত একটি দাঙ্গার রুপ নেয়। এই দাঙ্গার ফলে মসজিদটি সম্পূর্ণরুপে ভূমিসাৎ করা হয়। ফলস্বরুপ ওই একই সালে ভারতের প্রধান শহরগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়া এসব দাঙ্গার মধ্যে কেবলমাত্র মুম্বাই ও দিল্লীতেই দুই হাজার মানুষের প্রাণ যায়।
দিল্লির সুলতানি এবং তার উত্তরাধিকারী মুঘল সাম্রাজ্যের শাসকরা শিল্প এবং স্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁদের নির্মিত অনেক সমাধি, মসজিদ ও মাদ্রাসা সূক্ষ নির্মাণ কৌশলের নিদর্শন বহন করে। বাবরি মসজিদ জানপুরের সুলতানি স্থাপত্যের পরিচয় বহন করে।
বাবরি মসজিদ তার সংরক্ষিত স্থাপত্য ও স্বতন্ত্র গঠনশৈলীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল। আধুনিক স্থপতিদের মতে বাবরি মসজিদের চিত্তাকর্ষক স্বনবিদ্যার কারণ হল মসজিদটির মিহরাব ও পার্শ্ববর্তী দেয়ালগুলিতে বিভিন্ন খাঁজ যা অনুনাদক হিসাবে কাজ করতো। এই নকশা মেহরাবে অবস্থিত ইমামের কথা সবাইকে শুনতে সাহায্য করতো।
এছাড়াও বাবরি মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেলেপাথর অনুনাদের কাজ করে যা মসজিদটির শব্দ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতো। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাদাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদ যে স্থানে ছিল সেই ভূমি সম্পর্কিত রায় দেয়।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে ২.৭৭ বা ১.১২ হেক্টর ভূমি সমান তিনভাগে ভাগ করার রায় প্রদান করেন। যার এক অংশ পায় হিন্দু মহাসভা রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, দ্বিতীয় অংশ পায় ইসলামিক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি তৃতীয় অংশ পাবে নির্মোহী আখরা নামে একটি হিন্দু সংগঠন।
এই স্থানে রামমন্দির ধ্বংস করে বাবরী মসজিদ নির্মিত হয়েছিল এ বিষয়ে তিনজন বিচারকের দুজন একমত হয়েছিলেন। তবে তিনজন বিচারপতিই একমত হন যে প্রাচীনকালে বাবরি মসজিদর স্থলে একটি সুপ্রাচীন হিন্দু মন্দির ছিল। পরে ঐ স্থানে খনন করে একটি হিন্দু ধর্মীয় স্থাপত্যের হদিস মেলে।
Hasan