02-21-2017, 10:01 PM
সারা বিশ্বের শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা সমস্যায় ভুগে থাকেন। রক্তস্বল্পতা মূলত আয়রনের অভাবের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত ১৪-১৮ মিলিগ্রাম একজন পুরুষের এবং ১২-১৬ মিলিগ্রাম একজন নারীর শরীরে হিমোগ্লোবিন থাকা উচিত। মাথা ঘুরানো, দুর্বল লাগা, ক্লান্তি লাগা, খাদ্যে অরুচি, শ্বাস কষ্ট, হার্ট বিট বৃদ্ধি ইত্যাদি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ। ওষুধের পাশাপাশি কিছু খাবার রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে। এই খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন।
১। পালং শাক
আয়রনের অন্যতম উৎস হলো পালং শাক। ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ এগরিকালচার ২০০৯ সালের পুষ্টি তথ্য অনুযায়ী ১৮০ গ্রাম সিদ্ধ পালং শাকে রয়েছে ৬.৪৩ মিলিগ্রাম আয়রন যেখানে ১৭০ গ্রাম লাল মাংসে ৪.৪২ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। প্রতিদিন দুই কাপ পালংশাকের স্যুপ পান করতে পারেন। এছাড়া দুই টেবিল চামচ মধু এক গ্লাস পালংশাকের জুসের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি সপ্তাহে একবার পান করতে পারেন।
২। বিট
একটি বিট, তিনটি গাজর এবং অর্ধেকটা মিষ্টি আলু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস করে নিন। এটি প্রতিদিন একবার পান করুন। এছাড়া খোসাসহ বিট সিদ্ধ করুন। তারপর এটি খান। খাওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে নিন। বিটে থাকা আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং পটাসিয়াম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে থাকে।
৩। ডালিম
ডালিমে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এছাড়া এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। এটি লোহিত রক্ত কনিকা এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এক কাপ ডালিমের রসের সাথে এক চুর্থতাংশ দারুচিনির গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া প্রতিদিন খালি পেটে অর্ধেকটা ডালিম খেতে পারেন।
৪। খেজুর
এক কাপ দুধে দুটি খেজুর ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। দুধ খেতে না চাইলে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন। এছাড়া ১-২টি খেজুর গরম দুধে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন। নিয়মিত পানে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বৃদ্ধি করবে।
৫। তিল
দুই টেবিল চামচ কালো তিল পানিতে দুই থেকে তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি পেস্ট করে নিন। তিলের পেস্টের সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে রাখুন। এটি প্রতিদিন দুইবার করে খান। কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ কালো তিল ভিজিয়ে রাখুন। এটি পেস্ট করুন। এক কাপ কুসুম গরম দুধে এই মিশ্রণটি, মধু বা গুড় মিশিয়ে নিন। এটি দিনে একবার পান করুন।
৬। আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খান, এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। আপেল খাওয়ার পরিবর্তে আপেল এবং বিট মিশিয়ে জুস করে পান করতে পারেন। এর সাথে আদা অথবা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি দিনে দুইবার পান করুন।
৭। কলা
একটি পাকা কলা এক টেবিল চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার খান। এছাড়া একটি পাকা কলা এবং এক টেবিল চামচ আমলকির রস মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
সূত্র : টপটেনহোমরেমিডিস
১। পালং শাক
আয়রনের অন্যতম উৎস হলো পালং শাক। ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ এগরিকালচার ২০০৯ সালের পুষ্টি তথ্য অনুযায়ী ১৮০ গ্রাম সিদ্ধ পালং শাকে রয়েছে ৬.৪৩ মিলিগ্রাম আয়রন যেখানে ১৭০ গ্রাম লাল মাংসে ৪.৪২ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। প্রতিদিন দুই কাপ পালংশাকের স্যুপ পান করতে পারেন। এছাড়া দুই টেবিল চামচ মধু এক গ্লাস পালংশাকের জুসের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি সপ্তাহে একবার পান করতে পারেন।
২। বিট
একটি বিট, তিনটি গাজর এবং অর্ধেকটা মিষ্টি আলু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস করে নিন। এটি প্রতিদিন একবার পান করুন। এছাড়া খোসাসহ বিট সিদ্ধ করুন। তারপর এটি খান। খাওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে নিন। বিটে থাকা আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং পটাসিয়াম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে থাকে।
৩। ডালিম
ডালিমে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এছাড়া এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। এটি লোহিত রক্ত কনিকা এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এক কাপ ডালিমের রসের সাথে এক চুর্থতাংশ দারুচিনির গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া প্রতিদিন খালি পেটে অর্ধেকটা ডালিম খেতে পারেন।
৪। খেজুর
এক কাপ দুধে দুটি খেজুর ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। দুধ খেতে না চাইলে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন। এছাড়া ১-২টি খেজুর গরম দুধে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন। নিয়মিত পানে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বৃদ্ধি করবে।
৫। তিল
দুই টেবিল চামচ কালো তিল পানিতে দুই থেকে তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি পেস্ট করে নিন। তিলের পেস্টের সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে রাখুন। এটি প্রতিদিন দুইবার করে খান। কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ কালো তিল ভিজিয়ে রাখুন। এটি পেস্ট করুন। এক কাপ কুসুম গরম দুধে এই মিশ্রণটি, মধু বা গুড় মিশিয়ে নিন। এটি দিনে একবার পান করুন।
৬। আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খান, এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। আপেল খাওয়ার পরিবর্তে আপেল এবং বিট মিশিয়ে জুস করে পান করতে পারেন। এর সাথে আদা অথবা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি দিনে দুইবার পান করুন।
৭। কলা
একটি পাকা কলা এক টেবিল চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার খান। এছাড়া একটি পাকা কলা এবং এক টেবিল চামচ আমলকির রস মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
সূত্র : টপটেনহোমরেমিডিস
Hasan