Thread Rating:
  • 0 Vote(s) - 0 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

[ইসলামিক]  ক্বদর রাতের এবাদত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম

Googleplus Pint
#1
দেখতে দেখতে মাহে রমজানের শেষ দশকে এসে
আমরা পৌঁছেছি। আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেওয়ার
প্রস্তুতি শুরু করেছে রমজান। নাজাতের এ দশকে
আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করে রাব্বুল আলামিনের কাছ
থেকে ক্ষমা লাভ করতে হবে। বিশেষ করে এ মাসে
রয়েছে বিশেষ একটি রাত যা হাজার মাসের রাতের চেয়ে
উত্তম। এ রাতটি হচ্ছে ক্বদরের রাত। মোমিন-মুসলমানের
ক্ষমা পাওয়ার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে এ রাতে ।
ক্বদরের রাত ভাগ্য ও মর্যাদার রাত। আল্লাহর অশেষ
কল্যাণের বারি বর্ষিত হয় এ রাতে। এ প্রসঙ্গে রাব্বুল
আলামিন পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি এই
কোরআনকে এক বরকতময় ও মর্যাদাসম্পন্ন রাতে নাজিল
করেছি, কারণ আমি লোকদের সতর্ক করতে
চেয়েছিলাম। এই রাতে সকল বিজ্ঞ ও হেকমতপূর্ণ
বিষয়ের ফয়সালা করা হয়।’ (সূরা দোখান)
এ রাতের ইবাদতের সওয়াব ও পুরস্কার অনেক বেশি। এ
রাতের এবাদতকে হাজার মাসের চাইতেও উত্তম বলা
হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা ক্বদরে
বলেছেন- ‘আমি একে (কুরআন) অবর্তীণ করেছি শবে
কদরে। তুমি কি জান কদরের রাত কি? ক্বদরের রাত এক হাজার
মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে আল্লাহর হুকুমে
ফেরেশতাগণ এবং হযরত জিবরাইল (আ.) দুনিয়ার সকল
কল্যাণকর জিনিস নিয়ে অবর্তীণ হন এবং সূর্যোদয়ের আগ
পর্যন্ত সারারাতব্যাপী শান্তি ও রহমত বিদ্যমান থাকে।
ক্বদর রাতের ফজিলত সম্পর্কে হযরত আবু হোরায়রা (রা.)
থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন- যে ক্বদরের
রাতে ঈমান ও সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়ে, তার
অতীতের সব সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (বোখারি ও
মুসলিম) রমজানের শেষ দশকে নবী করিম (সা.) স্ত্রী-
পরিবার সহ সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন। উম্মুল মুমিনীন
হযরত আয়েশা (রাSmile হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘রমজানের
শেষ দশক শুরু হলে রাসূল (সা.)ক্বদরের রাত লাভের
উদ্দেশ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতেন, নিজে সারা রাত জাগতেন
এবং পরিবারকেও জাগাতেন।’ (বোখারি ও মুসলিম)
রাসূল (সা.) রমজানে শেষ দশকে যত বেশি পরিশ্রম
করতেন অন্য কখনো করতেন না। হযরত আয়েশা (রাSmile
হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন- (সা.) রমজানের শেষ দশকে (ইবাদত-
বন্দেগীতে) যে পরিমাণ পরিশ্রম করতেন অন্য কখনো
করতেন না।’ (মুসলিম)
ক্বদর রাতে করণীয় : ক্বদর রাতের মর্যাদা লাভের
উদ্দেশ্যে নির্ধারিত ফরজ ও ওয়াজিবসমূহ পালন করতে হবে
এবং অন্যান্য সুন্নত, নফল ও মোস্তাহাব কাজ আদায় করতে
হবে।
এর মধ্যে মাগরিব ও এশার নামাজ জামায়াতে আদায় করতে
হবে এবং তারাবি, বিতর, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তওবা
এস্তগফার ও দোয়া করতে হবে। রাব্বুল আলামিনে কাছে
কান্নাকাটি করতে হবে এবং পূর্ণ এখলাস ও আন্তরিকতার
সঙ্গে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে
ইবাদত করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল
(সা.) বলেছেন- ‘যে রমজানে এশার নামাজ জামাআত
সহকারে আদায় করে ও সে ক্বদরের রাতের ফজিলত লাভ
করে। অপর এক হাদিসে এসেছে, আবু হোরায়রা (রা.)
থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন- রমজানে এমন এক
রাত আছে যার ইবাদত হাজার মাসের এবাদত অপেক্ষা উত্তম।
যে এইর রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সে
অবশ্য বঞ্চিতের কাতারে আছে।’ (নাসাঈ ও মুসনাদ)
ক্বদরের রাতে কি দোয়া পড়া উচিত এ মর্মে হযরত
আয়েশা (রা.)-এর এক প্রশ্নের জবাবে রাসূলে করিম (সা.)
বলেছেন, এই দোয়া পড়- ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল,
ক্ষমাকে পছন্দ কর। সুতরাং আমাকে ক্ষমা ও মাফ করে দাও ‘
ক্বদরের রাত নির্ধারণ : এ রাত হবে রমজানের শেষ
দশকের বেজোড় রাতে। এ সম্পর্কে হযরত আয়েশা
(রাSmile হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর।’
আমাদের দেশে সাধারণত: মানুষ শুধু রমজানের ২৭ তারিখে
রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করে এবং ধারণা করে এ
রাতেই শবে কদর অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ ধারণা, সুন্নতের
সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ, আয়েশা (রাSmile-এর উক্ত বর্ণনা
অনুযায়ী শেষ দশকের বেজোড় রাতে তা তালাশ
করতে বরা হয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা (রাSmile হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন-
স্বপ্নে আমাকে লাইলাতুল ক্বদর দেখানো হল। কিন্তু
আমার এক স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়ায়
আমি তা ভুলে গিয়েছি।
অতএব, তোমরা তা রামাযানের শেষ দশকে অনুসন্ধান কর।’
কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, দু ব্যক্তির বিবাদের
কারণে রাসূল (সা.) তা ভুলে গেছেন।
কোনো কোনো বর্ণনায় রমজানের শেষ সাত দিনের
বেজড় রাতে শবে ক্বদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে
উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- হযরত ইবনে উমর (রাSmile
হতে বর্ণিত যে, কয়েকজন সাহাবি স্বপ্নযোগে
রমজানের শেষ সাত রাতে শবে কদর হতে
দেখেছেন। সাহাবিদের এ স্বপ্নের কথা জানতে পেরে
নবী করিম (সা.) বলেন- ‘আমি দেখছি তোমাদের
স্বপ্নগুলো মিলে যাচ্ছে শেষ সাত রাতে। অতএব কেউ
চাইলে শেষ সাত রাতে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করতে
পারে।’ (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
কোন কোন সালাফে-সালেহীন ২৭ রাত শবে কদর
হওয়ার অধিক সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেছেন।
সাহাবিদের মধ্যে ইবনে আব্বাস (রাSmile, মুআবিয়া, উবাই ইবনে
কা’ব (রাSmile-এর মতামত থেকে এটাই বোঝা যায়।
কিন্তু রাসূল (সা.) থেকে এভাবে নির্দিষ্টকরে লাইলাতুল
ক্বদর হওয়ার কোনো দলিল বা হাদিস নাই। তাই উপরোক্ত
সাহাবিদের কথার ওপর ভিত্তি করে বড় জোর ২৭ রাতে শবে
ক্বদর হওয়াকে অধিক সম্ভাবনাময় বলা যেতে পারে।
নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। সঠিক কথা হলো- শবে ক্বদর
কখনো ২১, কখনো ২৩, কখনো ২৫, কখনো ২৭ আবার
কখনো ২৯ রাতে হতে পারে।
সুতরাং শুধু ২৭ তারিখ নয় বরং কোন ব্যক্তি যদি রামজানের শেষ
দশকের উপরোক্ত পাঁচটি রাত জাগ্রত হয়ে ইবাদত-
বন্দেগী করে তবে নিশ্চিতভাবে শবে কদর পাবে।
কিন্তু শুধু সাতাইশ রাত জাগলে শবে কদর পাবে তার কোন
নিশ্চয়তা নাই। বরং অন্যান্য রাত বাদ দিয়ে শুধু সাতাইশ রাত উদযাপন
করা ঠিক নয়। রাব্বুল আলামিন আমাদের সঠিকভাবে ক্বদরের
রাত অনুসন্ধান ও ইবাদত-বন্দেগী করে নাজাত লাভের
তাওফিক দান করুন।
-আমিন।
Hasan
Reply


Possibly Related Threads…
Thread Author Replies Views Last Post
  অনেক আঁধার পেরিয়ে লেখক : মুহাম্মাদ জাভেদ কায়সার (রহ) mirahasan 0 5,736 01-18-2020, 07:23 PM
Last Post: mirahasan
  অজু নিয়ে কিছু হাদিস mirahasan 0 1,523 01-18-2020, 07:21 PM
Last Post: mirahasan
  [ইসলামিক]  আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে কান্নাকাটি করা যাবে কি? Hasan 0 1,805 11-14-2018, 04:20 PM
Last Post: Hasan
  নিজের মৃত্যুর জন্য কি দোয়া করা যাবে? Hasan 0 1,876 11-21-2017, 12:26 PM
Last Post: Hasan
  প্রতিষ্ঠানের কর্তা অমুসলিম হলে কি সালাম দেওয়া যাবে? Hasan 0 1,815 11-21-2017, 12:23 PM
Last Post: Hasan
  স্বামী খুশি হয়ে স্ত্রীর নামে জমি লিখে দিতে পারবে কি? Hasan 0 2,258 11-21-2017, 12:23 PM
Last Post: Hasan
  আকিকার মাংসের কোনো বণ্টন পদ্ধতি কি আছে? Hasan 0 1,768 11-21-2017, 12:23 PM
Last Post: Hasan
  পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে আগামী ২ ডিসেম্বর Hasan 0 1,841 11-21-2017, 12:22 PM
Last Post: Hasan
  দাওয়াহ এর ফজিলত bdyousufctg 0 2,497 11-05-2017, 12:04 AM
Last Post: bdyousufctg
  [ইসলামিক]  দেবরের সামনে কি পর্দা করতে হবে ? Hasan 0 2,138 07-10-2017, 01:38 AM
Last Post: Hasan

Forum Jump:


Users browsing this thread: 1 Guest(s)