01-15-2017, 08:05 PM
অপরিষ্কার ও ভঙ্গুর নখ দেখতে খারাপ লাগে এবং এটি ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বাসা বাঁধতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পরিচর্চা করা প্রয়োজন।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় নখ সুস্থ ও সুন্দর রাখার দশটি উপায় সম্পর্কে।
টমেটো খান: টমেটো ভিটামিন এ ও সি’র ভালো উৎস। যা বি-সেভেন’য়ের মতো প্রাকৃতিকভাবেই নখকে শক্ত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটোর রস অথবা কয়েক টুকরা টমেটো সালাদ ও স্যান্ডউইচে দিয়ে খেতে পারেন। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় টমেটো যোগ করলে নখ সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ছত্রাক থেকে মুক্তি পেতে: নখে যদি ছত্রাকজনিত সমস্যা থেকে থাকে, তা থেকে মুক্তি পেতে টি-ট্রি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব শক্তিশালী অ্যান্টিসেপ্টিক যা নখের ছত্রাকের সংক্রমণ কমায়। নখের বিবর্ণ অংশে প্রতিদিন দুয়েক ফোঁটা করে এই তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গোসলের পরে এটি ব্যবহার করা বেশ ফলপ্রসু কেননা তখন ত্বক বেশি নরম থাকে। চাইলে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন এটি নখের আর্দ্রতা শোষণ করে ছত্রাক থেকে মুক্তি দেয়। কখনও নখের কিউটিকল কেটে ফেলা ঠিক নয়, এতে করে নখের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। নখের কিউটিক্ল কেটে ফেলার ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়।
নারিকেল তেলের ব্যবহার: নখ শক্ত করার একটি সহজ উপায় হল নারিকেল তেল মালিশ করা। প্রতিদিন নারিকেল তেল নখে মালিশ করার মাধ্যমে নখের ত্বক ও কিউটিকল সুস্থ থাকে।
আর্দ্রতা রক্ষা: শক্ত ও ভঙ্গুর নখ যাদের তারা নখে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ঘন যে কোনো ক্রিম লাগালে উপকার পাবেন। এটি নখের ভেতরে ও চারপাশের আর্দ্রতা ধরে রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে এই কাজ করতে চাইলে, সুতির তৈরি হাত মোজা ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের কাজ করার সময় ও থালা-বাসন ধোয়ার সময় পানি রোধক গ্লাভস ব্যবহার করা ভালো। নেইল পলিশের রিমোভারে এসিটোন ও ফর্মাল্ডিহাইড থাকে যা নখকে শুষ্ক করে দেয়। তাই এটি ব্যবহার না করাই ভালো। তাই নেইল পলিশ ওঠাতে চাইলে শক্ত কিছু দিয়ে ঘষে উঠাতে পারেন, এতে সময় বেশি লাগলেও নখের ক্ষতি হবে না।
লেবুর রস ব্যবহার করা: লেবুতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং যা নখকে কেবল উজ্জ্বল করে না পাশাপাশি এটি ধুলাবালি, দূষণ ও রাসায়নিক উপাদানের জন্য হওয়া দাগ অপসারণে সাহায্য করে। তাই সুস্থ ও উজ্জ্বল নখ পেতে লেবুর রসে হাত কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এতে খানিকটা ভিনিগার ও গরম পানি মিশিয়ে ব্রাশের সাহয্যে নখ ঘষে পরিষ্কার করে নিন। কিছুক্ষণ পরে গরম পানি দিয়ে তার ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
বাফার ব্যবহার করা: নখে মসৃণভাব ফুটিয়ে তুলতে নখ ঘষতে বাফার ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুব বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়, এতে করে নখ দুর্বল হয়ে যায়।
ঠিকভাবে নখ ঘষা: নখ কাটার পর তা আগেপিছে ঘষে মসৃণ করা ঠিক নয়। যে কোনো একদিকে বা একমুখী ভাবে নখ ঘষা উচিত। গোসলের পরে নখ কাটা ঠিক নয় কারণ তখন নখের ত্বক নরম থাকে ফলে এটি খুব সহজে ভেঙে যায়।
নকল নখ ব্যবহার না করা: নখ নরম, দুর্বল বা ভঙ্গুর হলে অনেকে নকল নখ ব্যবহার করেন। এতে দেখতে ভালো লাগলেও তা নখের জন্য ক্ষতিকর। নখের ছত্রাকজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নকল নখ না লাগানোই ভালো। নকল নখ আঠার সাহায্যে আসল নখের উপর লাগানো হয়, এই ফাঁকা স্থান ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ভালো জায়গা।
অধিকাংশ মহিলাদের নখে ছত্রাক হওয়ার অন্যতম কারণ নকল নখ ব্যবহার করা। যাদের নখ নরম ও দুর্বল তাদের জন্য নেইল আর্ট মোটেও ভালো নয়। নেইল আর্ট করতে নখ শক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
নখের যত্ন করুন: অযথা দাঁত দিয়ে নখ কাটা, নখ নিয়ে খোঁচাখুঁচি করা বা ভেঙে যাওয়া নখ টানাটানি করা ঠিক নয়, এতে নখে ব্যথার সৃষ্টি হয়। নখ সুস্থ রাখতে নখের যথাযথ যত্ন নেওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় নখ সুস্থ ও সুন্দর রাখার দশটি উপায় সম্পর্কে।
টমেটো খান: টমেটো ভিটামিন এ ও সি’র ভালো উৎস। যা বি-সেভেন’য়ের মতো প্রাকৃতিকভাবেই নখকে শক্ত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটোর রস অথবা কয়েক টুকরা টমেটো সালাদ ও স্যান্ডউইচে দিয়ে খেতে পারেন। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় টমেটো যোগ করলে নখ সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ছত্রাক থেকে মুক্তি পেতে: নখে যদি ছত্রাকজনিত সমস্যা থেকে থাকে, তা থেকে মুক্তি পেতে টি-ট্রি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব শক্তিশালী অ্যান্টিসেপ্টিক যা নখের ছত্রাকের সংক্রমণ কমায়। নখের বিবর্ণ অংশে প্রতিদিন দুয়েক ফোঁটা করে এই তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গোসলের পরে এটি ব্যবহার করা বেশ ফলপ্রসু কেননা তখন ত্বক বেশি নরম থাকে। চাইলে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন এটি নখের আর্দ্রতা শোষণ করে ছত্রাক থেকে মুক্তি দেয়। কখনও নখের কিউটিকল কেটে ফেলা ঠিক নয়, এতে করে নখের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। নখের কিউটিক্ল কেটে ফেলার ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়।
নারিকেল তেলের ব্যবহার: নখ শক্ত করার একটি সহজ উপায় হল নারিকেল তেল মালিশ করা। প্রতিদিন নারিকেল তেল নখে মালিশ করার মাধ্যমে নখের ত্বক ও কিউটিকল সুস্থ থাকে।
আর্দ্রতা রক্ষা: শক্ত ও ভঙ্গুর নখ যাদের তারা নখে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ঘন যে কোনো ক্রিম লাগালে উপকার পাবেন। এটি নখের ভেতরে ও চারপাশের আর্দ্রতা ধরে রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে এই কাজ করতে চাইলে, সুতির তৈরি হাত মোজা ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের কাজ করার সময় ও থালা-বাসন ধোয়ার সময় পানি রোধক গ্লাভস ব্যবহার করা ভালো। নেইল পলিশের রিমোভারে এসিটোন ও ফর্মাল্ডিহাইড থাকে যা নখকে শুষ্ক করে দেয়। তাই এটি ব্যবহার না করাই ভালো। তাই নেইল পলিশ ওঠাতে চাইলে শক্ত কিছু দিয়ে ঘষে উঠাতে পারেন, এতে সময় বেশি লাগলেও নখের ক্ষতি হবে না।
লেবুর রস ব্যবহার করা: লেবুতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং যা নখকে কেবল উজ্জ্বল করে না পাশাপাশি এটি ধুলাবালি, দূষণ ও রাসায়নিক উপাদানের জন্য হওয়া দাগ অপসারণে সাহায্য করে। তাই সুস্থ ও উজ্জ্বল নখ পেতে লেবুর রসে হাত কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এতে খানিকটা ভিনিগার ও গরম পানি মিশিয়ে ব্রাশের সাহয্যে নখ ঘষে পরিষ্কার করে নিন। কিছুক্ষণ পরে গরম পানি দিয়ে তার ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
বাফার ব্যবহার করা: নখে মসৃণভাব ফুটিয়ে তুলতে নখ ঘষতে বাফার ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুব বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়, এতে করে নখ দুর্বল হয়ে যায়।
ঠিকভাবে নখ ঘষা: নখ কাটার পর তা আগেপিছে ঘষে মসৃণ করা ঠিক নয়। যে কোনো একদিকে বা একমুখী ভাবে নখ ঘষা উচিত। গোসলের পরে নখ কাটা ঠিক নয় কারণ তখন নখের ত্বক নরম থাকে ফলে এটি খুব সহজে ভেঙে যায়।
নকল নখ ব্যবহার না করা: নখ নরম, দুর্বল বা ভঙ্গুর হলে অনেকে নকল নখ ব্যবহার করেন। এতে দেখতে ভালো লাগলেও তা নখের জন্য ক্ষতিকর। নখের ছত্রাকজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নকল নখ না লাগানোই ভালো। নকল নখ আঠার সাহায্যে আসল নখের উপর লাগানো হয়, এই ফাঁকা স্থান ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ভালো জায়গা।
অধিকাংশ মহিলাদের নখে ছত্রাক হওয়ার অন্যতম কারণ নকল নখ ব্যবহার করা। যাদের নখ নরম ও দুর্বল তাদের জন্য নেইল আর্ট মোটেও ভালো নয়। নেইল আর্ট করতে নখ শক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
নখের যত্ন করুন: অযথা দাঁত দিয়ে নখ কাটা, নখ নিয়ে খোঁচাখুঁচি করা বা ভেঙে যাওয়া নখ টানাটানি করা ঠিক নয়, এতে নখে ব্যথার সৃষ্টি হয়। নখ সুস্থ রাখতে নখের যথাযথ যত্ন নেওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।
Hasan