Thread Rating:
  • 0 Vote(s) - 0 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

যে স্ত্রীরোগ মেয়েদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়!

Googleplus Pint
#1
স্ত্রীরোগগুলি মহিলাদের কাছে যেমন বেদনার, তেমনই অস্বস্তিদায়ক। বিশেষ করে যাঁরা কর্মরত। তেমনই একটি রোগ শ্বেতপ্রদর বা লিউকোরিয়া।কিশোরী বয়স থেকে শুরু করে বয়স্ক মহিলাদের এই রোগ দেখা দিতে পারে। গ্রামবাংলার আঞ্চলিক ভাষায় এর নামকরণ করা হয়।

এটি স্ত্রী-যোনি সংক্রান্ত একটি অস্বস্তিকর, যা সারতে বহু সময় লাগে। নানান কারণবশত অনেক সময় স্ত্রী-যোনি থেকে সাদা বর্ণের পাতলা বা গাঢ় স্রাব (হোয়াইট ডিসচার্জ) নিঃসৃত হওয়াকে লিউকোরিয়া বলা হয়। ঋতুমতী মহিলাদের ঋতুস্রাবের আগে বা পরে বেশি করে এই সাদাস্রাবের সমস্যা হয়। অনেকদিন ধরে ভুগলে উৎকট গন্ধ, যোনিতে চুলকানি ইত্যাদি নানারকম উপসর্গ দেখা যায়।

রোগটি কেন হয়?

১. মহিলাদের শরীরে নানারকম হরমোনের তারতম্যের ফলে মহিলাদের যোনিপথে কোনোরকম প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন হলে।

২. অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা রোগের কারণ।

৩. যোনিদ্বারে আঘাত বা ভাইরাল সংক্রমণ হলে চুলকানির ফলে হতে পারে।

৪. অজীর্ণ ও উদরাময়, রক্তশূন্যতা, অতিরিক্ত রজঃস্রাবের কারণে হতে পারে।

৫. লিউকোরিয়ার কারণ হতে পারে উৎকণ্ঠা, অনিদ্রা, মানসিক চাপও।

৬. জন্মনিয়ন্ত্রণে কপার টি ব্যবহার ও বিভিন্ন কৃত্রিম উপাদানে প্রস্তুত জেলির ব্যবহারে।

৭. জরায়ু বা গর্ভাশয়ের ক্যানসার, সংক্রমণ ইত্যাদির সঙ্গেও রোগটি জড়িত।

৮. সিফিলিস ও সাইকোসিস মিয়াজমের কারণে এই রোগ হতে পারে।

রোগ নির্ণয় কীভাবে হয়?

রোগনির্ণয়ে চিকিৎসকরা নানারকম পরীক্ষার উপর নির্ভর করেন।

প্রথমত, রোগীর সম্পূর্ণ শারীরিক অবস্থা খুঁটিয়ে দেখা হয়। কোনও রোগের সহযোগী অবস্থা হিসেবে এই রোগ হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, বাহ্যিকভাবে পরীক্ষা, মানে চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি ডায়াগনোসিস করে থাকেন।

তৃতীয়ত, ডিসচার্জ কালচার বা প্রয়োজনে বায়োপসি করাতে হবে।

চতুর্থত, প্রয়োজনে করাতে হবে বিশেষ কিছু রক্তপরীক্ষা ও ইউরিন কালচার।

চিকিৎসা

১. সর্বপ্রথম যে-কারণে এই রোগ হয়েছে তা নির্মূল করতে হবে। মূল কারণটির চিকিৎসা হলে অনেক সময় লিউকোরিয়া সেরে যায়।

২. রোগীর জীবযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।

৩. জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করা অনুচিত।

৪. একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সহবাস চলবে না।

৫. রোগীকে মানসিভাবে সাপোর্ট দিতে হবে।

অবশ্যম্ভাবী ফল

এই রোগের পরবর্তী ফল মারাত্মক নয়। তবে শীর্ণতা, ক্লান্তি, অতির্কিত দুর্বলতা হতে পারে রোগটি দীর্ঘদিন চললে। তবে ম্যালিগন্যান্ট থাকলে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা করাতে হবে।

সম্পাদনায়: জাহিদ হাসান
Hasan
Reply


Possibly Related Threads…
Thread Author Replies Views Last Post
  হাত-পা ঘামায় কেন? Hasan 0 1,231 02-21-2022, 11:26 PM
Last Post: Hasan
  [স্বাস্থ্যগত] SURFACE WATER কি নিরাপদ? ultimabangladesh 0 1,497 02-06-2020, 02:10 PM
Last Post: ultimabangladesh
  শতভাগ নিরাপদ ও মিনারেল-এ্যালকালীন সমৃদ্ধ পানির নিশ্চয়তায়- ULTIMA RO Water Purifier ultimabangladesh 0 1,483 01-05-2020, 12:02 PM
Last Post: ultimabangladesh
  একজিমা হলে কি করবেন Hasan 0 1,700 07-27-2019, 02:54 AM
Last Post: Hasan
  পেইনকিলার খাওয়ার ক্ষতিকর দিক Hasan 0 1,689 12-11-2017, 11:38 PM
Last Post: Hasan
  ছোঁয়াচে রোগ গনোরিয়া Hasan 0 1,776 12-11-2017, 11:37 PM
Last Post: Hasan
  ইয়োগা নাকি এক্সারসাইজ - কোনটা বেশি কার্যকরী? Hasan 0 1,813 08-29-2017, 04:26 PM
Last Post: Hasan
  বৃষ্টির মৌসুমে পায়ের সুস্থতা- জেনে নিন ডাক্তারের পরামর্শ Hasan 0 1,710 08-29-2017, 04:23 PM
Last Post: Hasan
  [হ্যাকিং] লাং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় খুব পরিচিত একটি ভিটামিন Hasan 0 1,730 08-29-2017, 04:23 PM
Last Post: Hasan
  [স্বাস্থ্যগত] দৈহিক ওজন ও সন্তান ধারণে সক্ষমতা কি সম্পর্কিত? Hasan 0 1,690 08-28-2017, 05:26 PM
Last Post: Hasan

Forum Jump:


Users browsing this thread: 1 Guest(s)