01-15-2017, 08:07 PM
আপনি যতই সচেতন হন না কেনো, মেইক-আপের ভুল ত্রুটি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেইকআপের সাধারণ কিছু ভুল ত্রুটি সম্পর্কে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে খুব সহজেই মেইকআপের ভুল এড়ানো সম্ভব।
আইশ্যাডো ভালোভাবে না মিশানো: মেইকআপের সময় আইশ্যাডো ভালোভাবে না মেশানো একটি ভুল কাজ। আইশ্যাডো মেশানোর একটি ভালো কৌশল হল চোখের বাইরের কোণে অপেক্ষাকৃত গাঢ় রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করে চোখের পাতার দিকে হালকা রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করা। এতে চোখের চারপাশের কোনো রেখা বা ভাঁজ দেখা যাবে না।
সারা মুখের ব্রোঞ্জার ব্যবহার না করা: চেহারায় ঝলমলে ভাব আনতে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের আলো মুখের যে অংশে পড়ে যেমন- কপাল, চোখ ও গালের মাঝামাঝি উঁচু স্থানে, নাক ও কপালের আশপাশে ইত্যাদি স্থানে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করতে হয়। এই সকল নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা ঠিক নয়।
অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করা: তরল মেইকআপ ভালোভাবে মুখে বসাতে এবং উজ্জ্বলভাব ধরে রাখতে পাউডার সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহারে মুখে কালচেভাব দেখা দেয় ও পাউডার জমাট বেধে থাকে। এতে ত্বক ও মেইকআপ দুটোই বেমানান লাগে।
ভ্রু বেশি গাঢ় করা: ভ্রু সুন্দরভাবে আঁকলে চেহারার সৌন্দর্য এমনিই বেড়ে যায়। তাই বলে খুব বেশি গাঢ় করা ঠিক নয়, এতে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ভ্রু খুব বেশি গাঢ় করে আঁকলে তা দেখতে কৃত্তিম মনে হয় এবং অযথাই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই ভ্রুকে এমন ভাবে সাজানো উচিত যেন তা দেখতে প্রাকৃতিক মনে হয়।
অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহার: মুখ তাৎক্ষণিকভাবে উজ্জ্বল করতে ব্লাশ ব্যবহার করা হয়। তবে অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহার করলে দেখেতে জোকারের মতো লাগে। মেইকআপের সময় ঠিক শেইডের ব্লাশ মুখের ঠিক অংশে লাগাতে হবে এবং তা ভালোভাবে মেশাতে হবে। ব্লাশ ব্যবহারে কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন- ফর্সা ও উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রংয়ের অধিকারীরা গোলাপি এবং পিচ রংয়ের ব্লাশ এবং শ্যামলা গায়ের রংয়ের অধিকারীরা কোরাল, কমলা, বেরি এবং গাঢ় ব্রোঞ্জ রংয়ের ব্লাশ ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগে।
মাশকারা ব্যবহারের আগে চোখের পাপড়ি বাঁকা করা: চোখের পাপড়ি বাঁকানোর মাধ্যমে চেহারায় আমুল পরিবর্তন আনা সম্ভব। বাঁকানো চোখের পাপড়ি দেখতে বেশ আবেদনময় ও দৃঢ় লাগে। চোখের পাপড়ি বাঁকা করতে চাইলে তা মাশকারা ও আইলাইনার ব্যবহারের আগেই করা উচিত। মাশকারা বা আইলাইনার বা ব্যবহারের পরে পাপড়ি বাঁকানো হলে তা জট বাঁধতে বা ভেঙে যেতে পারে।
ভুল আলোতে মেইকআপ করা: ভুল আলোতে মেইকআপ করলে সমস্ত পরিশ্রমই বিফলে যেতে পারে। বেশি উজ্জ্বল আলোতে মেইকআপ করা হলে অতিরিক্ত ব্লাশ ও ব্রোঞ্জার ব্যবহারের এবং অপর্যাপ্ত পরিমাণের ফাউন্ডেশন ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলোতে মেইকআপ করা উচিত, এতে করে মেইকআপে ভুল-ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
মেয়াদোত্তীর্ণ মেইকআপ ব্যবহার করা: প্রতিটা মেইকআপের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে, ওই নির্দিষ্ট তারিখের পরে মেইকআপ ব্যবহার করা হলে তা থেকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। মেইকআপ থেকে যদি ওষুধের মতো গন্ধ পাওয়া যায় বা এটি যদি ত্বকে কোনো রকমের অস্বস্তি সৃষ্টি করে তাহলে যত দামী মেইকআপই হোক না কেনো তা আর ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা সব কিছুর আগে হল নিজের ভালো থাকা।
ছবি: রয়টার্স।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেইকআপের সাধারণ কিছু ভুল ত্রুটি সম্পর্কে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে খুব সহজেই মেইকআপের ভুল এড়ানো সম্ভব।
আইশ্যাডো ভালোভাবে না মিশানো: মেইকআপের সময় আইশ্যাডো ভালোভাবে না মেশানো একটি ভুল কাজ। আইশ্যাডো মেশানোর একটি ভালো কৌশল হল চোখের বাইরের কোণে অপেক্ষাকৃত গাঢ় রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করে চোখের পাতার দিকে হালকা রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করা। এতে চোখের চারপাশের কোনো রেখা বা ভাঁজ দেখা যাবে না।
সারা মুখের ব্রোঞ্জার ব্যবহার না করা: চেহারায় ঝলমলে ভাব আনতে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের আলো মুখের যে অংশে পড়ে যেমন- কপাল, চোখ ও গালের মাঝামাঝি উঁচু স্থানে, নাক ও কপালের আশপাশে ইত্যাদি স্থানে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করতে হয়। এই সকল নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা ঠিক নয়।
অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করা: তরল মেইকআপ ভালোভাবে মুখে বসাতে এবং উজ্জ্বলভাব ধরে রাখতে পাউডার সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহারে মুখে কালচেভাব দেখা দেয় ও পাউডার জমাট বেধে থাকে। এতে ত্বক ও মেইকআপ দুটোই বেমানান লাগে।
ভ্রু বেশি গাঢ় করা: ভ্রু সুন্দরভাবে আঁকলে চেহারার সৌন্দর্য এমনিই বেড়ে যায়। তাই বলে খুব বেশি গাঢ় করা ঠিক নয়, এতে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ভ্রু খুব বেশি গাঢ় করে আঁকলে তা দেখতে কৃত্তিম মনে হয় এবং অযথাই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই ভ্রুকে এমন ভাবে সাজানো উচিত যেন তা দেখতে প্রাকৃতিক মনে হয়।
অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহার: মুখ তাৎক্ষণিকভাবে উজ্জ্বল করতে ব্লাশ ব্যবহার করা হয়। তবে অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহার করলে দেখেতে জোকারের মতো লাগে। মেইকআপের সময় ঠিক শেইডের ব্লাশ মুখের ঠিক অংশে লাগাতে হবে এবং তা ভালোভাবে মেশাতে হবে। ব্লাশ ব্যবহারে কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন- ফর্সা ও উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রংয়ের অধিকারীরা গোলাপি এবং পিচ রংয়ের ব্লাশ এবং শ্যামলা গায়ের রংয়ের অধিকারীরা কোরাল, কমলা, বেরি এবং গাঢ় ব্রোঞ্জ রংয়ের ব্লাশ ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগে।
মাশকারা ব্যবহারের আগে চোখের পাপড়ি বাঁকা করা: চোখের পাপড়ি বাঁকানোর মাধ্যমে চেহারায় আমুল পরিবর্তন আনা সম্ভব। বাঁকানো চোখের পাপড়ি দেখতে বেশ আবেদনময় ও দৃঢ় লাগে। চোখের পাপড়ি বাঁকা করতে চাইলে তা মাশকারা ও আইলাইনার ব্যবহারের আগেই করা উচিত। মাশকারা বা আইলাইনার বা ব্যবহারের পরে পাপড়ি বাঁকানো হলে তা জট বাঁধতে বা ভেঙে যেতে পারে।
ভুল আলোতে মেইকআপ করা: ভুল আলোতে মেইকআপ করলে সমস্ত পরিশ্রমই বিফলে যেতে পারে। বেশি উজ্জ্বল আলোতে মেইকআপ করা হলে অতিরিক্ত ব্লাশ ও ব্রোঞ্জার ব্যবহারের এবং অপর্যাপ্ত পরিমাণের ফাউন্ডেশন ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলোতে মেইকআপ করা উচিত, এতে করে মেইকআপে ভুল-ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
মেয়াদোত্তীর্ণ মেইকআপ ব্যবহার করা: প্রতিটা মেইকআপের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে, ওই নির্দিষ্ট তারিখের পরে মেইকআপ ব্যবহার করা হলে তা থেকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। মেইকআপ থেকে যদি ওষুধের মতো গন্ধ পাওয়া যায় বা এটি যদি ত্বকে কোনো রকমের অস্বস্তি সৃষ্টি করে তাহলে যত দামী মেইকআপই হোক না কেনো তা আর ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা সব কিছুর আগে হল নিজের ভালো থাকা।
ছবি: রয়টার্স।
Hasan