01-22-2017, 11:20 PM
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইস্যুতে বিএনপি
যেসব দাবি করে আসছে তাতে বিন্দুমাত্র ছাড়
দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এমনকি বিএনপি যদি নতুন ইস্যু সামনে এনে
সরকার পতনের আন্দোলন করতে চায় তাতেও
মাথাব্যথা নেই পর পর দু’মেয়াদে সরকারে
থাকা দলটির।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের
নেতাদের দাবি, বিএনপি বিগত দুই বছর ধরে
আন্দোলন আন্দোলন করছে, কিন্তু তারা
নিজেরাই জানে না কবে আন্দোলন হবে। ইসি
গঠন নিয়ে তারা যদি আন্দোলনের নামে
নাশকতা বা সহিংসতার দিকে যায়, তবে সেটা
দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগ কোন দিনই
মেনে নিবে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসি নিয়ে বিএনপি
যেসব দাবি করছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। এটা
দলটি ভালো করেই জানে, আর এই ইস্যুকে
কাজে লাগিয়ে তারা আসলে ফায়দা লুঠতে
চাইছে। বিএনপি নেত্রী সব দলের মতৈক্যের
ভিত্তিতে ইসি গঠনের দাবি নিয়ে যে রূপরেখা
দিয়েছেন তা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ রাষ্ট্রপতি
ইসি গঠনের জন্য যদি ‘সার্চ কমিটি’ করে এবং
সংবিধানের অধীনে ইসি ও সিইসি নিয়োগ
দেন সেটা কী মেনে নিতে পারবে বিএনপি?
তারা তো নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং
সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার
দাবি তুলছে, সেটাও কতখানি যুক্তিযুক্ত।
আওয়ামী লীগের দফতরের সঙ্গে যুক্ত এক
ব্যক্তি বলেছেন, যদি সব দলের মতের
ভিত্তিতে নির্বাচনী আইন তৈরি হয় তাতে
আওয়ামী লীগের কোন সমস্যা নেই। কারণ
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ
নির্বাচন হোক। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের
মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনও সারাদেশের
মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হোক এটাই
প্রত্যাশা সরকারের।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের
সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা বরাবরের
মতো একটা কথাই বলছেন- আমরাও চাই বিএনপি
আন্দোলন করুক। আন্দোলন, আন্দোলন বলে
চিৎকার করলেই সেটা হয়ে যায় না। আন্দোলন
করতে হলে মাঠে নামতে হয়। বিএনপি’র
নেতারা তো রুমে বসেই আন্দোলনের ঘোষণা
দেন, আন্দোলন হবে কী করে? তারা ইসি ইস্যুতে
ধুয়ো তুলে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে
আসছে, তাতে কোন কাজ হবে না। দেশের
জনগণ আর ভুল বুঝতে চায় না কিংবা তাদের ভুল
বোঝানো এখন আর এতো সহজ হবে না।
জানা গেছে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা
জিয়া ইসি নিয়ে যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা
কার্যত হাস্যকর হিসেবে আওয়ামী লীগের
ভিতরে ও বাইরে পরিগণিত হচ্ছে। দলটির
নেতারা বলছেন, ইসি গঠন নিয়ে বিএনপি যা
চাইছে সেটা তো আবদারের মতো। তারা
চাইলেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি দলটির দাবি
মেনে নিবে- এটা চিন্তা করা আর বোকার
স্বর্গে বাস করা একই বিষয়।
ইসি ইস্যুতে বিএনপি’র আন্দোলনের হুমকি
পরোয়া করছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,
“আন্দোলন হলে ভালো। অনেকদিন মওদুদ
সাহেবকে রাজপথে দেখা যায় না। আগে তিনি
মাঠে নামুন “
বিএনপি’র আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে
মোকাবেলা করারও ঘোষণা দিয়েছেন ওবায়দুল
কাদের। তিনি মনে বলছেন, এটাও ঘোষণা
দিয়েছেন, বিএনপি কার্যালয়ে এখন একদল
আরেকদলকে বলে সরকারের দালাল। তারা
আগে নিজেরা এক হোক। কমিটির ৫৯৬ জন আগে
মাঠে নামুক।
ইসি নিয়ে খালেদা জিয়ার রূপরেখা প্রসঙ্গে
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,
সংবিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে
সিদ্ধান্ত দিবেন, তা মেনে নিবে আওয়ামী
লীগ। এখন তারা (বিএনপি) কী করবে সেটা
নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই।”
যেসব দাবি করে আসছে তাতে বিন্দুমাত্র ছাড়
দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এমনকি বিএনপি যদি নতুন ইস্যু সামনে এনে
সরকার পতনের আন্দোলন করতে চায় তাতেও
মাথাব্যথা নেই পর পর দু’মেয়াদে সরকারে
থাকা দলটির।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের
নেতাদের দাবি, বিএনপি বিগত দুই বছর ধরে
আন্দোলন আন্দোলন করছে, কিন্তু তারা
নিজেরাই জানে না কবে আন্দোলন হবে। ইসি
গঠন নিয়ে তারা যদি আন্দোলনের নামে
নাশকতা বা সহিংসতার দিকে যায়, তবে সেটা
দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগ কোন দিনই
মেনে নিবে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসি নিয়ে বিএনপি
যেসব দাবি করছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। এটা
দলটি ভালো করেই জানে, আর এই ইস্যুকে
কাজে লাগিয়ে তারা আসলে ফায়দা লুঠতে
চাইছে। বিএনপি নেত্রী সব দলের মতৈক্যের
ভিত্তিতে ইসি গঠনের দাবি নিয়ে যে রূপরেখা
দিয়েছেন তা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ রাষ্ট্রপতি
ইসি গঠনের জন্য যদি ‘সার্চ কমিটি’ করে এবং
সংবিধানের অধীনে ইসি ও সিইসি নিয়োগ
দেন সেটা কী মেনে নিতে পারবে বিএনপি?
তারা তো নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং
সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার
দাবি তুলছে, সেটাও কতখানি যুক্তিযুক্ত।
আওয়ামী লীগের দফতরের সঙ্গে যুক্ত এক
ব্যক্তি বলেছেন, যদি সব দলের মতের
ভিত্তিতে নির্বাচনী আইন তৈরি হয় তাতে
আওয়ামী লীগের কোন সমস্যা নেই। কারণ
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ
নির্বাচন হোক। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের
মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনও সারাদেশের
মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হোক এটাই
প্রত্যাশা সরকারের।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের
সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা বরাবরের
মতো একটা কথাই বলছেন- আমরাও চাই বিএনপি
আন্দোলন করুক। আন্দোলন, আন্দোলন বলে
চিৎকার করলেই সেটা হয়ে যায় না। আন্দোলন
করতে হলে মাঠে নামতে হয়। বিএনপি’র
নেতারা তো রুমে বসেই আন্দোলনের ঘোষণা
দেন, আন্দোলন হবে কী করে? তারা ইসি ইস্যুতে
ধুয়ো তুলে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে
আসছে, তাতে কোন কাজ হবে না। দেশের
জনগণ আর ভুল বুঝতে চায় না কিংবা তাদের ভুল
বোঝানো এখন আর এতো সহজ হবে না।
জানা গেছে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা
জিয়া ইসি নিয়ে যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা
কার্যত হাস্যকর হিসেবে আওয়ামী লীগের
ভিতরে ও বাইরে পরিগণিত হচ্ছে। দলটির
নেতারা বলছেন, ইসি গঠন নিয়ে বিএনপি যা
চাইছে সেটা তো আবদারের মতো। তারা
চাইলেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি দলটির দাবি
মেনে নিবে- এটা চিন্তা করা আর বোকার
স্বর্গে বাস করা একই বিষয়।
ইসি ইস্যুতে বিএনপি’র আন্দোলনের হুমকি
পরোয়া করছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,
“আন্দোলন হলে ভালো। অনেকদিন মওদুদ
সাহেবকে রাজপথে দেখা যায় না। আগে তিনি
মাঠে নামুন “
বিএনপি’র আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে
মোকাবেলা করারও ঘোষণা দিয়েছেন ওবায়দুল
কাদের। তিনি মনে বলছেন, এটাও ঘোষণা
দিয়েছেন, বিএনপি কার্যালয়ে এখন একদল
আরেকদলকে বলে সরকারের দালাল। তারা
আগে নিজেরা এক হোক। কমিটির ৫৯৬ জন আগে
মাঠে নামুক।
ইসি নিয়ে খালেদা জিয়ার রূপরেখা প্রসঙ্গে
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,
সংবিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে
সিদ্ধান্ত দিবেন, তা মেনে নিবে আওয়ামী
লীগ। এখন তারা (বিএনপি) কী করবে সেটা
নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই।”
Hasan