01-23-2017, 11:03 AM
সকালে ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ অনুভব করলাম কেউ একজন
আমার হাতে আজ্ঞুলে কামড় দিল,,,ব্যাথায় চিৎকার
দিলাম আর সাথে সাথে আমার কানের কাছে এফএম
৮৮.৮ বাজা শুরু হল একে তো ঘুম এর ঘোর তারপর কামড়
তারপর সকাল সকাল এই রেডিও,,, উফফফ আল্লাহ
শান্তিতে একটু ঘুমাতে ও দেবে না,,,,,
আপনারা হয়ত ভাবতেছেন রেডিও কে বাজাচ্ছে,,সে
হল আমার গুণবতি মেয়ে চাঁদনী ২ বছর বয়সে এত
ফাজিল হইছে যা বলার বাহিরে,,
সাথে সাথে ও আম্মু মানে আমার আদরের ফাজিল বউ
টারে ডাক দিলাম,,
জান্নাত,,, জান্নাত,, অহহ জান্নাত,,
---সকাল সকাল চিল্লাইতেছ কেন??
---চিল্লাব না তো কি করব তোমার মেয়ে আমারে
কামড় দিছে সকাল সকাল,
---এ দে নাই আমি বলছি তোমাকে উঠানোর জন্য আমি
ডাকলে তো উঠবে না তাই ওকে দিয়ে কাজটা করিয়ে
নিলাম,,,,আর দেখ তো সামান্য একটা কামড় এই তো এত
জোরে চিৎকার দেয়া লাগে দেখ তো তোমার
চিতকারে এ ভয় পেয়ে কান্না করতেছে,,,
---ও তার মানে সব তোমার বুদ্ধি ওকে সময় আমার ও
আসবে তখন দেখাব মজা,,
--- হইছে থাক যাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টা করে আমায়
উদ্ধার কর,,
যাচ্ছি যাচ্ছি,,,,
বাথরুমে ডুকলাম এখন ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের
আমার পরিচয় টা বলি,,,
,,,
,,
আমি ফারুক নিজের ব্যবসা করি,,,আমার বউ জান্নাত,,,
একসময় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল,,আর এখন বউ,,,ওর
সাথে আমার বিয়ে টা হবে সেটা আমি কল্পনাও করি
নাই,,,আমাদের ফ্রেন্ডশিফ টা ছিল ক্লাস নাইন
থেকে,,,,স্কুল এ আমাদের সবাই আমাদের খবু ভাল
করেই চিনত,,আমাদের ফ্রেন্ডশিপ এ একটা নিয়ম ছিল
আর সেটা হল আমাদের দুজন এরই অন্য কোন বন্ধু থাকতে
পারবে না,,,
খুব ভালোই চলতেছিল আমদের ঝগড়া,হাসি,অভিমা
ন,সব মিলে খুব ভাল,,,আসলে আমি অকে খুব ভালবাসি,,
ওকে বলে ছিলাম ও বলছিল যদি আমারা একে অন্যের
হয়ে থাকি তো আমি ওকে পাব,, এই বিষয় যেন অকে
কিছু না বলি,,,তারপর আমি ও কিছু বলি নাই,,,আর মনে
মনে ওর প্রতি আমার ভালবাসা দিন দিন বাড়তেছিল,,,
,,,
,,
,
আমার HSC পরিক্ষার পর আমাদের পরিবারে একটু
সমস্যা দেখা দিল যার কারনে আমি দেশ এর বাহিরে
যেতে হয় আমাই আসার দিন সব থেকে বেশি
কেদেছিল জান্নাত,,, আমাকে বলেছিল আমি তোর
আছি,,,,ছিলাম,,, থাকব,,,,
আর শুন প্রতিদিন আমার কাছে ফোন দিবি না হলে
কি হবে তুই ভাল করেই জানস,,,
এরপর আমদের নিয়মিতই যোগাযোগ হত প্রতিদিন ওর
সাথে কথা বলতাম একদিন ফোন দিতে দেরি হলে অ
নিজের ফোন দেয়া শুরু করত,,,আমি বুঝে গেছিলাম যে
ও আমায় ভালবাসে কিন্তু কোন এক অজানা কারনে
আমায় বলতেছে না,,,,,,
তখন ও অনার্স ২ বর্ষে আমি সবে কিছুটা টাকা
নিজের জন্য জমা করতেছি,,,
একদিন বিকালে জান্নাত আমায় বলল ওর ১৯ তারিখ
বিয়ে,,,কথা টা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম কিন্তু
আমার তখন কিছু করার ছিল না,,,ওর ইচ্ছা থাকা
সত্তেও আমি ওকে ফিরিয়ে দিছিলাম,,,,অই দিন এর
পর আর ওর সাথে কথা হয় নাই,,
১৯ তারিখ সকালে আমার ফোন এ ২৪ টা মিস কল আর
সব গুলাই জান্নাত দিছে,,,তারাতারি ফোন দিলাম ওর
আম্মু ধরছে আর কান্না করতেছে আমি জিজ্ঞাসা
করলাম,,,
--কি হইছে আন্টি কান্না করতেছেন কেন আজ না
জান্নাত এর বিয়ে,,
--সব শেষ হই গেছে জান্নাত এর হবু বর অন্য একটা
মেয়ে নিয়ে পালিয়েছে এখন জান্নাত এর কি হবে,,,,
---বলেন কি,,,
---হা বাবা এখন তুই বল কি করি??
কথা টা শুনে আমার খুশি হওয়া উচিত নাকি কি করা
উচিৎ জানি না তবে এটা জানি আমার হাতে একটা
বড় সুযোগ এসেছে,আমি তখন বললাম
---আন্টি জান্নাত কে আমি বিয়ে করলে আপনাদের
কোন আপত্তি আছে?
---আন্টি অনেক টা খুশি হয়ে বল্ল তুই করবি বাবা??
-- হুম,,
তার পর ফোন এ আমাদের অই দিন বিয়ে হয় আমার
পরিবারের সম্মতিতে,,,,
দরজায় কারো কিলের আওয়াজ শুনে আমার ধ্যান
ভাঙল দরজা খুলে দেখি জান্নাত আমার দিকে তার
হাসের ডিমের মত চোখ গুলা দিয়া তাকাই আছে,,,
আমি বললাম,,
---কি হইছে???শান্তিতে ব্রাশ টা তো করতে দাও,,,,
---অই কুত্তা ব্রাশ করতে ৩০ মিন লাগে,,,,কখন থেকে
ডাকতেছি কথা কানে যায় না??
---আর এ আমি তো ভাবতেছিলাম,,,
-মানে কি ভাবতেছিলা
--কিছু না তুমি এটা কি গায়ে দিছ??
--কেন শার্ট,,
--কার??
--কেন তোমার,,কোন সমস্যা??
--তোমারে আমি কত বার না করছি আমার শার্ট না
গায়ে দিতে??
*-তুমি মানা করলেই যে শুনতে হবে এমন তো কোন
নিয়ম নাই,,, আমার যা ইচ্ছা গায়ে দিব ইচ্চা হলে
লুঙ্গী পড়ব কি করতে পারলে কর,,,হুহহ তাড়াতাড়ি
নাস্তা করতে আস,,,
---ওকে যাও আসতেছি
--- তাড়াতাড়ি আস,,,
---আর এ যাও আসতেছি,,,রেগে বললাম
এরপর নাস্তা করে সবে যে মাএ সকালের মিষ্টি টা
খেতে যাব তখন এই সামনে বাধা,,,
এটা কি হল??
---কোনটা??
---বাধা দিলা কেন??
--আজ পাবা না
-*কেন?
---একটু আগে আমকে ধমক দিছ তাই!!!
--আচ্ছা সরি প্লিজ দাও না আজ না পাইলে আমার
সারা দিন কাজে মন বসবে না
---আহারেরর ডং কত,,, ওকে কিন্তু ২০ সেকেন্ড এর
বেশি না,,,
--ওকে জানু,,,,লাভ ইউ বলে যেই কিস করতে যাব তখন
আমার আদরের মেয়ে চাঁদিনী আসে হাত তালি দিতে
থাকে আর ওই দিকে ম্যাডাম লজ্জায় আমার সামনে
থেকে হাওয়া,,,
ইচ্ছা করতেছে নিজের গালে নিজে থাপ্পর দিতে,,,
যাই হোক মন খারাপ নিয়ে কাজে আসলাম দোকানে
আসি বসে আছি,,,এমন সময় জান্নাত এর ফোন,,,
---হা ময়না পাখি বল,,
--কি কর?
--- নাচিতেছি
---নাচ আর যাই কর ৬টার আগে বাসায় আসবা আজ
আমার বন্ধু পনির বাড়িতে যেতে হবে আগের ৬ বার
তো যাও নাই এই বার ও যদি না যাও তো সেটা কিন্তু
খুবই খারাপ হবে,,,
--ওকে ম্যাডাম আপনার কথা কি ফেলতে পারি,,
---হইছে থাক আমার জানা আছে,,বাই আমার রান্না
করতে হবে,
--আচ্ছা তোমার ফ্রেন্ড কি জানে যে আমরা যাব??
---না জানে না বলি নাই,,, কারন ওরে সারপ্রাইজ দিব,,
---ওহহ আচ্ছা
--তাড়াতাড়ি চলে আসবা কিন্তু
--ওকে
পনি হল ওর বেস্ট ফ্রেন্ড খুনি ভাল বন্ধু ওরা তবে
ওনাকে আমি কখনওই দেখি নাই অথবা দেখার সুযোগ
হয় নাই,,যত বার এই ওনার বাসায় যাওয়ার কথা হইছে
তত বারই আমার কোন না কোন সমস্যা হইছে যার
কারনে যাওয়া হয় নাই,,তাই ম্যাডাম আজ শেষবার এর
মত মনে করাই দিল,,,
বিকাল ৫ টায় কাজ শেষ করে বাসায় যাইতেছি কিছু
টা পথ আসার পর হঠাৎ কোথা থেকে একটা মেয়ে
আমার বাইকের সামনে চলে আসল কিছু বুঝে উঠার
আগেই আমি বাইক থেকে পড়ে ওওনেক টা দূরে চলে
গেলাম উঠে মেয়েটা কে দেখলাম মাথা টা অনেক
খানি ফেটে গেছে আমার তেমন কিছুই হয় নাই,
মেয়ে টা কে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে
ভর্তি করলাম ওর থেকে নাম্বার নিয়ে ওর বাবা মা
কে ফোন দিলাম,,,, ওনাদের সাথে কথা বলে
হাসপাতালের বিল দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হব এমন
সময় মনে পড়ল যে আমার তো আজ বাসায় তাড়াতাড়ি
যাওয়ার কথা ঘড়িতে দেখি ৭.৪৫ বাজে মনে মনে
ভাবলাম আজ বাসায় গেলে আমার ১২ টা বাজাবে,,
বাসায় গিয়ে আস্তে করে দরজা খুলে ঘরে ঢুকলাম
সামনে সব চুপচাপ আম্মা আব্বু আপুদের বাসায়,,,
রুম এ উকি মেরে দেখি চাঁদনী ঘুমাচ্ছে কিন্তু
জান্নাত কে দেখতে পেলাম না,,,পুরা ঘর ছাদ সব
জায়গায় দেখলাম কিন্তু নেই আবার রুম এ আসলাম
দেখি খাটের উপর বসা আমি বললাম
--কই ছিলা??
--ঘরে,,,
--দেখলাম না যে
---সব সময় দেখতে হবে এমন তো কোন কথা নেই??
---ওহহ,,চাঁদনী খাইছে?
--হা
--তুমি?
--সেটা আপনার না জানলেও চলবে"!
-- মানে কি?কথা ঠিক কর বল
--যে মানুষ ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে রিকশায়
ঘুরে বেড়ায় তা কাছে জবাব দিতে বাধ্য না,আর সে
যেন এর থেকে ভাল ভাবে কথা আশা না করে..
--মানে কি কোন মেয়ে কিসের মেয়ে কারে নিয়ে
রিক্সায় ঘুরছি,,
ও আমাদের নতুন কাজের ছেলেটা কে ডাকল আর বল্ল
রফিক বল ওনাকে কোন মেয়ে
--রফিক বল্ল,,,
ভাইয়া আজ তো আপনারে দেখলাম একটা আপার লগে
রিক্সায় বসে আছেন উনি আপনার কাধে মাথা দিয়া
রাখছে আর আপনি ওনার মাথায় হাত দিয়ে রাখছেন,,,
ওহহ এইবার বুঝলাম আমি অই মেয়েটার মাথা একটা
ছোট কাপড় দিয়ে ধরে আমার কাধে ধরে রাখছিলাম
যাতে রক্ত বন্ধ হয়,,আর বোকা রফিক উলটা কি ভাবছে
;;;;;;;
আমি রফিক কে ভিতরে যেতে বলে,,
জান্নাত কে সব বলি কিন্তু ও বিশ্বাস করতে চাইল
না,,ও বলল
---আমার ফ্রেন্ড এর বাসায় যাওয়ার সময় হয় না কিন্তু
প্রেমিকা নিয়ে ঘুরার ঠিক সময় আছে তাই না,,,আর
এখন যখন ধরা পড়ে গেছ তখন কাহিনী করতেছ??
--দেখ যা সত্যি তা আমি বলছি এরপর বিশ্বাস না হলে
আমার কিছু করার নাই,
---আমি কোন বিশ্বাসঘাতক,বেইমান এর কথা বিশ্বাস
করতে চাই না,,,,,
কথা শুনার পর মাথাই গরম হই গেল আমি ওকে একটা
থাপ্পড় মেরে টেনে রোড এ আসি একটা সিএনজি
নিয়ে সোজা হাসপাতাল এ নেমে ওই মেয়ে টা কে
যেখানে ভর্তি করাইছি ওইখানে জান্নাত কে দাড়
করাই ও শুধু অবাক চোখে আমার দিকে তাকাই আছে,
আমি বললাম।
--দেখ এই সে মেয়ে যার সাথে এক্সিডেন্ট হয়েছে,,
ও তাকায় আর একটা মেয়ে জান্নাত কে আসে জড়াই
ধরে বলে দোস্ত তুই এখানে??
--হা পনি,,,, তুই এখানে কেন??
--আমার বোন এর বিকালে এক্সিডেন্ট হইছে তাই
আসলাম,,এটা কে তোর বর
--হা,,,
তখন ওই মেয়েটার মা বলল আর ইনি ই তো সে যার
সাথে তোর বোন এর এক্সিডেন্ট হইছে ,,,,
,,,,ব্যাপার টা কেমন যেন লাগল আমি ভদ্র মহিলা কে
জিজ্ঞাসা করলাম উনি কে?
--এটা আমার বড় মেয়ে পনি
আর তখন পনি বল্ল আর আমি জান্নাত মানে আপনার
বউ এর বেস্ট ফ্রেন্ড কথা টা শুনে আমি যত টা না
অবাক হইছি তার থেকে বেশি জান্নাত হইছে,,,
তার মানে আমি জান্নাত এর বেস্ট ফ্রেন্ড এর বোনের
সাথে এক্সিডেন্ট করছি,,
কথা টা শুনে অনেক টা স্বত্বিবোধ করতেছি জান্নাত
এর ভুল টা ভাঙাতে পারছি,,,,
বাসায় ফিরার সময় কারও মুখে কোন কথা নাই দুজনেই
চুপ বাসায় আসলাম,,, এসে না খেয়েই শুয়ে পড়লাম
জান্নাত ও খায় নাই,,, রাস্তায় ও আমার হাত ধরছিল
আমার ঝটকা মেরে ফেলে দিছিলাম মাথাটাই গরম
করে দিছে আমার যাকে নিজের থেকেও বেশি
ভালবাসি সে যখন ভুল বুঝে তখন মাথা তো খারাপ
হবেই তার উপর বলে আমার বেইমান বিশ্বাসঘাতক,,,
,,,
,,
,
সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে কাজে চলে তখন
মা মেয়ে দুজনে ঘুমাচ্ছে কিছু না খেয়েই কাজে চলে
আসছি ও সারা দিনে অনেক বার ফোন দিছে আমি
ধরি নাই,,,,
রাতে ৮.০০ বাসায় যাই বাসায় ঢুকতেই চাঁদনী এসে
বলল,,
-- পাপ্পা পাপ্পা পাপ্পি,,
--আমি নিচে বসলাম ও আমাকে পাপ্পি দিয়ে কোলে
উঠল জান্নাত সোফাতে বসে আছে আমি কথা না বলে
চাঁদনী কে রেখে কাপড় চেঞ্জ করতে রুম ডুকলাম
পিছন দিয়ে কেঊ একজন দরজা বন্ধ কেন করলেন?
,,
,
ও সাথে সাথে মাটিতে বসে বলল জামাই জামাই
পাপ্পি পাপ্পি,,,
আমি কি বলব বুঝতেছি না হাসব নাকি কাদব বুঝলাম
চাঁদনী কে কপি করছে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করে
বললাম আমি বেইমান বিশ্বাসঘাতক আর বেইমানরা
কারব জামাই হয় না কাউকে পাপ্পিও দে না,,,,
ও কান্না করতে করতে বলল আমি সত্যি বলতেছি আর
জিবনে এমন ভুল করব না প্লিজ মাপ করে দাও আসলে
তোমাকে অন্য কারে সাথে আমি ভাগ করতে পারব না
তাই যখন শুনলাম তুমি অন্য মেয়ে রিকশায় ঘুরতেছ তখন
মাথা ঠিক ছিল না প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও
প্লিজ লক্ষি জামাই আমার প্লিজ,,
আমি ওকে দাড় করিয়ে বললাম
-- আর যেন ভুল না হয়,,
আর হা কাঁদলে তো পেত্নির মত লাগে,,,বলেই হেসে
উঠলাম,,
--তবে রে আমাকে নিয়ে মজা,,, আজ তোমার একদিন
কি আমার একদিন ,,,চোখ মুছতে মুছতে বলল
---প্পাপ্পি কি লাগবে??
--লাগবে না মানে??২০ টা দিতে হবে,,
--অকে ফ্রেশ হয়ে নি,,
-- না এখনি লাগবে,,,লাভ ইউ শশুরের বেটা
--লাভ ইউ টু শশুরের বেটি,,
তারপর ২০ টা পাপ্পি দিতে দিতে আমার ঠোট এই
ব্যাথা হই গেল,,,,বেশি চাইছি তো তাই আর কি!!
,
,
,অনেক দিন পর গল্প লিখলাম জানি না কেমন
হইছে,,,আশা করি ভাল লাগবে সবার,,ভাল
থাকবেন,,গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ
,,
,,
লিখা"; Queenless king (চাঁদনীর আব্বু)
আমার হাতে আজ্ঞুলে কামড় দিল,,,ব্যাথায় চিৎকার
দিলাম আর সাথে সাথে আমার কানের কাছে এফএম
৮৮.৮ বাজা শুরু হল একে তো ঘুম এর ঘোর তারপর কামড়
তারপর সকাল সকাল এই রেডিও,,, উফফফ আল্লাহ
শান্তিতে একটু ঘুমাতে ও দেবে না,,,,,
আপনারা হয়ত ভাবতেছেন রেডিও কে বাজাচ্ছে,,সে
হল আমার গুণবতি মেয়ে চাঁদনী ২ বছর বয়সে এত
ফাজিল হইছে যা বলার বাহিরে,,
সাথে সাথে ও আম্মু মানে আমার আদরের ফাজিল বউ
টারে ডাক দিলাম,,
জান্নাত,,, জান্নাত,, অহহ জান্নাত,,
---সকাল সকাল চিল্লাইতেছ কেন??
---চিল্লাব না তো কি করব তোমার মেয়ে আমারে
কামড় দিছে সকাল সকাল,
---এ দে নাই আমি বলছি তোমাকে উঠানোর জন্য আমি
ডাকলে তো উঠবে না তাই ওকে দিয়ে কাজটা করিয়ে
নিলাম,,,,আর দেখ তো সামান্য একটা কামড় এই তো এত
জোরে চিৎকার দেয়া লাগে দেখ তো তোমার
চিতকারে এ ভয় পেয়ে কান্না করতেছে,,,
---ও তার মানে সব তোমার বুদ্ধি ওকে সময় আমার ও
আসবে তখন দেখাব মজা,,
--- হইছে থাক যাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টা করে আমায়
উদ্ধার কর,,
যাচ্ছি যাচ্ছি,,,,
বাথরুমে ডুকলাম এখন ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের
আমার পরিচয় টা বলি,,,
,,,
,,
আমি ফারুক নিজের ব্যবসা করি,,,আমার বউ জান্নাত,,,
একসময় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল,,আর এখন বউ,,,ওর
সাথে আমার বিয়ে টা হবে সেটা আমি কল্পনাও করি
নাই,,,আমাদের ফ্রেন্ডশিফ টা ছিল ক্লাস নাইন
থেকে,,,,স্কুল এ আমাদের সবাই আমাদের খবু ভাল
করেই চিনত,,আমাদের ফ্রেন্ডশিপ এ একটা নিয়ম ছিল
আর সেটা হল আমাদের দুজন এরই অন্য কোন বন্ধু থাকতে
পারবে না,,,
খুব ভালোই চলতেছিল আমদের ঝগড়া,হাসি,অভিমা
ন,সব মিলে খুব ভাল,,,আসলে আমি অকে খুব ভালবাসি,,
ওকে বলে ছিলাম ও বলছিল যদি আমারা একে অন্যের
হয়ে থাকি তো আমি ওকে পাব,, এই বিষয় যেন অকে
কিছু না বলি,,,তারপর আমি ও কিছু বলি নাই,,,আর মনে
মনে ওর প্রতি আমার ভালবাসা দিন দিন বাড়তেছিল,,,
,,,
,,
,
আমার HSC পরিক্ষার পর আমাদের পরিবারে একটু
সমস্যা দেখা দিল যার কারনে আমি দেশ এর বাহিরে
যেতে হয় আমাই আসার দিন সব থেকে বেশি
কেদেছিল জান্নাত,,, আমাকে বলেছিল আমি তোর
আছি,,,,ছিলাম,,, থাকব,,,,
আর শুন প্রতিদিন আমার কাছে ফোন দিবি না হলে
কি হবে তুই ভাল করেই জানস,,,
এরপর আমদের নিয়মিতই যোগাযোগ হত প্রতিদিন ওর
সাথে কথা বলতাম একদিন ফোন দিতে দেরি হলে অ
নিজের ফোন দেয়া শুরু করত,,,আমি বুঝে গেছিলাম যে
ও আমায় ভালবাসে কিন্তু কোন এক অজানা কারনে
আমায় বলতেছে না,,,,,,
তখন ও অনার্স ২ বর্ষে আমি সবে কিছুটা টাকা
নিজের জন্য জমা করতেছি,,,
একদিন বিকালে জান্নাত আমায় বলল ওর ১৯ তারিখ
বিয়ে,,,কথা টা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম কিন্তু
আমার তখন কিছু করার ছিল না,,,ওর ইচ্ছা থাকা
সত্তেও আমি ওকে ফিরিয়ে দিছিলাম,,,,অই দিন এর
পর আর ওর সাথে কথা হয় নাই,,
১৯ তারিখ সকালে আমার ফোন এ ২৪ টা মিস কল আর
সব গুলাই জান্নাত দিছে,,,তারাতারি ফোন দিলাম ওর
আম্মু ধরছে আর কান্না করতেছে আমি জিজ্ঞাসা
করলাম,,,
--কি হইছে আন্টি কান্না করতেছেন কেন আজ না
জান্নাত এর বিয়ে,,
--সব শেষ হই গেছে জান্নাত এর হবু বর অন্য একটা
মেয়ে নিয়ে পালিয়েছে এখন জান্নাত এর কি হবে,,,,
---বলেন কি,,,
---হা বাবা এখন তুই বল কি করি??
কথা টা শুনে আমার খুশি হওয়া উচিত নাকি কি করা
উচিৎ জানি না তবে এটা জানি আমার হাতে একটা
বড় সুযোগ এসেছে,আমি তখন বললাম
---আন্টি জান্নাত কে আমি বিয়ে করলে আপনাদের
কোন আপত্তি আছে?
---আন্টি অনেক টা খুশি হয়ে বল্ল তুই করবি বাবা??
-- হুম,,
তার পর ফোন এ আমাদের অই দিন বিয়ে হয় আমার
পরিবারের সম্মতিতে,,,,
দরজায় কারো কিলের আওয়াজ শুনে আমার ধ্যান
ভাঙল দরজা খুলে দেখি জান্নাত আমার দিকে তার
হাসের ডিমের মত চোখ গুলা দিয়া তাকাই আছে,,,
আমি বললাম,,
---কি হইছে???শান্তিতে ব্রাশ টা তো করতে দাও,,,,
---অই কুত্তা ব্রাশ করতে ৩০ মিন লাগে,,,,কখন থেকে
ডাকতেছি কথা কানে যায় না??
---আর এ আমি তো ভাবতেছিলাম,,,
-মানে কি ভাবতেছিলা
--কিছু না তুমি এটা কি গায়ে দিছ??
--কেন শার্ট,,
--কার??
--কেন তোমার,,কোন সমস্যা??
--তোমারে আমি কত বার না করছি আমার শার্ট না
গায়ে দিতে??
*-তুমি মানা করলেই যে শুনতে হবে এমন তো কোন
নিয়ম নাই,,, আমার যা ইচ্ছা গায়ে দিব ইচ্চা হলে
লুঙ্গী পড়ব কি করতে পারলে কর,,,হুহহ তাড়াতাড়ি
নাস্তা করতে আস,,,
---ওকে যাও আসতেছি
--- তাড়াতাড়ি আস,,,
---আর এ যাও আসতেছি,,,রেগে বললাম
এরপর নাস্তা করে সবে যে মাএ সকালের মিষ্টি টা
খেতে যাব তখন এই সামনে বাধা,,,
এটা কি হল??
---কোনটা??
---বাধা দিলা কেন??
--আজ পাবা না
-*কেন?
---একটু আগে আমকে ধমক দিছ তাই!!!
--আচ্ছা সরি প্লিজ দাও না আজ না পাইলে আমার
সারা দিন কাজে মন বসবে না
---আহারেরর ডং কত,,, ওকে কিন্তু ২০ সেকেন্ড এর
বেশি না,,,
--ওকে জানু,,,,লাভ ইউ বলে যেই কিস করতে যাব তখন
আমার আদরের মেয়ে চাঁদিনী আসে হাত তালি দিতে
থাকে আর ওই দিকে ম্যাডাম লজ্জায় আমার সামনে
থেকে হাওয়া,,,
ইচ্ছা করতেছে নিজের গালে নিজে থাপ্পর দিতে,,,
যাই হোক মন খারাপ নিয়ে কাজে আসলাম দোকানে
আসি বসে আছি,,,এমন সময় জান্নাত এর ফোন,,,
---হা ময়না পাখি বল,,
--কি কর?
--- নাচিতেছি
---নাচ আর যাই কর ৬টার আগে বাসায় আসবা আজ
আমার বন্ধু পনির বাড়িতে যেতে হবে আগের ৬ বার
তো যাও নাই এই বার ও যদি না যাও তো সেটা কিন্তু
খুবই খারাপ হবে,,,
--ওকে ম্যাডাম আপনার কথা কি ফেলতে পারি,,
---হইছে থাক আমার জানা আছে,,বাই আমার রান্না
করতে হবে,
--আচ্ছা তোমার ফ্রেন্ড কি জানে যে আমরা যাব??
---না জানে না বলি নাই,,, কারন ওরে সারপ্রাইজ দিব,,
---ওহহ আচ্ছা
--তাড়াতাড়ি চলে আসবা কিন্তু
--ওকে
পনি হল ওর বেস্ট ফ্রেন্ড খুনি ভাল বন্ধু ওরা তবে
ওনাকে আমি কখনওই দেখি নাই অথবা দেখার সুযোগ
হয় নাই,,যত বার এই ওনার বাসায় যাওয়ার কথা হইছে
তত বারই আমার কোন না কোন সমস্যা হইছে যার
কারনে যাওয়া হয় নাই,,তাই ম্যাডাম আজ শেষবার এর
মত মনে করাই দিল,,,
বিকাল ৫ টায় কাজ শেষ করে বাসায় যাইতেছি কিছু
টা পথ আসার পর হঠাৎ কোথা থেকে একটা মেয়ে
আমার বাইকের সামনে চলে আসল কিছু বুঝে উঠার
আগেই আমি বাইক থেকে পড়ে ওওনেক টা দূরে চলে
গেলাম উঠে মেয়েটা কে দেখলাম মাথা টা অনেক
খানি ফেটে গেছে আমার তেমন কিছুই হয় নাই,
মেয়ে টা কে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে
ভর্তি করলাম ওর থেকে নাম্বার নিয়ে ওর বাবা মা
কে ফোন দিলাম,,,, ওনাদের সাথে কথা বলে
হাসপাতালের বিল দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হব এমন
সময় মনে পড়ল যে আমার তো আজ বাসায় তাড়াতাড়ি
যাওয়ার কথা ঘড়িতে দেখি ৭.৪৫ বাজে মনে মনে
ভাবলাম আজ বাসায় গেলে আমার ১২ টা বাজাবে,,
বাসায় গিয়ে আস্তে করে দরজা খুলে ঘরে ঢুকলাম
সামনে সব চুপচাপ আম্মা আব্বু আপুদের বাসায়,,,
রুম এ উকি মেরে দেখি চাঁদনী ঘুমাচ্ছে কিন্তু
জান্নাত কে দেখতে পেলাম না,,,পুরা ঘর ছাদ সব
জায়গায় দেখলাম কিন্তু নেই আবার রুম এ আসলাম
দেখি খাটের উপর বসা আমি বললাম
--কই ছিলা??
--ঘরে,,,
--দেখলাম না যে
---সব সময় দেখতে হবে এমন তো কোন কথা নেই??
---ওহহ,,চাঁদনী খাইছে?
--হা
--তুমি?
--সেটা আপনার না জানলেও চলবে"!
-- মানে কি?কথা ঠিক কর বল
--যে মানুষ ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে রিকশায়
ঘুরে বেড়ায় তা কাছে জবাব দিতে বাধ্য না,আর সে
যেন এর থেকে ভাল ভাবে কথা আশা না করে..
--মানে কি কোন মেয়ে কিসের মেয়ে কারে নিয়ে
রিক্সায় ঘুরছি,,
ও আমাদের নতুন কাজের ছেলেটা কে ডাকল আর বল্ল
রফিক বল ওনাকে কোন মেয়ে
--রফিক বল্ল,,,
ভাইয়া আজ তো আপনারে দেখলাম একটা আপার লগে
রিক্সায় বসে আছেন উনি আপনার কাধে মাথা দিয়া
রাখছে আর আপনি ওনার মাথায় হাত দিয়ে রাখছেন,,,
ওহহ এইবার বুঝলাম আমি অই মেয়েটার মাথা একটা
ছোট কাপড় দিয়ে ধরে আমার কাধে ধরে রাখছিলাম
যাতে রক্ত বন্ধ হয়,,আর বোকা রফিক উলটা কি ভাবছে
;;;;;;;
আমি রফিক কে ভিতরে যেতে বলে,,
জান্নাত কে সব বলি কিন্তু ও বিশ্বাস করতে চাইল
না,,ও বলল
---আমার ফ্রেন্ড এর বাসায় যাওয়ার সময় হয় না কিন্তু
প্রেমিকা নিয়ে ঘুরার ঠিক সময় আছে তাই না,,,আর
এখন যখন ধরা পড়ে গেছ তখন কাহিনী করতেছ??
--দেখ যা সত্যি তা আমি বলছি এরপর বিশ্বাস না হলে
আমার কিছু করার নাই,
---আমি কোন বিশ্বাসঘাতক,বেইমান এর কথা বিশ্বাস
করতে চাই না,,,,,
কথা শুনার পর মাথাই গরম হই গেল আমি ওকে একটা
থাপ্পড় মেরে টেনে রোড এ আসি একটা সিএনজি
নিয়ে সোজা হাসপাতাল এ নেমে ওই মেয়ে টা কে
যেখানে ভর্তি করাইছি ওইখানে জান্নাত কে দাড়
করাই ও শুধু অবাক চোখে আমার দিকে তাকাই আছে,
আমি বললাম।
--দেখ এই সে মেয়ে যার সাথে এক্সিডেন্ট হয়েছে,,
ও তাকায় আর একটা মেয়ে জান্নাত কে আসে জড়াই
ধরে বলে দোস্ত তুই এখানে??
--হা পনি,,,, তুই এখানে কেন??
--আমার বোন এর বিকালে এক্সিডেন্ট হইছে তাই
আসলাম,,এটা কে তোর বর
--হা,,,
তখন ওই মেয়েটার মা বলল আর ইনি ই তো সে যার
সাথে তোর বোন এর এক্সিডেন্ট হইছে ,,,,
,,,,ব্যাপার টা কেমন যেন লাগল আমি ভদ্র মহিলা কে
জিজ্ঞাসা করলাম উনি কে?
--এটা আমার বড় মেয়ে পনি
আর তখন পনি বল্ল আর আমি জান্নাত মানে আপনার
বউ এর বেস্ট ফ্রেন্ড কথা টা শুনে আমি যত টা না
অবাক হইছি তার থেকে বেশি জান্নাত হইছে,,,
তার মানে আমি জান্নাত এর বেস্ট ফ্রেন্ড এর বোনের
সাথে এক্সিডেন্ট করছি,,
কথা টা শুনে অনেক টা স্বত্বিবোধ করতেছি জান্নাত
এর ভুল টা ভাঙাতে পারছি,,,,
বাসায় ফিরার সময় কারও মুখে কোন কথা নাই দুজনেই
চুপ বাসায় আসলাম,,, এসে না খেয়েই শুয়ে পড়লাম
জান্নাত ও খায় নাই,,, রাস্তায় ও আমার হাত ধরছিল
আমার ঝটকা মেরে ফেলে দিছিলাম মাথাটাই গরম
করে দিছে আমার যাকে নিজের থেকেও বেশি
ভালবাসি সে যখন ভুল বুঝে তখন মাথা তো খারাপ
হবেই তার উপর বলে আমার বেইমান বিশ্বাসঘাতক,,,
,,,
,,
,
সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে কাজে চলে তখন
মা মেয়ে দুজনে ঘুমাচ্ছে কিছু না খেয়েই কাজে চলে
আসছি ও সারা দিনে অনেক বার ফোন দিছে আমি
ধরি নাই,,,,
রাতে ৮.০০ বাসায় যাই বাসায় ঢুকতেই চাঁদনী এসে
বলল,,
-- পাপ্পা পাপ্পা পাপ্পি,,
--আমি নিচে বসলাম ও আমাকে পাপ্পি দিয়ে কোলে
উঠল জান্নাত সোফাতে বসে আছে আমি কথা না বলে
চাঁদনী কে রেখে কাপড় চেঞ্জ করতে রুম ডুকলাম
পিছন দিয়ে কেঊ একজন দরজা বন্ধ কেন করলেন?
,,
,
ও সাথে সাথে মাটিতে বসে বলল জামাই জামাই
পাপ্পি পাপ্পি,,,
আমি কি বলব বুঝতেছি না হাসব নাকি কাদব বুঝলাম
চাঁদনী কে কপি করছে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করে
বললাম আমি বেইমান বিশ্বাসঘাতক আর বেইমানরা
কারব জামাই হয় না কাউকে পাপ্পিও দে না,,,,
ও কান্না করতে করতে বলল আমি সত্যি বলতেছি আর
জিবনে এমন ভুল করব না প্লিজ মাপ করে দাও আসলে
তোমাকে অন্য কারে সাথে আমি ভাগ করতে পারব না
তাই যখন শুনলাম তুমি অন্য মেয়ে রিকশায় ঘুরতেছ তখন
মাথা ঠিক ছিল না প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও
প্লিজ লক্ষি জামাই আমার প্লিজ,,
আমি ওকে দাড় করিয়ে বললাম
-- আর যেন ভুল না হয়,,
আর হা কাঁদলে তো পেত্নির মত লাগে,,,বলেই হেসে
উঠলাম,,
--তবে রে আমাকে নিয়ে মজা,,, আজ তোমার একদিন
কি আমার একদিন ,,,চোখ মুছতে মুছতে বলল
---প্পাপ্পি কি লাগবে??
--লাগবে না মানে??২০ টা দিতে হবে,,
--অকে ফ্রেশ হয়ে নি,,
-- না এখনি লাগবে,,,লাভ ইউ শশুরের বেটা
--লাভ ইউ টু শশুরের বেটি,,
তারপর ২০ টা পাপ্পি দিতে দিতে আমার ঠোট এই
ব্যাথা হই গেল,,,,বেশি চাইছি তো তাই আর কি!!
,
,
,অনেক দিন পর গল্প লিখলাম জানি না কেমন
হইছে,,,আশা করি ভাল লাগবে সবার,,ভাল
থাকবেন,,গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ
,,
,,
লিখা"; Queenless king (চাঁদনীর আব্বু)
Hasan