Thread Rating:
  • 0 Vote(s) - 0 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

নারী-পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণ ও প্রতিকার

Googleplus Pint
#1
নিউজ ডেস্ক

বন্ধ্যত্ব বলতে কী বোঝায়? এ বিষয়টি নিয়ে একজন ডা. শামিমা নার্গিস নীলা এর পরামর্শ তুলে ধরা হলো: নারী বা পুরুষ, উভয়েরই বন্ধ্যত্ব হতে পারে। বন্ধ্যত্ব বলতে আসলে বোঝায় যে, একটা দম্পতি এক বছর বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কোনো সুরক্ষা ছাড়া, তবে তারপরও তাদের বাচ্চা আসেনি। এই দম্পতিদের আমরা বলি তারা বন্ধ্যত্বে আক্রান্ত। এক বছর পর্যন্ত দেখা যায় যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ছাড়া একসঙ্গে থাকেন, ৯০ ভাগ কেসেই গর্ভধারণ হয়। এক বছরের মধ্যে যদি গর্ভধারণ না করে তখন একে বন্ধ্যত্ব বলা হয়।

প্রশ্ন : এর পেছনের কারণগুলো কী?

উত্তর : পুরুষদেরও কিছু কারণ থাকে। নারীও কিছু কারণ থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ কারণ দায়ী। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ দায়ী। পুরুষদের বাচ্চা হওয়ার জন্য যে শুক্রাণু সেটি যদি তৈরি না হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে বাচ্চা হয় না। আবার অনেক সময় তৈরি হয়, তবে পরিমাণমতো হয় না। সে কারণেও এটি হয়ে থাকে। অথবা নারীদের আগে কোনো সার্জারি হয়েছে, দেখা যাচ্ছে শুক্রাণুর যে পথে আসে সেখানে কোনো সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রেও বন্ধ্যত্ব হয়।

আর নারীদের ক্ষেত্রে তো দেখা যায় অনেক অংশ রয়েছে একটি বাচ্চা জন্ম থেকে পুরোপুরি প্রসব হওয়ার জন্য। যেমন ডিম্বাশয় তার ঠিকমতো থাকতে হবে। তাদের অনেক কারণ থাকে। সমস্যার কারণে বাচ্চা আসে না। ডিম্বনালি যেটি সেটিকেও ঠিক থাকতে হবে। যদি সেটি চিকন হয়ে যায় , বন্ধ হয়ে যায়, অথবা তার সঙ্গে ডিম্বাশয়ের সম্পর্কের কোনো সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রেও বাচ্চা আসবে না।

এরপর জরায়ুতে যদি কোনো সমস্যা থাকে, জন্মগত ত্রুটি থাকে, অথবা পরে কোনো কারণে সংক্রমণ হয়ে জরায়ুতে যদি কোনো পরিবর্তন হয় বা পরে যদি কোনো টিউমার হয় জরায়ুতে, তবেও বাচ্চা হবে না। এ রকম অনেক কারণ আছে নারীদের ক্ষেত্রে। সেগুলো আমাদের পরীক্ষা করে, ইতিহাস নিয়ে বের করতে হবে।

প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা কী?

উত্তর : পুরুষদের থেকে শুরু করি চিকিৎসা। আমরা পুরুষদের সিমেন এনালাইসিস করি। ওখানে আমরা দেখতে চাই শুক্রাণু সঠিক পরিমাণে আছে কি না। সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুবই আনন্দের বিষয় যে অল্প কিছু ওষুধে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যায়। সেক্ষেত্রে গর্ভধারণের মাত্রা অনেক উচ্চ হয়ে যায়। সামান্য কিছু ওষুধ যেমন হরমোনের ওষুধ, কিছু ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বলে, এই ওষুধগুলো যদি তারা একটু নিয়মিত খায়, তাহলে দেখা যায় খুব সহজেই তারা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। যদি কারণ সেটাই থাকে। আর অনেক সময় দেখা যায় যে শুক্রাণুটা নেই, তখন আমরা বের করতে চেষ্টা করি যে শুক্রাণুটা কি তার একেবারে তৈরিই হচ্ছে না, না কি কোনো কারণে পথে কোথাও বাধা আছে। যদি দেখি পথে কোনো বাধা আছে, তাহলে ইউরোলজিস্টের সাহায্য নেই আমরা। তাদের কাছে পাঠাই। সেখানে একটি নির্দিষ্ট সার্জারি আছে, সেটি করে দিলে, দেখা যায় যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। সেখানেও গর্ভধারণের হার বেড়ে যায়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একেবারেই আসে না, একেবারেই তৈরি হয় না। এমনও কিছু হরমোন জনিত কারণ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো একটু আশাহত থাকি। তবে এর সংখ্যা খুবই কম।

আর নারীদের ক্ষেত্রে আসলে অনেক জায়গা চিকিৎসার মধ্যে পড়ে। ডিম্বাশয় থেকে যদি শুরু করি আমরা, দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ের ডিম্বাণু পরিমিত নেই। ওই পরিমাণ ডিম্বাণু আর তৈরি হয় না। এরপর আমরা বলি ওভুলেশন। তাদের ওভুলেশনও হয় না, বাচ্চাও আসে না। এদের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ওষুধ আছে। আমরা যদি হরমোনের ওষুধ দেই, সেই ক্ষেত্রে ডিম্বাণুটা বড় হয়, ওভুলেশন হয় এবং এদের গর্ভধারণের হারও ভালো। আমরা খুব প্রচলিত একটি রোগ পেয়ে থাকি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। এই রোগীগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ওভুলেশন হয় না। ডিম্বাণুটা তাদের পরিমিত আকারে হয় না। আমরা কখনো মুখে ওষুধ দিয়ে কিছুদিন দেখি।

এরপর যদি মুখে ওষুধে কাজ না হয়, আমরা কিছু ইনজেকশন ব্যবহার করি। তখন দেখা যায় যে এদের ডিম্বাণুগুলো আমাদের চাহিদামতো আসে। এদের যে পরামর্শ দেই, সেই নিয়মে চললে দেখা যায় যে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।

প্রশ্ন : আপনাদের কাছে কোনো দম্পতি এলে তাদের অভিযোগ কী থাকে? সে অনুযায়ী পরামর্শ আপনারা কীভাবে দেন?

উত্তর : আমরা যদিও এক বছর পরই চিকিৎসা নিতে আসার কথা বলি, কিন্তু আমাদের প্র্যাকটিসে যেটি দেখে থাকি, ওভাবে আসে না। তারা অনেকটা সময় পার করে আসে।

এটা দেখা যায়। আবার দেখা যায়, পুরুষ সঙ্গীটি কোনোভাবেই পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে চান না। তাদেরই প্রথমে কাউন্সেলিং করতে হয়। আমরা সাধারণত পুরুষদের সিমেন এনালাইসিস করতে বলি। দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটি আমাদের দেশে করতে রাজি হয় না। আর নারীদের ক্ষেত্রে আমরা ওভাবেই আশ্বস্ত করি যে এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। চিকিৎসা করলে বাচ্চা আসবে। তবে ধৈর্য নিয়ে, সময় নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Hasan
Reply


Possibly Related Threads…
Thread Author Replies Views Last Post
  হাত-পা ঘামায় কেন? Hasan 0 1,001 02-21-2022, 11:26 PM
Last Post: Hasan
  [স্বাস্থ্যগত] SURFACE WATER কি নিরাপদ? ultimabangladesh 0 1,275 02-06-2020, 02:10 PM
Last Post: ultimabangladesh
  শতভাগ নিরাপদ ও মিনারেল-এ্যালকালীন সমৃদ্ধ পানির নিশ্চয়তায়- ULTIMA RO Water Purifier ultimabangladesh 0 1,264 01-05-2020, 12:02 PM
Last Post: ultimabangladesh
  একজিমা হলে কি করবেন Hasan 0 1,464 07-27-2019, 02:54 AM
Last Post: Hasan
  পেইনকিলার খাওয়ার ক্ষতিকর দিক Hasan 0 1,473 12-11-2017, 11:38 PM
Last Post: Hasan
  ছোঁয়াচে রোগ গনোরিয়া Hasan 0 1,562 12-11-2017, 11:37 PM
Last Post: Hasan
  ইয়োগা নাকি এক্সারসাইজ - কোনটা বেশি কার্যকরী? Hasan 0 1,597 08-29-2017, 04:26 PM
Last Post: Hasan
  বৃষ্টির মৌসুমে পায়ের সুস্থতা- জেনে নিন ডাক্তারের পরামর্শ Hasan 0 1,489 08-29-2017, 04:23 PM
Last Post: Hasan
  [হ্যাকিং] লাং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় খুব পরিচিত একটি ভিটামিন Hasan 0 1,514 08-29-2017, 04:23 PM
Last Post: Hasan
  [স্বাস্থ্যগত] দৈহিক ওজন ও সন্তান ধারণে সক্ষমতা কি সম্পর্কিত? Hasan 0 1,464 08-28-2017, 05:26 PM
Last Post: Hasan

Forum Jump:


Users browsing this thread: 2 Guest(s)