02-21-2017, 10:32 PM
মানসিক সুস্থতা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। শারীরিক সুস্থতার জন্য অনেক কিছু করা হলেও ব্যস্ততার কারণে মানসিক সুস্থতার জন্য প্রায় কিছুই করা হয় না। অথচ মন ভালো থাকলে যেকোনো কাজে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে কাজে সফলতা নিয়ে আসে। মানসিক প্রশান্তি অর্জনের একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো “মেডিটেশন”। প্রতিদিন মেডিটেশন করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে ছোট ছোট কিছু কাজ করে মানসিক সুস্থতা অর্জন করতে পারেন।
১। শ্বাসক্রিয়া
শ্বাসক্রিয়া নিমিষে আপনার মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে। আপনি যখন উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা অনুভব করেন তখন গভীরভাবে পাঁচবার শ্বাস গ্রহণ করুন, কিছুক্ষন ধরে রেখে তা ধীরে ধীরে ত্যাগ করুন। এটি রক্তচাপ কমিয়ে আপনাকে শান্ত করে দেবে। আপনি মেডিটেশনের এই ছোট ব্যায়ামটিও করতে পারেন। চার গণনা করতে করতে শ্বাস গ্রহণ করুন, চার গণনা করে শ্বাস ধরে রাখুন এবং চার গণনা করতে করতে শ্বাস ছাড়ুন। এটি এক মিনিট করুন। দেখবেন মুহুর্তে চিন্তা দূর হয়ে মন শান্ত হয়ে গেছে। দিনের শুরুতে এবং শেষে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
২। ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন তা কিন্তু নয়। মানসিক সুস্থতার জন্যও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৩০ মিনিট বা তারচেয়ে বেশি সময় ব্যায়াম করার। সম্ভব না হলে ১০ মিনিটের একটু জগিং কিংবা দৌড় অথবা কিছু জাম্পিং করতে পারেন। ১০ মিনিটের এই ছোট ব্যায়াম মস্তিষ্ক উদ্দীপিত করার জন্য যথেষ্ট।
৩। প্রতিদিন লক্ষ্য নির্ধারন করুন
শিরোনাম শুনে অবাক হচ্ছেন? মনে করছেন লক্ষ্য সেটি তো একবারেই ঠিক করা হয়, প্রতিদিন কেন? বড় লক্ষ্যটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট কয়টি লক্ষ্য ভাগ করুন। এবং প্রতিদিন তা অর্জনের চেষ্টা করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য অর্জিত হলে বড় লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে।
৪। নিজের চিন্তাভাবনাকে পর্যাবেক্ষণ করুন
মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার অন্যতম একটি উপায় হলো নিজের চিন্তাভাবনা পর্যাবেক্ষণ করা। যখন নেতিবচাক চিন্তা বা নিজের কার্যক্ষমতা নিয়ে ভাবনা আসবে তখন চেষ্টা করুন ইতিবাচক চিন্তা করে তা দূর করে দেওয়ার। যেমন কোনো কাজে ব্যর্থ হলে, “আমি একজন ব্যর্থ মানুষ আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি কী করে এই ভুল করলাম,” এই কথার পরিবর্তে বলুন, "আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, আরো চেষ্টা করবো এবং আমি এটা অর্জন করবো।”
৫। ইতিবাচক বিবৃতি
প্রতিদিন কিছু ইতিবাচক বিবৃতি পড়ুন। এটি আপনার ভিতরে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই বিবৃতিগুলো আপনাকে নতুন করে কাজে উৎসাহ দিবে।
এই কাজগুলোর পাশাপাশি নিজের ভয়ের ক্ষেত্রগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। এরপর একে একে এই ভয়গুলোকে জয় করার চেষ্টা করুন। দেখবেন জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।
সূত্র: হাফিংটন পোষ্ট
১। শ্বাসক্রিয়া
শ্বাসক্রিয়া নিমিষে আপনার মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে। আপনি যখন উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা অনুভব করেন তখন গভীরভাবে পাঁচবার শ্বাস গ্রহণ করুন, কিছুক্ষন ধরে রেখে তা ধীরে ধীরে ত্যাগ করুন। এটি রক্তচাপ কমিয়ে আপনাকে শান্ত করে দেবে। আপনি মেডিটেশনের এই ছোট ব্যায়ামটিও করতে পারেন। চার গণনা করতে করতে শ্বাস গ্রহণ করুন, চার গণনা করে শ্বাস ধরে রাখুন এবং চার গণনা করতে করতে শ্বাস ছাড়ুন। এটি এক মিনিট করুন। দেখবেন মুহুর্তে চিন্তা দূর হয়ে মন শান্ত হয়ে গেছে। দিনের শুরুতে এবং শেষে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
২। ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন তা কিন্তু নয়। মানসিক সুস্থতার জন্যও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৩০ মিনিট বা তারচেয়ে বেশি সময় ব্যায়াম করার। সম্ভব না হলে ১০ মিনিটের একটু জগিং কিংবা দৌড় অথবা কিছু জাম্পিং করতে পারেন। ১০ মিনিটের এই ছোট ব্যায়াম মস্তিষ্ক উদ্দীপিত করার জন্য যথেষ্ট।
৩। প্রতিদিন লক্ষ্য নির্ধারন করুন
শিরোনাম শুনে অবাক হচ্ছেন? মনে করছেন লক্ষ্য সেটি তো একবারেই ঠিক করা হয়, প্রতিদিন কেন? বড় লক্ষ্যটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট কয়টি লক্ষ্য ভাগ করুন। এবং প্রতিদিন তা অর্জনের চেষ্টা করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য অর্জিত হলে বড় লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে।
৪। নিজের চিন্তাভাবনাকে পর্যাবেক্ষণ করুন
মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার অন্যতম একটি উপায় হলো নিজের চিন্তাভাবনা পর্যাবেক্ষণ করা। যখন নেতিবচাক চিন্তা বা নিজের কার্যক্ষমতা নিয়ে ভাবনা আসবে তখন চেষ্টা করুন ইতিবাচক চিন্তা করে তা দূর করে দেওয়ার। যেমন কোনো কাজে ব্যর্থ হলে, “আমি একজন ব্যর্থ মানুষ আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি কী করে এই ভুল করলাম,” এই কথার পরিবর্তে বলুন, "আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, আরো চেষ্টা করবো এবং আমি এটা অর্জন করবো।”
৫। ইতিবাচক বিবৃতি
প্রতিদিন কিছু ইতিবাচক বিবৃতি পড়ুন। এটি আপনার ভিতরে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই বিবৃতিগুলো আপনাকে নতুন করে কাজে উৎসাহ দিবে।
এই কাজগুলোর পাশাপাশি নিজের ভয়ের ক্ষেত্রগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। এরপর একে একে এই ভয়গুলোকে জয় করার চেষ্টা করুন। দেখবেন জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।
সূত্র: হাফিংটন পোষ্ট
Hasan