01-12-2017, 11:36 AM
ঈদ আমাদের অন্যতম ধর্মীয় উত্সব। বছরে দু’বার বিশ্বের সব মুসলমান ঈদ আনন্দ উদযাপন করে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর মাত্র ক’দিন পরই ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ।ঈদ মানেই খুশি,ঈদ মানেই আনন্দ
শরতের প্রচণ্ড গরমেই আমরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করব তাই সাজসজ্জা আর পোশাক-আশাকে থাকতে হবে শালীনতা ও স্বস্তির বিষয়। গরমে সাধারণত হালকা-সতেজ সাজটাই আমরা প্রত্যাশা করে থাকি। কিন্তু এর মাঝেও সাজে থাকে ব্যক্তির চিন্তা-ভালোবাসা, পরিবেশ, সামাজিক অবস্থানের প্রভাব। পোশাকের ধরন, প্রয়োজন, গায়ের রং সবকিছু বিবেচনা করেই সাজসজ্জা করতে হয়। কেননা সাজে নিজের ভালোলাগার পাশাপাশি ।
মেয়েদের সাজ
{মেকআপ}
ঈদের দিন পরিচ্ছন্ন শাওয়ার নেওয়ার পর মুখের ত্বকে হালকা ময়েশ্চার ফাউন্ডেশন দেওয়া যেতে পারে স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে। ঈদের দিন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব একে অপরের বাসায় যান ঈদ শুভেচ্ছা ও কোরবানির মাংস বিতরণের জন্য। তাই পরিপাটি ফ্রেশ লুক নিয়েই পুরো দিনটা কাটিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই যত্ন সহকারে করুন বেজ মেকআপ। আপনার ঈদ পোশাক যদি জমকালো হয় তাহলে হালকা সাজও ডিমান্ড করবে ত্বকের গ্লসি ন্যাচারাল গর্জিয়াস লুক। সেক্ষেত্রে মিনারেল মেকআপটাই করুন। যা আপনার ব্যবহার করাও সহজ হবে এবং গর্জিয়াস মনে তো হবেই পাশাপাশি ন্যাচারাল লুকটাও বজায় থাকবে। মনে রাখবেন মেকআপের ভিত্তিই কিন্তু বেজ মেকআপ।
{চোখের সাজ}
চোখে কাজল দেওয়ার অভ্যাস আছে, তারা পছন্দমতো কাজল এঁকে নিন চোখে। সকালে বা দিনের সাজে আইশ্যাডো ব্যবহার করতে চাইলে ব্রাউন শেডটাই ভালো হবে। হালকা এবং ন্যাচারাল লুকটাই রাখুন। লাইনার দেওয়ার ধরন কিন্তু অনেকটাই আপনার পারসোনালিটিকে রি-প্রেজেন্ট করে তাই বুঝে নিখুঁতভাবে ব্যবহার করুন আই-লাইনার। চোখের ধরন বুঝে লোয়ার ল্যাশ-লিডে দিতে পারেন হাফলিড লাইনার। ব্রাউন, ব্রোঞ্জ, কপার, ব্ল্যাক, টেরাকোটা, কোরাল শ্যাডের ব্যবহার করতে
পারেন। চোখের কর্নারে শিমারিং শ্যাড। লোয়ার ও আপার ল্যাশে ঘন করে ২-৩ কোট মাশকারার প্রলেপ এবং লোয়ার লিডের ভেতর দিকে সাদা কাজলের ব্যবহার করুন। যা হালকা মেকআপেও আকর্ষণীয় লুক এনে দেয়। যা ফ্যাশনে ট্রেন্ডি আই মেকআপ এবং তা আপনার ঈদ সাজকে করবে ন্যাচারাল কিন্তু গর্জিয়াস।
যেহেতু ঈদ প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাই ম্যাট বা ক্রিম বেজ লিপকালার-ই ভালো হবে। গ্লসি, শিমারিং লিপস্টিক এড়িয়ে চলাই ভালো হবে। লিপস্টিক দেওয়ার আগে লিপপেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের শেপ এঁকে নিন। তারপর ব্রাশের সাহায্যে লিপ কালার লাগান। বর্তমানে অরেঞ্জ, পার্লিপিঙ্ক, হটপিঙ্ক ট্রেন্ডি লিপ কালার। এ ছাড়া ডার্ক বা কালারফুল করতে চাইলে রেড, পারপেল, চকলেট, মেরুন দেওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই ঈদের সাজ পোশাকের সাথে কতটুকু মানাবে তা বুঝেই ব্যবহার করুন।
{ব্লাশ-অন}
ঈদের সাজে ব্লাশ-অনের ব্যবহারটা হওয়া চাই খুবই হালকাভাবে। হালকা স্মুথ আভার মতো।
{চুলের সাজ}
সাজসজ্জায় চুলের সাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের সাজের ক্ষেত্রে বোঝা প্রয়োজন আপনার সাজ-পোশাকের সাথে কীভাবে চুল বাঁধলে মানাবে এবং চুলের লেন্থ ভলিউম এসবও গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের দিন বিউটি সেলুনগুলো বন্ধ থাকে তাই ঈদের দিনের বিশেষ স্টাইলটি নিজেকেই নিতে হয়। বর্তমানে ট্রেন্ডি মেসিবান, ফিশটেল যা বিভিন্ন স্টাইলে করা যায় এবং মোটামুটি সব ধরনের পোশাকের সাথেই মানিয়ে যায়। এ ছাড়া আয়রন, ব্লোড্রাই করে চুল ছাড়াও রাখতে পারে। কেননা সিম্পল ছেড়ে রাখা চুল যুগ যুগ ধরে পুরো বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে আসছে। প্রয়োজন বুঝে করতে পারেন চুল সাজাতে হেয়ার এক্সেসরিজের ব্যবহার। তবে যে স্টাইলই করুন না কেন অবশ্যই চুল আগে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কন্ডিশনার করুন।
ছেলেদের ঈদ সাজ
ঈদের দিন শুধুমাত্র মেয়েরাই সাজগোজ করবেন, তা কি হয়? এদিন সাজগোজের প্রয়োজন রয়েছে ছেলেদেরও। কারণ প্রত্যেকেই চান হাজার ব্যস্ততার মাঝেও দিনটি আনন্দের সাথে কাটাতে। নিজেকে পরিপাটি করে সাজাতে। অপরের সামনে নিজেকে যতটা সম্ভব গোছালোভাবে উপস্থাপন করতে। এজন্য ঈদের আগে থেকেই নিজের সাজ প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
ঈদের আগেই ছেলেদের যেসব প্রস্তুতি নেওয়া উচিত-
{ঈদের দিন সকালে} ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ার জন্য আগে নিজেকে তৈরি করে নিন। এ দিন সকালে অনেকেই পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন।পাঞ্জাবির রঙটি একটু হালকা হলেই ভালো হয়। নামাজে যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার চাইলে আতরও ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
ঈদের রাতটি অন্য রাত থেকে আলাদা হবে এটাই নিয়ম । এই রাতে আপনাকে আত্বীয়-স্বজনের বাসায় যেতে হয় ,এবং উপস্থিত থাকতে হয় বিভিন্ন ধরনের পার্টিতে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে ভারি আর গাঢ় রঙ এর পোষাক। গাঢ় রঙের যেকোনো পোশাক ঈদ রাতের অনুষ্ঠানে আপনাকে করে তুলবে প্রানবন্ত আর সবার থেকে ব্যাতিক্রম।
পরিশেষে যেভাবেই কাটান না কেনো আপনার ঈদ যেনো ভরে ওঠে অনাবিল আনন্দে। সুন্দর কাটুক আপনার ঈদ পরিবারের সাথে ,বন্ধু-বান্ধবের সাথে , আত্বীয়-সজনের সাথে আর প্রিয় মানুষটির সাথেতো বটেই।
ঈদ আনন্দের দিন, আর আনন্দ-উত্সব মানেই সাজসজ্জা। তাই সাজতে তো হবেই কিন্তু ঈদের সাজ অবশ্যই হওয়া চাই আবহাওয়া, পরিবেশ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় চেতনাকে ধারণ করে
শরতের প্রচণ্ড গরমেই আমরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করব তাই সাজসজ্জা আর পোশাক-আশাকে থাকতে হবে শালীনতা ও স্বস্তির বিষয়। গরমে সাধারণত হালকা-সতেজ সাজটাই আমরা প্রত্যাশা করে থাকি। কিন্তু এর মাঝেও সাজে থাকে ব্যক্তির চিন্তা-ভালোবাসা, পরিবেশ, সামাজিক অবস্থানের প্রভাব। পোশাকের ধরন, প্রয়োজন, গায়ের রং সবকিছু বিবেচনা করেই সাজসজ্জা করতে হয়। কেননা সাজে নিজের ভালোলাগার পাশাপাশি ।
মেয়েদের সাজ
{মেকআপ}
ঈদের দিন পরিচ্ছন্ন শাওয়ার নেওয়ার পর মুখের ত্বকে হালকা ময়েশ্চার ফাউন্ডেশন দেওয়া যেতে পারে স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে। ঈদের দিন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব একে অপরের বাসায় যান ঈদ শুভেচ্ছা ও কোরবানির মাংস বিতরণের জন্য। তাই পরিপাটি ফ্রেশ লুক নিয়েই পুরো দিনটা কাটিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই যত্ন সহকারে করুন বেজ মেকআপ। আপনার ঈদ পোশাক যদি জমকালো হয় তাহলে হালকা সাজও ডিমান্ড করবে ত্বকের গ্লসি ন্যাচারাল গর্জিয়াস লুক। সেক্ষেত্রে মিনারেল মেকআপটাই করুন। যা আপনার ব্যবহার করাও সহজ হবে এবং গর্জিয়াস মনে তো হবেই পাশাপাশি ন্যাচারাল লুকটাও বজায় থাকবে। মনে রাখবেন মেকআপের ভিত্তিই কিন্তু বেজ মেকআপ।
{চোখের সাজ}
চোখে কাজল দেওয়ার অভ্যাস আছে, তারা পছন্দমতো কাজল এঁকে নিন চোখে। সকালে বা দিনের সাজে আইশ্যাডো ব্যবহার করতে চাইলে ব্রাউন শেডটাই ভালো হবে। হালকা এবং ন্যাচারাল লুকটাই রাখুন। লাইনার দেওয়ার ধরন কিন্তু অনেকটাই আপনার পারসোনালিটিকে রি-প্রেজেন্ট করে তাই বুঝে নিখুঁতভাবে ব্যবহার করুন আই-লাইনার। চোখের ধরন বুঝে লোয়ার ল্যাশ-লিডে দিতে পারেন হাফলিড লাইনার। ব্রাউন, ব্রোঞ্জ, কপার, ব্ল্যাক, টেরাকোটা, কোরাল শ্যাডের ব্যবহার করতে
পারেন। চোখের কর্নারে শিমারিং শ্যাড। লোয়ার ও আপার ল্যাশে ঘন করে ২-৩ কোট মাশকারার প্রলেপ এবং লোয়ার লিডের ভেতর দিকে সাদা কাজলের ব্যবহার করুন। যা হালকা মেকআপেও আকর্ষণীয় লুক এনে দেয়। যা ফ্যাশনে ট্রেন্ডি আই মেকআপ এবং তা আপনার ঈদ সাজকে করবে ন্যাচারাল কিন্তু গর্জিয়াস।
যেহেতু ঈদ প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাই ম্যাট বা ক্রিম বেজ লিপকালার-ই ভালো হবে। গ্লসি, শিমারিং লিপস্টিক এড়িয়ে চলাই ভালো হবে। লিপস্টিক দেওয়ার আগে লিপপেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের শেপ এঁকে নিন। তারপর ব্রাশের সাহায্যে লিপ কালার লাগান। বর্তমানে অরেঞ্জ, পার্লিপিঙ্ক, হটপিঙ্ক ট্রেন্ডি লিপ কালার। এ ছাড়া ডার্ক বা কালারফুল করতে চাইলে রেড, পারপেল, চকলেট, মেরুন দেওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই ঈদের সাজ পোশাকের সাথে কতটুকু মানাবে তা বুঝেই ব্যবহার করুন।
{ব্লাশ-অন}
ঈদের সাজে ব্লাশ-অনের ব্যবহারটা হওয়া চাই খুবই হালকাভাবে। হালকা স্মুথ আভার মতো।
{চুলের সাজ}
সাজসজ্জায় চুলের সাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের সাজের ক্ষেত্রে বোঝা প্রয়োজন আপনার সাজ-পোশাকের সাথে কীভাবে চুল বাঁধলে মানাবে এবং চুলের লেন্থ ভলিউম এসবও গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের দিন বিউটি সেলুনগুলো বন্ধ থাকে তাই ঈদের দিনের বিশেষ স্টাইলটি নিজেকেই নিতে হয়। বর্তমানে ট্রেন্ডি মেসিবান, ফিশটেল যা বিভিন্ন স্টাইলে করা যায় এবং মোটামুটি সব ধরনের পোশাকের সাথেই মানিয়ে যায়। এ ছাড়া আয়রন, ব্লোড্রাই করে চুল ছাড়াও রাখতে পারে। কেননা সিম্পল ছেড়ে রাখা চুল যুগ যুগ ধরে পুরো বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে আসছে। প্রয়োজন বুঝে করতে পারেন চুল সাজাতে হেয়ার এক্সেসরিজের ব্যবহার। তবে যে স্টাইলই করুন না কেন অবশ্যই চুল আগে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কন্ডিশনার করুন।
ছেলেদের ঈদ সাজ
ঈদের দিন শুধুমাত্র মেয়েরাই সাজগোজ করবেন, তা কি হয়? এদিন সাজগোজের প্রয়োজন রয়েছে ছেলেদেরও। কারণ প্রত্যেকেই চান হাজার ব্যস্ততার মাঝেও দিনটি আনন্দের সাথে কাটাতে। নিজেকে পরিপাটি করে সাজাতে। অপরের সামনে নিজেকে যতটা সম্ভব গোছালোভাবে উপস্থাপন করতে। এজন্য ঈদের আগে থেকেই নিজের সাজ প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
ঈদের আগেই ছেলেদের যেসব প্রস্তুতি নেওয়া উচিত-
{ঈদের দিন সকালে} ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ার জন্য আগে নিজেকে তৈরি করে নিন। এ দিন সকালে অনেকেই পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন।পাঞ্জাবির রঙটি একটু হালকা হলেই ভালো হয়। নামাজে যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার চাইলে আতরও ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
ঈদের রাতটি অন্য রাত থেকে আলাদা হবে এটাই নিয়ম । এই রাতে আপনাকে আত্বীয়-স্বজনের বাসায় যেতে হয় ,এবং উপস্থিত থাকতে হয় বিভিন্ন ধরনের পার্টিতে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে ভারি আর গাঢ় রঙ এর পোষাক। গাঢ় রঙের যেকোনো পোশাক ঈদ রাতের অনুষ্ঠানে আপনাকে করে তুলবে প্রানবন্ত আর সবার থেকে ব্যাতিক্রম।
পরিশেষে যেভাবেই কাটান না কেনো আপনার ঈদ যেনো ভরে ওঠে অনাবিল আনন্দে। সুন্দর কাটুক আপনার ঈদ পরিবারের সাথে ,বন্ধু-বান্ধবের সাথে , আত্বীয়-সজনের সাথে আর প্রিয় মানুষটির সাথেতো বটেই।
ঈদ আনন্দের দিন, আর আনন্দ-উত্সব মানেই সাজসজ্জা। তাই সাজতে তো হবেই কিন্তু ঈদের সাজ অবশ্যই হওয়া চাই আবহাওয়া, পরিবেশ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় চেতনাকে ধারণ করে
Hasan