02-06-2017, 12:06 AM
বিশ্বে প্রতিদিন হার্ট অ্যাটাকে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হৃদপিণ্ডের কেন্দ্রীয় মাংসপেশীতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হওয়াকে বলা হয় ‘হার্ট অ্যাটাক’, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যা ‘কার্ডিয়াক মাসল ইনফ্র্যাকশন’ নামে পরিচিত।
হার্ট অ্যাটাক অধিকাংশ সময়ই প্রাণঘাতী হয়। জীবন যাপনের একটি সুস্থধারা এবং মানসিক চাপের মাত্রা হ্রাস করার প্রচেষ্টা হার্ট অ্যাটাক হওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
কিন্তু অন্য জিনিস যেটা খুব দরকারি, এমনকি জীবন রক্ষাকারী হতে পারে সেটা হল, হার্ট অ্যাটাকের আগাম বার্তা অর্থাৎ কিছু উপসর্গ থেকে এক মাস আগে থেকে জেনে যাওয়া!
হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ সম্পর্কে প্রত্যেকরই জানা দরকার বলে মনে করেন কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অনিল বানসাল। এ রোগের কারণ, লক্ষণ জানতে পারলে অনেকাংশে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি।
কিন্তু কিভাবে আগাম জানবেন বা বুঝবেন যে আপনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন? নিচের উপসর্গগুলো আপনাকে বার্তা দেয় যে, এক মাসের মধ্যে আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই নিশ্চিতভাবে এসব উপসর্গকে আপনি সবসময় রেড সিগন্যাল হিসেবে গণ্য করবেন।
অবসাদ
ধমনী যখন সংকীর্ণ হয়ে যায় আপনার হার্ট স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম রক্ত পায়। ফলে হার্টকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে বেশি শ্রম দিতে হয় এবং এতে আপনি সব সময় মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্ত এবং ঝিমুনি অনুভূতির সম্মুখীন হবেন। এমন উপসর্গে সতর্ক হোন যে, আপনার হার্ট অ্যাটাকের সময় নিকটবর্তী হচ্ছে।
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
যখন আপনার হৃদয় কম রক্ত পায়, তখন এটি আপনার ফুসফুসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এই দুটি সিস্টেম একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল, তাই একটি ছাড়া অন্যটি স্বাভাবিক ক্রিয়াশীল থাকতে পারে না। আপনার শ্বাস কষ্ট হচ্ছে মানে হতে পারে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সময় নিকটবর্তী হচ্ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
দুর্বলতা
হঠাৎ করে যখন আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তার কারণ হল ধমনী আরো সংকীর্ণ হওয়ায় রক্তসংবহন সঠিকভাবে অনুমতি দিচ্ছে না। আপনার পেশীর যা প্রয়োজন তা পাচ্ছে না এবং এমনটা হলে আপনার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
মাথা ঘোরা এবং ঠান্ডা ঘাম
কম রক্ত সঞ্চালনের কারণে আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকছে, যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ কারণে মাথা ঘোরা এবং ঠান্ডা ঘাম দেখা যায়, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
বুকে চাপ বা ব্যথা
আপনি হার্ট অ্যাটাকের সূত্রপাত উপসর্গ ভুগেন যখন আপনি আপনার বুকে অস্বস্তি সম্মুখীন হয়েছেন, হোক না তা গৌণ ব্যথা বা অভ্যন্তরীণ চাপ। এই উপসর্গ ক্রমাগত বাড়তে থাকে যে পর্যন্ত না আপনি হার্ট অ্যাটাকের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ফ্লু বা ঠান্ডা উপসর্গ
হৃদরোগের সমস্যা বাড়তে থাকলে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে, যার মানে হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক অদূর ভবিষ্যতের মধ্যে ঘটতে পারে। কারণ হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের মধ্যে অনেকেই জানান যে, তারা হার্ট অ্যাটাকের কিছুদিন পূর্বে ঠান্ডাজনিত সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন।
সুতরাং আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এসব উপসর্গসমূহের সম্মুখীন হোন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
তথ্যসূত্র: ব্রাইটসাইড ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
হার্ট অ্যাটাক অধিকাংশ সময়ই প্রাণঘাতী হয়। জীবন যাপনের একটি সুস্থধারা এবং মানসিক চাপের মাত্রা হ্রাস করার প্রচেষ্টা হার্ট অ্যাটাক হওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
কিন্তু অন্য জিনিস যেটা খুব দরকারি, এমনকি জীবন রক্ষাকারী হতে পারে সেটা হল, হার্ট অ্যাটাকের আগাম বার্তা অর্থাৎ কিছু উপসর্গ থেকে এক মাস আগে থেকে জেনে যাওয়া!
হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ সম্পর্কে প্রত্যেকরই জানা দরকার বলে মনে করেন কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অনিল বানসাল। এ রোগের কারণ, লক্ষণ জানতে পারলে অনেকাংশে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি।
কিন্তু কিভাবে আগাম জানবেন বা বুঝবেন যে আপনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন? নিচের উপসর্গগুলো আপনাকে বার্তা দেয় যে, এক মাসের মধ্যে আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই নিশ্চিতভাবে এসব উপসর্গকে আপনি সবসময় রেড সিগন্যাল হিসেবে গণ্য করবেন।
অবসাদ
ধমনী যখন সংকীর্ণ হয়ে যায় আপনার হার্ট স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম রক্ত পায়। ফলে হার্টকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে বেশি শ্রম দিতে হয় এবং এতে আপনি সব সময় মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্ত এবং ঝিমুনি অনুভূতির সম্মুখীন হবেন। এমন উপসর্গে সতর্ক হোন যে, আপনার হার্ট অ্যাটাকের সময় নিকটবর্তী হচ্ছে।
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
যখন আপনার হৃদয় কম রক্ত পায়, তখন এটি আপনার ফুসফুসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এই দুটি সিস্টেম একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল, তাই একটি ছাড়া অন্যটি স্বাভাবিক ক্রিয়াশীল থাকতে পারে না। আপনার শ্বাস কষ্ট হচ্ছে মানে হতে পারে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সময় নিকটবর্তী হচ্ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
দুর্বলতা
হঠাৎ করে যখন আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তার কারণ হল ধমনী আরো সংকীর্ণ হওয়ায় রক্তসংবহন সঠিকভাবে অনুমতি দিচ্ছে না। আপনার পেশীর যা প্রয়োজন তা পাচ্ছে না এবং এমনটা হলে আপনার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
মাথা ঘোরা এবং ঠান্ডা ঘাম
কম রক্ত সঞ্চালনের কারণে আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকছে, যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ কারণে মাথা ঘোরা এবং ঠান্ডা ঘাম দেখা যায়, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
বুকে চাপ বা ব্যথা
আপনি হার্ট অ্যাটাকের সূত্রপাত উপসর্গ ভুগেন যখন আপনি আপনার বুকে অস্বস্তি সম্মুখীন হয়েছেন, হোক না তা গৌণ ব্যথা বা অভ্যন্তরীণ চাপ। এই উপসর্গ ক্রমাগত বাড়তে থাকে যে পর্যন্ত না আপনি হার্ট অ্যাটাকের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ফ্লু বা ঠান্ডা উপসর্গ
হৃদরোগের সমস্যা বাড়তে থাকলে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে, যার মানে হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক অদূর ভবিষ্যতের মধ্যে ঘটতে পারে। কারণ হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের মধ্যে অনেকেই জানান যে, তারা হার্ট অ্যাটাকের কিছুদিন পূর্বে ঠান্ডাজনিত সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন।
সুতরাং আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এসব উপসর্গসমূহের সম্মুখীন হোন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
তথ্যসূত্র: ব্রাইটসাইড ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
Hasan