01-09-2017, 02:30 AM
লাইকবিডি-তে আমরা বুঝতে পারি, যৌনশিক্ষার বিষয়টি অনেকের কাছেই ট্যাবু বা নিষিদ্ধ বিষয় এবং ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল (morning-after pill) বিষয়ে আলোচনাও জটিল কিংবা অনেকের কাছেই এটি বিতর্কিত বিষয়। আমাদের প্রশ্নোত্তর টুলের ৫০ শতাংশের বেশি প্রশ্ন আমরা গ্রহণ করি যেগুলো গর্ভধারন, পরিবার পরিকল্পনা ও যৌনশিক্ষা বিষয়ক। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, সে সকল নারীর, যার অধিকাংশই টিনএজার, তাদের ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, সাধারনত যাকে “আই-পিল” বলা হয়।
সামাজিকভাবে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক অবৈধ হলেও নারী পুরুষ অনেক সময় এতে লিপ্ত হয়। ব্যক্তির নিজের শরীরের প্রতি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, সংযম অথবা যৌনসঙ্গী গ্রহণ সম্পর্কে তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে তরুণদের জন্য প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, জনসংখ্যা বিষয়ে আমাদের সঠিক ধারনা নেই এবং এখনো পরিবারে যৌনশিক্ষা বিষয়ক আলোচনা করা হয়না। প্রিন্টমিডিয়া এবং অনলাইনে এ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন। “আই-পিল” এর বিজ্ঞাপনের সময় বাবা মা চ্যানেল বদলে দিয়েছেন, এমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে; যেন এড়িয়ে চলাই উত্তম পন্থা! প্রকৃতপক্ষে সকলেই এসব ব্যাপারে জানে এবং গর্ভনিরোধে ভালোভাবে চিন্তা না করেই এগুলো গ্রহণ করে থাকে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা দেখতে পাই গর্ভধারণ, যৌনস্বাস্থ্য এবং গর্ভনিরোধ সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞানের অভাবে ইমারজেন্সি পিল গ্রহণের ঝুঁকি সম্পর্কে না জেনেই অনেক তরুণী নিয়মিত এগুলো গ্রহণ করে থাকে। আমাদের লক্ষ্য হলো এক্ষেত্রে সংঘটিত কিছু ঝুঁকি তুলে ধরা এবং জরুরী ব্যবস্থার বিকল্প পদ্ধতির বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা।
কেন আপনার ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন? ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল-এ লেভোনরজেস্ট্রেল বিদ্যমান যা প্রজেস্টেরন হরমোনের সংশ্লেষণের দ্বারা উৎপন্ন। নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিলে লেভোনরজেস্ট্রেল থাকলেও তা স্বল্প মাত্রার হয়। এই পিল কৃত্রিমভাবে প্রজেস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ওভালেশনকে বিলম্বিত বা বন্ধ করে ও নিষিক্ত ডিম্বাণুকে গর্ভে স্থাপনে বাধা দেয়।
২৫-৪৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য, অথচ ইদানীং টিনএজাররা এটি ব্যবহার করে,যেহেতু প্রেসক্রিপশন ছাড়া সহজেই পাওয়া যায়। কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি যে, টিনএজারদের উপর এর কোনোই প্রভাব পড়েনা। সার্বিক বিবেচনায় বেড়ে ওঠার এই সময়টায় এই হরমোন অধিকমাত্রায় গ্রহণকে সুপারিশ করা হয়না। যদিও অধিকমাত্রায় এই জাতীয় ঔষধ গ্রহণের তেমন কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তবে এটি আপনার স্বাভাবিক ঋতুচক্রকে ব্যাহত করতে পারে। মনে রাখবেন এই হরমোন বৃদ্ধির ফলে ঋতুচক্রের স্বাভাবিকতা ব্যাহত হয়।
একটি ঋতুচক্রের সময় একবারের বেশি গ্রহণ করা যেতে পারে,কিন্তু এটি কোনো যৌক্তিক নির্বাচন নয়। কারন এটি ঘনঘন গ্রহণে অনিয়মিত ঋতুচক্র হতে পারে, যা আপনার সন্তানধারণ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি একজন নারী গর্ভনিরোধে শুধুমাত্র ইমারজেন্সি পিল ব্যবহার করে, তার গর্ভধারণের সম্ভাবনা ২০ শতাংশ থাকে; পক্ষান্তরে নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ব্যবহার করলে ১ শতাংশের কম সম্ভাবনা থাকে এবং হরমোনজনিত আন্তর্গার্ভিক কৌশলের সাহায্যে ০.১ শতাংশের কম সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এটি গর্ভপাত ঘটাবেনা। গর্ভনিরোধের নিয়মিত পদ্ধতি হিসেবে এটিকে সুপারিশ করা হয়না, কারন এটি অনেক সময় ব্যর্থ হয়। অসংরক্ষিত শারিরিক সম্পর্কের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে গর্ভনিরোধে এটি ৯৫% কার্যকর, ২৫-৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে ৮৫% কার্যকর এবং ৪৯-৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে এর কার্যকারিতা মাত্র ৫৮% (WHO)।
ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল গর্ভনিরোধের প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হলে যেমন-কনডম ছিদ্র হওয়া, নিয়মিত পিল খেতে ভুলে যাওয়া, অসংরক্ষিত বা জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের পর গ্রহণ করা হয়।
কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো-বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, মাথাব্যথা, তলপেট বা স্তনে ব্যথা হওয়া। এই পিল খাওয়ার ২ঘন্টা আগে বমি না হওয়ার ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। অনেকক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
পিরিয়ড আগে অথবা দেরীতে শুরু হতে পারে। যদি আপনার পিরিয়ড হতে ১ সপ্তাহের বেশী পার হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে হবে।
ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল গর্ভপাত ঘটায় না। যদি আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই পিল বারবার খেলেও গর্ভনিরোধ করা সম্ভব না। এমন ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি চালিয়ে গেলে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পোস্ট কয়টাল পিল-এর অধিক ব্যবহারের ফলে বন্ধ্যাত্বের গুজব থাকলেও গবেষনায় এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সামাজিকভাবে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক অবৈধ হলেও নারী পুরুষ অনেক সময় এতে লিপ্ত হয়। ব্যক্তির নিজের শরীরের প্রতি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, সংযম অথবা যৌনসঙ্গী গ্রহণ সম্পর্কে তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে তরুণদের জন্য প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, জনসংখ্যা বিষয়ে আমাদের সঠিক ধারনা নেই এবং এখনো পরিবারে যৌনশিক্ষা বিষয়ক আলোচনা করা হয়না। প্রিন্টমিডিয়া এবং অনলাইনে এ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন। “আই-পিল” এর বিজ্ঞাপনের সময় বাবা মা চ্যানেল বদলে দিয়েছেন, এমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে; যেন এড়িয়ে চলাই উত্তম পন্থা! প্রকৃতপক্ষে সকলেই এসব ব্যাপারে জানে এবং গর্ভনিরোধে ভালোভাবে চিন্তা না করেই এগুলো গ্রহণ করে থাকে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা দেখতে পাই গর্ভধারণ, যৌনস্বাস্থ্য এবং গর্ভনিরোধ সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞানের অভাবে ইমারজেন্সি পিল গ্রহণের ঝুঁকি সম্পর্কে না জেনেই অনেক তরুণী নিয়মিত এগুলো গ্রহণ করে থাকে। আমাদের লক্ষ্য হলো এক্ষেত্রে সংঘটিত কিছু ঝুঁকি তুলে ধরা এবং জরুরী ব্যবস্থার বিকল্প পদ্ধতির বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা।
কেন আপনার ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন? ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল-এ লেভোনরজেস্ট্রেল বিদ্যমান যা প্রজেস্টেরন হরমোনের সংশ্লেষণের দ্বারা উৎপন্ন। নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিলে লেভোনরজেস্ট্রেল থাকলেও তা স্বল্প মাত্রার হয়। এই পিল কৃত্রিমভাবে প্রজেস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ওভালেশনকে বিলম্বিত বা বন্ধ করে ও নিষিক্ত ডিম্বাণুকে গর্ভে স্থাপনে বাধা দেয়।
২৫-৪৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য, অথচ ইদানীং টিনএজাররা এটি ব্যবহার করে,যেহেতু প্রেসক্রিপশন ছাড়া সহজেই পাওয়া যায়। কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি যে, টিনএজারদের উপর এর কোনোই প্রভাব পড়েনা। সার্বিক বিবেচনায় বেড়ে ওঠার এই সময়টায় এই হরমোন অধিকমাত্রায় গ্রহণকে সুপারিশ করা হয়না। যদিও অধিকমাত্রায় এই জাতীয় ঔষধ গ্রহণের তেমন কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তবে এটি আপনার স্বাভাবিক ঋতুচক্রকে ব্যাহত করতে পারে। মনে রাখবেন এই হরমোন বৃদ্ধির ফলে ঋতুচক্রের স্বাভাবিকতা ব্যাহত হয়।
একটি ঋতুচক্রের সময় একবারের বেশি গ্রহণ করা যেতে পারে,কিন্তু এটি কোনো যৌক্তিক নির্বাচন নয়। কারন এটি ঘনঘন গ্রহণে অনিয়মিত ঋতুচক্র হতে পারে, যা আপনার সন্তানধারণ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি একজন নারী গর্ভনিরোধে শুধুমাত্র ইমারজেন্সি পিল ব্যবহার করে, তার গর্ভধারণের সম্ভাবনা ২০ শতাংশ থাকে; পক্ষান্তরে নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ব্যবহার করলে ১ শতাংশের কম সম্ভাবনা থাকে এবং হরমোনজনিত আন্তর্গার্ভিক কৌশলের সাহায্যে ০.১ শতাংশের কম সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এটি গর্ভপাত ঘটাবেনা। গর্ভনিরোধের নিয়মিত পদ্ধতি হিসেবে এটিকে সুপারিশ করা হয়না, কারন এটি অনেক সময় ব্যর্থ হয়। অসংরক্ষিত শারিরিক সম্পর্কের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে গর্ভনিরোধে এটি ৯৫% কার্যকর, ২৫-৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে ৮৫% কার্যকর এবং ৪৯-৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে এর কার্যকারিতা মাত্র ৫৮% (WHO)।
ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল গর্ভনিরোধের প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হলে যেমন-কনডম ছিদ্র হওয়া, নিয়মিত পিল খেতে ভুলে যাওয়া, অসংরক্ষিত বা জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের পর গ্রহণ করা হয়।
কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো-বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, মাথাব্যথা, তলপেট বা স্তনে ব্যথা হওয়া। এই পিল খাওয়ার ২ঘন্টা আগে বমি না হওয়ার ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। অনেকক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
পিরিয়ড আগে অথবা দেরীতে শুরু হতে পারে। যদি আপনার পিরিয়ড হতে ১ সপ্তাহের বেশী পার হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে হবে।
ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল গর্ভপাত ঘটায় না। যদি আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই পিল বারবার খেলেও গর্ভনিরোধ করা সম্ভব না। এমন ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি চালিয়ে গেলে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পোস্ট কয়টাল পিল-এর অধিক ব্যবহারের ফলে বন্ধ্যাত্বের গুজব থাকলেও গবেষনায় এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।