05-11-2017, 01:44 PM
শবে বরাতে নেক আমলের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য ও পুণ্য অর্জনের এক মহান সুযোগ আসে মুমিন-মুসলমানের সামনে। বছরের বিরতিতে আগত পর্বটির করণীয় আমল সম্পর্কে স্বাভাবিক কারণেই অনেকে ভ্রমের শিকার হন। তাই এ বিষয়ে আলোকপাত করা জরুরি।
নামাজ ও রোজা
১৫ শাবানের রাতে নফল নামাজ আদায় করা এবং দিনের বেলাতে নফল রোজা রাখার বিষয়ে হজরত আলী (রা.) থেকে একটি প্রসিদ্ধ হাদিস রয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসবে, তোমরা রাতে নফল নামাজ আদায় করবে আর দিনের বেলায় রোজা পালন করবে। কেননা, এ রাতে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, আছে কি কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো; আছে কি কোনো রিজিক প্রার্থনাকারী, আমি তাকে রিজিক দান করব; আছে কি কোনো বিপদাপন্ন, আমি তাকে বিপদ থেকে মুক্তি দান করব। এভাবে তিনি সূর্যোদয় পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাযা, হাদিস : ১৩৮৯)
শবেবরাতের রাতের নামাজ ও দিনের রোজা উভয়টিই নফল। নফলের নিয়তেই রাখতে হবে। যার যে কয় রাকাত পড়তে ভালো লাগে এবং যিনি যে সূরা দিয়ে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তিনি সেভাবেই পড়বেন। তবে অতি অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, সারা রাত নফল নামাজ পড়ে ফজরের ফরজ নামাজ কাজা করলে সারা রাতের ইবাদত কোনো কাজে আসবে না।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত
শবেবরাতে নফল নামাজ পড়তে পড়তে ক্লান্তি এসে গেলে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। কোরআন তিলাওয়াতকে মহানবী (সা.) সর্বোত্তম জিকির বলে অভিহিত করেছেন। কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াবও সীমাহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, তাকে ১০টি নেকি দান করা হবে। আর প্রতিটি নেকিকে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)
কবর জিয়ারত
শবেবরাতে কবর জিয়ারত করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ রাতে জান্নাতুল বাকিতে গিয়েছেন বলে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায়। তা ছাড়া কবর জিয়ারত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার দিন তার পিতা-মাতা উভয়ের অথবা তাদের যেকোনো একজনের কবর জিয়ারত করবে এবং তাদের কাছে দাঁড়িয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তাকে আয়াতের সমপরিমাণ পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (তারতীবুল আমানি, হাদিস : ২০০৪)
দরুদ শরিফ পাঠ করা
মহিমান্বিত এ রাতে বিশেষভাবে দরুদ শরিফ পাঠ করা যেতে পারে। দরুদ শরিফ পাঠ করা এমনিতেই খুব ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। মহান আল্লাহ সূরা আল-আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে মুমিনদের নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, তার ১০টি গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (আমালুল ইআওমি ওয়াল লাইলাতি, হাদিস : ৩৬৩)
নামাজ ও রোজা
১৫ শাবানের রাতে নফল নামাজ আদায় করা এবং দিনের বেলাতে নফল রোজা রাখার বিষয়ে হজরত আলী (রা.) থেকে একটি প্রসিদ্ধ হাদিস রয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসবে, তোমরা রাতে নফল নামাজ আদায় করবে আর দিনের বেলায় রোজা পালন করবে। কেননা, এ রাতে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, আছে কি কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো; আছে কি কোনো রিজিক প্রার্থনাকারী, আমি তাকে রিজিক দান করব; আছে কি কোনো বিপদাপন্ন, আমি তাকে বিপদ থেকে মুক্তি দান করব। এভাবে তিনি সূর্যোদয় পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাযা, হাদিস : ১৩৮৯)
শবেবরাতের রাতের নামাজ ও দিনের রোজা উভয়টিই নফল। নফলের নিয়তেই রাখতে হবে। যার যে কয় রাকাত পড়তে ভালো লাগে এবং যিনি যে সূরা দিয়ে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তিনি সেভাবেই পড়বেন। তবে অতি অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, সারা রাত নফল নামাজ পড়ে ফজরের ফরজ নামাজ কাজা করলে সারা রাতের ইবাদত কোনো কাজে আসবে না।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত
শবেবরাতে নফল নামাজ পড়তে পড়তে ক্লান্তি এসে গেলে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। কোরআন তিলাওয়াতকে মহানবী (সা.) সর্বোত্তম জিকির বলে অভিহিত করেছেন। কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াবও সীমাহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, তাকে ১০টি নেকি দান করা হবে। আর প্রতিটি নেকিকে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)
কবর জিয়ারত
শবেবরাতে কবর জিয়ারত করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ রাতে জান্নাতুল বাকিতে গিয়েছেন বলে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায়। তা ছাড়া কবর জিয়ারত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার দিন তার পিতা-মাতা উভয়ের অথবা তাদের যেকোনো একজনের কবর জিয়ারত করবে এবং তাদের কাছে দাঁড়িয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তাকে আয়াতের সমপরিমাণ পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (তারতীবুল আমানি, হাদিস : ২০০৪)
দরুদ শরিফ পাঠ করা
মহিমান্বিত এ রাতে বিশেষভাবে দরুদ শরিফ পাঠ করা যেতে পারে। দরুদ শরিফ পাঠ করা এমনিতেই খুব ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। মহান আল্লাহ সূরা আল-আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে মুমিনদের নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, তার ১০টি গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (আমালুল ইআওমি ওয়াল লাইলাতি, হাদিস : ৩৬৩)
Hasan