02-21-2017, 10:01 PM
ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্সের সমস্যা আছে মনে করে আপনি হয়তো সবসময় দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় পণ্য গ্রহণ করতে ও কিনতে অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু আপনার সমস্যার মূল কারণ ল্যাকটোজ নাও হতে পারে।
কিছু মানুষের ল্যাকটোজ হজমের সমস্যা থাকে। দুধে উপস্থিত চিনিকে ল্যাকটোজ বলে। শরীর যখন ল্যাকটোজকে ভাঙ্গতে অক্ষম হয় তখন ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- পেট ফাঁপা, গ্যাস, ডায়রিয়া এবং আরো অনেক গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (GI) সমস্যা হয়। কিন্তু কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই লক্ষণের কারণ দুধের প্রোটিন, চিনি নয়। দুধে প্রোটিনের এক তৃতীয়াংশই আসে বিটা-ক্যাসেইন থেকে যার দুটি গঠন আছে : A1 এবং A2। বেশিরভাগ গরুর দুধেই A1 এবং A2 উভয়েই থাকে, কিন্তু কিছু দুধে শুধু A2 থাকে। একটি গরু প্রাকৃতিকভাবেই A1 প্রোটিন উৎপন্ন করবে কিনা তা জেনেটিক টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের The a 2 Milk company এর বিজ্ঞান বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান বন্নি জনসন বলেন, ‘২০৯ টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে A1 এবং A2 প্রোটিন অভিন্ন হয়’। এ ২ মিল্ক কোম্পানি A2 প্রোটিন উৎপন্ন করে এমন গরুর দুধ বিক্রি করে। তিনি বলেন, ‘A1 এর ক্ষেত্রে অ্যামাইনো এসিড ভিন্ন ধরনের হয় যা সহজেই হজম হয়’। আপনার শরীরে A1 ভাঙ্গতে পারে কিন্তু A2 নয়। প্রোটিন ভেঙ্গে বিটা ক্যাসোমরফিন ৭ (BCM-7) উৎপন্ন হয়, যা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
GI এর উপসর্গ অনেকটাই ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্সের মত এবং স্কিন র্যাশও হতে পারে। এ২ মিল্ক কোম্পানির আর্থিক সহায়তায় একটি ছোট গবেষণা পরিচালিত হয় যা নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায় যে, যারা A2 সমৃদ্ধ দুধ পান করেন তাদের তুলনায় A1 এবং A2 উভয় প্রোটিন আছে এমন দুধ যারা ২ সপ্তাহ ধরে পান করেন তাদের হজমে অনেক বেশি অস্বস্তি হয় এবং প্রদাহও হয় অনেক বেশি। উভয় ধরনের দুধেই একই পরিমাণ ল্যাকটোজ থাকে, কিন্তু ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার সমস্যা আছে যাদের তাদের ক্ষেত্রেই পার্থক্য হতে দেখা যায়।
জনসন বলেন, A2 প্রোটিন ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু মানুষদের দুধের চিনি হজম করাকেও কঠিন করে দেয়। BCM-7 এর দ্বারা সৃষ্ট প্রদাহ অন্ত্রে উচ্চমাত্রায় শুরু হয়, হজমকে অনেক বেশি কঠিন করে দেয় যখন শরীর চিনি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। জনসন বলেন, যদি আপনি প্রদাহ বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারেন তাহলে তা ল্যাকটোজ ভাঙ্গার পরিবেশকে আরো সহনশীল করবে।
আমেরিকার একাডেমী অফ নিউট্রিশন এন্ড ডায়েটেটিক্স এর মুখপাত্র, রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান ও পুষ্টিবিদ অ্যাঞ্জেলা লেমোন্ড বলেন, A1 এড়িয়ে চললেই আপনার পরিপাকের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা ভাববেন না। গবেষণায় দাবী করা হয়েছে যে, A1 প্রোটিন হৃদরোগ, টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং অটিজম হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রে A1 এবং পরিপাকের সমস্যা নিয়ে খুবই কম গবেষণা হয়েছে এবং চূড়ান্ত কোন ফলাফল ও পাওয়া যায়নি।
যদি দুধ পান করার কারণেই আপনার পেটের সমস্যা হতে দেখা যায় তাহলে A2 সমৃদ্ধ দুধ বা ছাগলের দুধ পান করুন। ছাগলের দুধে A1 থাকেনা। জনসন বলেন, ‘তারপর ও যদি উপসর্গ থেকে যায় তাহলে তা হতে পারে ল্যাকটোজের কারণে, কারণ ছাগলের দুধেও গরুর দুধের মত ল্যাকটোজ থাকে’।
লেমন্ড বলেন, মনে রাখবেন ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স হওয়ার অর্থ এই নয় যে, আপনাকে গরুর দুধ থেকে দূরে থাকতে হবে। এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা। তিনি বলেন,’বেশিরভাগ মানুষই অল্প পরিমাণে হজম করতে পারে এবং ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন’।
সূত্র : আরডি
কিছু মানুষের ল্যাকটোজ হজমের সমস্যা থাকে। দুধে উপস্থিত চিনিকে ল্যাকটোজ বলে। শরীর যখন ল্যাকটোজকে ভাঙ্গতে অক্ষম হয় তখন ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- পেট ফাঁপা, গ্যাস, ডায়রিয়া এবং আরো অনেক গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (GI) সমস্যা হয়। কিন্তু কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই লক্ষণের কারণ দুধের প্রোটিন, চিনি নয়। দুধে প্রোটিনের এক তৃতীয়াংশই আসে বিটা-ক্যাসেইন থেকে যার দুটি গঠন আছে : A1 এবং A2। বেশিরভাগ গরুর দুধেই A1 এবং A2 উভয়েই থাকে, কিন্তু কিছু দুধে শুধু A2 থাকে। একটি গরু প্রাকৃতিকভাবেই A1 প্রোটিন উৎপন্ন করবে কিনা তা জেনেটিক টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের The a 2 Milk company এর বিজ্ঞান বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান বন্নি জনসন বলেন, ‘২০৯ টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে A1 এবং A2 প্রোটিন অভিন্ন হয়’। এ ২ মিল্ক কোম্পানি A2 প্রোটিন উৎপন্ন করে এমন গরুর দুধ বিক্রি করে। তিনি বলেন, ‘A1 এর ক্ষেত্রে অ্যামাইনো এসিড ভিন্ন ধরনের হয় যা সহজেই হজম হয়’। আপনার শরীরে A1 ভাঙ্গতে পারে কিন্তু A2 নয়। প্রোটিন ভেঙ্গে বিটা ক্যাসোমরফিন ৭ (BCM-7) উৎপন্ন হয়, যা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
GI এর উপসর্গ অনেকটাই ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্সের মত এবং স্কিন র্যাশও হতে পারে। এ২ মিল্ক কোম্পানির আর্থিক সহায়তায় একটি ছোট গবেষণা পরিচালিত হয় যা নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায় যে, যারা A2 সমৃদ্ধ দুধ পান করেন তাদের তুলনায় A1 এবং A2 উভয় প্রোটিন আছে এমন দুধ যারা ২ সপ্তাহ ধরে পান করেন তাদের হজমে অনেক বেশি অস্বস্তি হয় এবং প্রদাহও হয় অনেক বেশি। উভয় ধরনের দুধেই একই পরিমাণ ল্যাকটোজ থাকে, কিন্তু ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার সমস্যা আছে যাদের তাদের ক্ষেত্রেই পার্থক্য হতে দেখা যায়।
জনসন বলেন, A2 প্রোটিন ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু মানুষদের দুধের চিনি হজম করাকেও কঠিন করে দেয়। BCM-7 এর দ্বারা সৃষ্ট প্রদাহ অন্ত্রে উচ্চমাত্রায় শুরু হয়, হজমকে অনেক বেশি কঠিন করে দেয় যখন শরীর চিনি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। জনসন বলেন, যদি আপনি প্রদাহ বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারেন তাহলে তা ল্যাকটোজ ভাঙ্গার পরিবেশকে আরো সহনশীল করবে।
আমেরিকার একাডেমী অফ নিউট্রিশন এন্ড ডায়েটেটিক্স এর মুখপাত্র, রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান ও পুষ্টিবিদ অ্যাঞ্জেলা লেমোন্ড বলেন, A1 এড়িয়ে চললেই আপনার পরিপাকের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা ভাববেন না। গবেষণায় দাবী করা হয়েছে যে, A1 প্রোটিন হৃদরোগ, টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং অটিজম হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রে A1 এবং পরিপাকের সমস্যা নিয়ে খুবই কম গবেষণা হয়েছে এবং চূড়ান্ত কোন ফলাফল ও পাওয়া যায়নি।
যদি দুধ পান করার কারণেই আপনার পেটের সমস্যা হতে দেখা যায় তাহলে A2 সমৃদ্ধ দুধ বা ছাগলের দুধ পান করুন। ছাগলের দুধে A1 থাকেনা। জনসন বলেন, ‘তারপর ও যদি উপসর্গ থেকে যায় তাহলে তা হতে পারে ল্যাকটোজের কারণে, কারণ ছাগলের দুধেও গরুর দুধের মত ল্যাকটোজ থাকে’।
লেমন্ড বলেন, মনে রাখবেন ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স হওয়ার অর্থ এই নয় যে, আপনাকে গরুর দুধ থেকে দূরে থাকতে হবে। এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা। তিনি বলেন,’বেশিরভাগ মানুষই অল্প পরিমাণে হজম করতে পারে এবং ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন’।
সূত্র : আরডি
Hasan