02-21-2017, 10:24 PM
রিইউজেবল প্লাস্টিকের বা অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল আমরা অনেকেই ব্যবহার করি ইদানিং। কারণ এগুলো প্রকৃতিবান্ধব এবং খরচটাও বাঁচায়। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার রাখার দিকে কিন্তু আমরা খুব একটা মনযোগী নই। মাঝে মাঝে আমরা না ধুয়েই অনেকদিন ধরে ব্যবহার করতে থাকি প্লাস্টিকের পানির বোতল। ফলে পানির সাথে অনেকগুলো জীবাণুও পান করে ফেলি প্রতিনিয়ত।
২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, এসব বোতলে রয়ে যায় ঘরের সবচাইতে নোংরা জিনিসগুলোর সমপরিমাণ জীবাণু (যেমন টুথব্রাশ হোল্ডার, টয়লেট সিট এবং কুকুর-বিড়ালের খেলনা)।
গবেষকেরা তিন ধরণের পানির বোতল থেকে ১২টি করে নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব বোতল ১ সপ্তাহ না ধুয়েই ব্যবহার করা হচ্ছিল। এসব নমুনা ল্যাবোরেটরিতে নিয়ে দেখা যায়, কিছু বোতলে প্রতি স্কয়ার সেন্টিমিটারে মোটামুটি ৩ লক্ষ কলোনি-ফর্মিং ব্যাকটেরিয়া থাকে। এর চাইতে বরং খেলনাতেও থাকে কম ব্যাকটেরিয়া। তবে এই গবেষণা বড় কোনো জার্নালে প্রকাশিত হয়নি এবং এতে তেমন বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়নি। এ কারণে একে একদম শক্ত প্রমাণ বলে ধরে নেওয়া যাবে না। তবে না ধুয়ে বোতল রেখে দেওয়া যে বড় ভুল, তা এই গবেষণা এবং পূর্বের এ ধরণের গবেষণা থেকে বোঝাই যায়।
২০০২ সালে কানাডিয়ান জার্নাল অফ পাবলিক হেলথে প্রকাশিত এক গবেষণা ৭০টিরও বেশী স্যাম্পল নেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোতল থেকে। এর অনেকগুলোই না ধুয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল। দেখা যায়, দুই-তৃতীয়াংশ বোতলের স্যাম্পলে আছে অনেক উচ্চমাত্রার ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া আসে সাধারণত এসব বাচ্চার হাত থেকে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তার স্কুলের টয়লেট ব্যবহারের পর ঠিকভাবে হাত ধোয় না, ফলে জীবাণু ছড়াতে পারে ক্লাসরুমে।
শুধু তাই নয়, রুম টেম্পারেচারে অপরিষ্কার বোতলের আর্দ্রতায়ও অনেক জীবাণু জন্মাতে পারে, এটাও আপনাকে করে তুলতে পারে অসুস্থ। বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে এই বোতল থেকে পানি পান করলে।
কী করতে হবে এই সমস্যা এড়াতে?
খুব চিন্তিত হবার কিছু নেই, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এভাবে অসুস্থ হলেও তা সেরে যেতে বেশী সময় লাগবে না। কিন্তু কিছু কিছু ইনফেকশন আবার কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনাকে ভোগাতে পারে। এর জন্য নিয়মিত বোতল ধুয়ে রাখাটাই সবচাইতে ভাল উপায়। স্টেইনলেস স্টিলের বোতল ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানি, সাবান এবং বটল ব্রাশ ব্যবহার করে প্রতিদিন ভালো করে ধুয়ে নিন আপনার বোতল। আর নিয়মিত হাত ধুতেও ভুলবেন না কিন্তু।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
Hello World!:
- tes
- Hello Friends . Welcome Back
২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, এসব বোতলে রয়ে যায় ঘরের সবচাইতে নোংরা জিনিসগুলোর সমপরিমাণ জীবাণু (যেমন টুথব্রাশ হোল্ডার, টয়লেট সিট এবং কুকুর-বিড়ালের খেলনা)।
গবেষকেরা তিন ধরণের পানির বোতল থেকে ১২টি করে নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব বোতল ১ সপ্তাহ না ধুয়েই ব্যবহার করা হচ্ছিল। এসব নমুনা ল্যাবোরেটরিতে নিয়ে দেখা যায়, কিছু বোতলে প্রতি স্কয়ার সেন্টিমিটারে মোটামুটি ৩ লক্ষ কলোনি-ফর্মিং ব্যাকটেরিয়া থাকে। এর চাইতে বরং খেলনাতেও থাকে কম ব্যাকটেরিয়া। তবে এই গবেষণা বড় কোনো জার্নালে প্রকাশিত হয়নি এবং এতে তেমন বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়নি। এ কারণে একে একদম শক্ত প্রমাণ বলে ধরে নেওয়া যাবে না। তবে না ধুয়ে বোতল রেখে দেওয়া যে বড় ভুল, তা এই গবেষণা এবং পূর্বের এ ধরণের গবেষণা থেকে বোঝাই যায়।
২০০২ সালে কানাডিয়ান জার্নাল অফ পাবলিক হেলথে প্রকাশিত এক গবেষণা ৭০টিরও বেশী স্যাম্পল নেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোতল থেকে। এর অনেকগুলোই না ধুয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল। দেখা যায়, দুই-তৃতীয়াংশ বোতলের স্যাম্পলে আছে অনেক উচ্চমাত্রার ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া আসে সাধারণত এসব বাচ্চার হাত থেকে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তার স্কুলের টয়লেট ব্যবহারের পর ঠিকভাবে হাত ধোয় না, ফলে জীবাণু ছড়াতে পারে ক্লাসরুমে।
শুধু তাই নয়, রুম টেম্পারেচারে অপরিষ্কার বোতলের আর্দ্রতায়ও অনেক জীবাণু জন্মাতে পারে, এটাও আপনাকে করে তুলতে পারে অসুস্থ। বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে এই বোতল থেকে পানি পান করলে।
কী করতে হবে এই সমস্যা এড়াতে?
খুব চিন্তিত হবার কিছু নেই, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এভাবে অসুস্থ হলেও তা সেরে যেতে বেশী সময় লাগবে না। কিন্তু কিছু কিছু ইনফেকশন আবার কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনাকে ভোগাতে পারে। এর জন্য নিয়মিত বোতল ধুয়ে রাখাটাই সবচাইতে ভাল উপায়। স্টেইনলেস স্টিলের বোতল ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানি, সাবান এবং বটল ব্রাশ ব্যবহার করে প্রতিদিন ভালো করে ধুয়ে নিন আপনার বোতল। আর নিয়মিত হাত ধুতেও ভুলবেন না কিন্তু।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
Hello World!:
- tes
- Hello Friends . Welcome Back
Hasan