01-19-2017, 12:42 AM
স্বীকার করুন আর নাই করুন, এই সমস্যাটি কিন্তু অনেকের
জীবনেই আছে। কোন একটা বিচিত্র কারণে মানুষ
কখনোই তাঁর প্রাক্তন প্রেমকে ভুলতে পারে না। বরং
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বিয়ের কিছুদিন না
যেতেই প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি আগ্রহী
হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। এই আগ্রহ থেকে জন্ম নেয়
অশান্তি, শুরু হয় ভাঙন, ক্রমশ দূরে চলে যেতে থাকেন
পাশের মানুষটি। আপনিও কি এমন সমস্যায় ভুগছেন? আপনার
স্বামী বা স্ত্রী কি এখনো যোগাযোগ রাখছেন তাঁর
প্রাক্তন প্রেমের সাথে কিংবা তাঁর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ
করছেন? এবং বিষয়টি কি আপনার মোটেও ভালো লাগছে
না? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই। জেনে নিন এমন
অবস্থায় আনতে কী করবেন।
১) প্রথমে নিশ্চিত হোন আসলেই যোগাযোগ করছেন
কিনা
কেবল সন্দেহের বশে কিছু করতে যাবেন না। আগে
ভালো করে খতিয়ে দেখুন যে আসলেই যোগাযোগ
করছেন কিনা এবং কে আগে যোগাযোগ করেছেন।
এমনও হতে পারে যে আপনার জীবনসঙ্গী আগ্রহী নন,
অপর পাশ থেকেই অধিক আগ্রহ। তাই তিনি হয়তো ভদ্রতা
করে জবাব দিচ্ছেন। আবার এমনও হতে পারে যে আগ
বাড়িয়ে আপনার জীবন সঙ্গীই যোগাযোগ করেছেন।
দুটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি।
২) যোগাযোগের মাধ্যমটি কী?
কীভাবে যোগাযোগ হচ্ছে তাঁদের? কর্মক্ষেত্রে,
ফোনে, ফেসবুকে বা অন্য কোন সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং সাইটে? নাকি দেখা হচ্ছে মুখোমুখি? তাঁদের
যোগাযোগের মাধ্যমটিই বলে দেবে সম্পর্কের
ঘনিষ্ঠতা কিংবা আবারও প্রেমে জড়িয়েছেন কিনা তাঁরা।
৩) লক্ষ্য করুন আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব
আপনি জানেন কি যোগাযোগ রাখছেন প্রাক্তন প্রেমের
সাথে, কিন্তু সেই কথা কি তিনি নিজেই আপনাকে বলেছেন বা
আপনাকে জানিয়ে করেছেন যোগাযোগ? যোগাযোগ
হবার পর কি আপনাদের আন্তরিকতায় ভাঁটা পড়েছে? নাকি হুট
করে আপনার প্রতি বেড়ে গেছে তাঁর কেয়ার? দুটোই
কিন্তু অশনি সংকেত!
৪) অভিমান করে বসে না থেকে কথা বলুন সরাসরি
হ্যাঁ, খুব অভিমান হচ্ছে আপনার। কষ্টও হচ্ছে খুব। কিন্তু মুখ
বুঝে বসে থাকলে সমাধান হবে না কিছুই। বরং কথা বলুন
জীবন সঙ্গীর সাথে। কেন তিনি এমন করছেন, তাঁর আসল
উদ্দেশ্য কী জানতে চান। আপনার যে বসিহয়তি খারাপ
লাগছে এবং আপনাদের দাম্পত্যের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটিও
বুঝিয়ে বলুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে দিন তাঁকেই।
৫) সেই মানুষটির সামনে নিজেকে ছোট করবেন না
জীবনসঙ্গীর প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে
যোগাযোগ বা তাঁকে অনুরোধ করা আপনাদের জীবন
থেকে সরে যাওয়ার জন্য, এই কাজটি করতে যাবেন না
ভুলেও।
৬) শাস্তি সরূপ নিজেকে একটু গুটিয়ে নিন, তবে সরে
যাবেন না
কষ্ট পেয়েছেন, সেটা সঙ্গীকে বুঝতে দিন। ফিল
করতে দিন। কিন্তু তাই বলে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না বা
তাঁকে দূরেও ঠেলে দেবেন না।
৭) মনকে শান্ত রাখুন, ঝগড়া বা রাগারাগি নয়
যদি সত্যিই আপনার জীবনসঙ্গী আবারও তাঁর প্রাক্তন
প্রেমের প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং আপনার শত
চেষ্টা সত্ত্বেও সরে আসতে রাজি নন, তাহলে ঝগড়া বা
রাগারাগি করে কী লাভ হবে বলুন? বরং উল্টো সমস্যা আরও
বাড়বে। তাই মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।
৮) সহায়তা নিতে পারেন বড়দের
বাড়ির মুরুব্বি কারো সাথে আলোচনা করতে পারেন বিষয়টি
নিয়ে। তাঁদের জীবন অভিজ্ঞতা আপনার চাইতে অনেক
বেশী। দেখবেন একটা সমাধান হয়তো ঠিক বের হয়ে
আসবে।
৯) শেষ সিদ্ধান্তটি আপনার
যদি সব সিদ্ধান্ত বিফল হয়েই যায়, তবে এবার আপনার পালা
সিদ্ধান্ত নেবার। জীবন আপনার, সম্পর্ক আপনার। নিজেকে
সরিয়ে নিতে চান, নাকি এভাবেই রয়ে-সয়ে থাকতে চান
সেটা নিজেই ভেবে ঠিক করুন। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে কিছু
অপরাধ ক্ষমা খরতে হয় না, তাহলে সেগুলো বারবার
পেয়ে বসে।
জীবনেই আছে। কোন একটা বিচিত্র কারণে মানুষ
কখনোই তাঁর প্রাক্তন প্রেমকে ভুলতে পারে না। বরং
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বিয়ের কিছুদিন না
যেতেই প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি আগ্রহী
হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। এই আগ্রহ থেকে জন্ম নেয়
অশান্তি, শুরু হয় ভাঙন, ক্রমশ দূরে চলে যেতে থাকেন
পাশের মানুষটি। আপনিও কি এমন সমস্যায় ভুগছেন? আপনার
স্বামী বা স্ত্রী কি এখনো যোগাযোগ রাখছেন তাঁর
প্রাক্তন প্রেমের সাথে কিংবা তাঁর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ
করছেন? এবং বিষয়টি কি আপনার মোটেও ভালো লাগছে
না? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই। জেনে নিন এমন
অবস্থায় আনতে কী করবেন।
১) প্রথমে নিশ্চিত হোন আসলেই যোগাযোগ করছেন
কিনা
কেবল সন্দেহের বশে কিছু করতে যাবেন না। আগে
ভালো করে খতিয়ে দেখুন যে আসলেই যোগাযোগ
করছেন কিনা এবং কে আগে যোগাযোগ করেছেন।
এমনও হতে পারে যে আপনার জীবনসঙ্গী আগ্রহী নন,
অপর পাশ থেকেই অধিক আগ্রহ। তাই তিনি হয়তো ভদ্রতা
করে জবাব দিচ্ছেন। আবার এমনও হতে পারে যে আগ
বাড়িয়ে আপনার জীবন সঙ্গীই যোগাযোগ করেছেন।
দুটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি।
২) যোগাযোগের মাধ্যমটি কী?
কীভাবে যোগাযোগ হচ্ছে তাঁদের? কর্মক্ষেত্রে,
ফোনে, ফেসবুকে বা অন্য কোন সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং সাইটে? নাকি দেখা হচ্ছে মুখোমুখি? তাঁদের
যোগাযোগের মাধ্যমটিই বলে দেবে সম্পর্কের
ঘনিষ্ঠতা কিংবা আবারও প্রেমে জড়িয়েছেন কিনা তাঁরা।
৩) লক্ষ্য করুন আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব
আপনি জানেন কি যোগাযোগ রাখছেন প্রাক্তন প্রেমের
সাথে, কিন্তু সেই কথা কি তিনি নিজেই আপনাকে বলেছেন বা
আপনাকে জানিয়ে করেছেন যোগাযোগ? যোগাযোগ
হবার পর কি আপনাদের আন্তরিকতায় ভাঁটা পড়েছে? নাকি হুট
করে আপনার প্রতি বেড়ে গেছে তাঁর কেয়ার? দুটোই
কিন্তু অশনি সংকেত!
৪) অভিমান করে বসে না থেকে কথা বলুন সরাসরি
হ্যাঁ, খুব অভিমান হচ্ছে আপনার। কষ্টও হচ্ছে খুব। কিন্তু মুখ
বুঝে বসে থাকলে সমাধান হবে না কিছুই। বরং কথা বলুন
জীবন সঙ্গীর সাথে। কেন তিনি এমন করছেন, তাঁর আসল
উদ্দেশ্য কী জানতে চান। আপনার যে বসিহয়তি খারাপ
লাগছে এবং আপনাদের দাম্পত্যের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটিও
বুঝিয়ে বলুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে দিন তাঁকেই।
৫) সেই মানুষটির সামনে নিজেকে ছোট করবেন না
জীবনসঙ্গীর প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে
যোগাযোগ বা তাঁকে অনুরোধ করা আপনাদের জীবন
থেকে সরে যাওয়ার জন্য, এই কাজটি করতে যাবেন না
ভুলেও।
৬) শাস্তি সরূপ নিজেকে একটু গুটিয়ে নিন, তবে সরে
যাবেন না
কষ্ট পেয়েছেন, সেটা সঙ্গীকে বুঝতে দিন। ফিল
করতে দিন। কিন্তু তাই বলে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না বা
তাঁকে দূরেও ঠেলে দেবেন না।
৭) মনকে শান্ত রাখুন, ঝগড়া বা রাগারাগি নয়
যদি সত্যিই আপনার জীবনসঙ্গী আবারও তাঁর প্রাক্তন
প্রেমের প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং আপনার শত
চেষ্টা সত্ত্বেও সরে আসতে রাজি নন, তাহলে ঝগড়া বা
রাগারাগি করে কী লাভ হবে বলুন? বরং উল্টো সমস্যা আরও
বাড়বে। তাই মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।
৮) সহায়তা নিতে পারেন বড়দের
বাড়ির মুরুব্বি কারো সাথে আলোচনা করতে পারেন বিষয়টি
নিয়ে। তাঁদের জীবন অভিজ্ঞতা আপনার চাইতে অনেক
বেশী। দেখবেন একটা সমাধান হয়তো ঠিক বের হয়ে
আসবে।
৯) শেষ সিদ্ধান্তটি আপনার
যদি সব সিদ্ধান্ত বিফল হয়েই যায়, তবে এবার আপনার পালা
সিদ্ধান্ত নেবার। জীবন আপনার, সম্পর্ক আপনার। নিজেকে
সরিয়ে নিতে চান, নাকি এভাবেই রয়ে-সয়ে থাকতে চান
সেটা নিজেই ভেবে ঠিক করুন। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে কিছু
অপরাধ ক্ষমা খরতে হয় না, তাহলে সেগুলো বারবার
পেয়ে বসে।
Hasan