Forums.Likebd.Com

Full Version: .....ফিরে পাওয়ার গল্প.....
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
গলাটা কষে এসেছে।পানি খাওয়া খুব জরুরী।
টেবিলে রাখা গ্লাসটাতে পানি ভরে চুমুক দিতে
গিয়ে ছুঁড়ে ফেলে রাস্তায় দৌড় শুরু করে
ছেলেটা।পুরো চার কিলোমিটার পথ
দৌড়ানোর পর পৌঁছায় এক বিয়ে বাড়িতে।
বিয়ে বাড়ির মূল ফটোকে ম্যাজিক বাতিতে
'শুভ বিবাহ' লেখা জলজল করছে।আর বাড়ির
চারপাশে জ্যোত্স্না বাতিতে আলোকিত
হয়ে আছে।বাচ্চারা ছুটাছুটি করছে,অনেকেই
জটলা পাকিয়ে গল্পের আসর জমিয়েছে।
সবাই আনন্দে হাসছে।শুধু কাঁদছে বিয়ের কনে
হৃদি।
.
হৃদির ফোন বেজে ওঠে-
-কিরে ঘাসফড়িং... কাল তোর বিয়ে তাই না?
-হ্যাঁ রে শুয়োপোকা!তুই জানিস না?(কান্না
লুকিয়ে)
-এলার্ম কার্ড তো দিয়েছিসই।তাতেই
দেখলাম তোর বিয়ে।
-হ্যাঁ তুই খুশি হইসনি?
-ঐ ঘাসফড়িং এটা কোন কথা হলো তোর
বিয়ে আর আমি খুশি হবো না?তবে বিয়েটা
কয়েকদিন পরে করলেই পারতিস।
-কেন তুই আমাকে বিয়ে করতিস?
-ধুর তোর মত একটা ঘাসফড়িংকে আমি
বিয়ে করবো?নিজেকে কখনো আয়নায়
দেখেছিস? (বুকের ভিতর ছ্যাঁত্ করে ওঠে)
-ওহ তাহলে?
-আমার বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে দেবে কে?
-সেটা তো আমার বিয়ের পরও দিতে
পারবো।
-ওহ তা বটে! আচ্ছা বরকে ইমপ্রেস করার
জন্য অনেক করে সাজুগুজু কর।রাখছি।
-আচ্ছা ভাল থাকিস।
.
যাওয়ার সময় চার কিলোমিটারের রাস্তা
যেনো চার মিনিটে ফুরিয়ে গিয়েছিল।আর
এখন মনে হচ্ছে চার রাতেও ফুরাবে না।পা
এঁটে আসছে।পকেট থেকে সিগারেটটা ঠোঁটে
জ্বালিয়ে টানছে সুপ্ত।
.
ফোন বেজে ওঠে...
-কি রে ঘাসফড়িং আবার ফোন দিলি কেন?
-একটা কথা জানার ছিল!
-বল...
-তুই রবিকে পিটিয়েছিলি কেন?
-কেন আবার!তোকে টিজ করেছিল তাই।
-আর সোহান তো টিজ করেছিল না তাহলে
ওকে কেন পেটালি?
-ছাড় না এসব কথা।রুমে গিয়ে ফোন দিবো
রাখ।
-না এখনি বলতে হবে।
-জেদ করিস না হৃদি।
-হুম বলতেই হবে।
-সোহান তোর দিকে অন্যদৃষ্টিতে
তাকাতো।
-তাতে তোর কি?
-আমার ভাল লাগেনি ঐটা।
-কেন?আমাকে ভালবাসিস?
-ধ্যাঁত!!! রাখছি।(বুকের মাঝখানে ছোড়া
বসিয়ে দিয়েছে)
.
ঘুম আসছে না সুপ্ত'র।কিসের যেনো শূন্যতা অনুভব করছে।
টেবিলের ড্রয়ার খুলে
দেখে কয়েকটা ঘুমের ঔষুধ।কোন কথা না
ভেবেই মুখে পুড়ে খেয়ে নিলো।
.
পরদিন সকাল ১১টা।
ছেলেটার ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছে কেউ
শার্টের কলার ধরে টানছে।কোন রকম
চোখটা খুলে যা দেখলো তার জন্য মোটেও
প্রস্তুত ছিল না।দেখছে- হৃদি সুপ্ত'র বুকে
মাথা ঠুকে ঠুকে কাঁদছে।তার পাশে সুপ্ত'র
মা।
-কি রে কি হইছে হৃদি?(আচমকা জেগে উঠে)
-তুই আমাকে ভালবাসিস সেটা আগে বলিসনি
কেন?
-এখনো তো বলিনি!
-বলিসনি তাতে কি,আমাকে টিজ করা দেখে
যে ছেলের খারাপ লাগতে পারে,অন্য নজরে যে
ভুল ধরতে পারে সে কি আমাকে ভাল না বেসে
পারে?
-হুম ভালবাসি।
-এই কথাটা আগে বললে কি হতো?
-এখন আর বলেই কি হবে!সব তো হয়ে গেছে।
-কিছু হয়নি চল এখনি আমাকে বিয়ে করবি।
-কিন্তু তোর তো আজ বিয়ে।
-একদম রাগাবি না বলছি।তোর বিয়ে করা
বউকে আবার কে বিয়ে করতে আসবে?
-হুম সেটাও ঠিক।আর এখন থেকে আমাকে
'তুই' না বলে মিষ্টি করে 'তুমি' বলতে হবে।
-সব হবে স্যার!
.
আচমকা ধেঁয়ে আসা ভালবাসাগুলো সব সময়