02-22-2017, 12:23 AM
" শেষ বয়সে "
.
লেখাঃ এন্তাজুল হক (রনি)
...
....
"" কি ব্যাপার চলে আসলে যে ?
.
আমি মুখে কিছুই বললাম না শুধু এক
নজরে চেয়ে আছি নুযাইফার
দিকে ! এই মুখ টার দিকে তাকালে
আমি সব ভুলে যাই।কোথায় যেন
একটা চেহারাই মিল খুজে পাই।
.
আমার তাকানো দেখে নুযাইফা
আমার থেকে চোখ নামিয়ে
নিচের দিকে তাকিয়ে রহিলো।এই
মেয়েটা এমনই আমি যখন নুযাইফার
দিকে তাকায় তখন মেয়েটা চোখ
নামিয়ে ফেলে।নুযাইফাকে
মেয়ে বললে চলে না ।এক রকম
বৃদ্ধাই বলাই চলে। বয়সতো আর কম
হয়নি,, আমার থেকে দশ বছরের
ছোট হবে।আমার বয়স যদি সত্তর
হয় তা হলে নুযাইফার বয়স হবে ষাট
বছর """।
.
কয়দিন আগে আমার ছেলেরা
আমাকে নিতে বৃদ্ধাআশ্রমে
এসেছিল।আমি যেতে চাইলাম না তবু
ও ছেলেদের জোড়াজুড়িতে
আমাকে যেতে হলো।যাওয়ার
আগে নুযাইফার সাথে দেখা করলাম,
বললাম চলে যাচ্ছি সময় হলে
আপনাকে দেখে যাবো।দেখলাম
নুযাইফার চোখে পানি চিকচিক
করছে,
এতোদিন ধরে ওদের সাথে ছিলাম
তাই হয়তো একটু মন কাঁদছে মনে
হয়।
.
বাড়িতে গিয়ে প্রথম দিন ভালো
কাটলো, সবাই ভালো ব্যবহার
করলে ও পরের দিন থেকে আবার
আগের মতো সবাই খারাপ আচারন
শুরু করছে।নুযাইফার কথা বার বার
মনেপড়তেছে শেষ বয়সে
এসে
বন্ধুর মতো ছিলাম, জানিনা নুযাইফার
এখন কিআবস্তা।এখানে ছেলে আর
ছেলের বউ এর আচারণ সুবিদা মনে
হচ্ছে না।
তাই চলে গেলাম আবার
বৃদ্ধাআশ্রমে।বৃদ্ধাআশ্রমে এসে
নুযাইফারর সাথে দেখা হাওয়ার সাথে
সাথে উপরে কথাটাই বললো..।
.
আমার চুপ থাকা দেখে নুযাইফা আবার
বললো,,?
.
" কি বলবেনা কি কারণে চলে এলে
আবার"
.
নুযাইফারর সাথে আমার পরিচয় হয়
বৃদ্ধাআশ্রমে।আমি আর আমার সহ
পাঠিরা মিলে গল্প করতেছি
বৃদ্ধাআশ্রমে।দেখলাম একটা পিকঅাপ
এসেছে একটা বৃদ্ধা মহিলা সহ তখন
আজাদ ভাই ডাক দিল বললো,,
রনি সাহেব তোমরা এদিকে একটু
আসবে কিছু মালপত্র ধরতে হবে।
যখন মালপত্র নামাতে লাগলাম তখন
একটা মহিলা এসে বললো আমি ও
আপনাদের সাহায্য করি,,আমরা বললাম
না,,আমরাই পারবো।
.
মালপত্র নামানো শেষে আমার
কাছে এসে বললো আমার নাম
নুযাইফা, আজ থেকে আমি ও
থাকবো আপনাদের সাথে।আমি কিছুই
বললাম না মনে মনে ভাবি মেয়েটা
একদম রিমার মতো।রিমা হলো আমার
স্ত্রী।মারা গেল প্রায় পাঁচ বছর
হবে।আমার আবার একটা সমস্যা
আছে কেউ আমাকে প্রশ্ন
করলে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে
তারপর প্রশ্নটার উওর দিয়। নুযাইফা
বললো আপনি কিছু বলছেন না
কেন,,?আমি বললাম আমি রনি মাহমুদ
এখানে আছি প্রায় চার বছর হলো।
--নুযাইফা বললো আপনার আর কেউ
নেই,,,?
--আছে ছেলে মেয়ে সবই
আছে।
--- আপনার স্ত্রী আছে ?
--ছিল এখন বেছে নেই মারা
গেছে।
.
আমার স্ত্রী রিমা মারা যাওয়ার পর আমি
একেবারে ভেঙ্গে পড়েছি।কয়
এক মাস ভালো কাটলে ও পরের
থেকে ছেলের আচারণ
ছেলের বউ এর আচারণ পাল্টে
যাচ্ছে. দিন দিন আমি যেন তাদের
বোঝা হয়ে যাচ্ছি।তার কয়দিন পরে
ছেলে আর মেয়েদের
ডেকে জায়গা সম্পদ টাকা পয়সা সব
সমান ভাবে ভাগ করে দিয়ে আমি
বৃদ্ধাআশ্রমে চলে আসি।।
কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে
পারলাম নুযাইফার ও একিই সমস্যা।নুযাইফার
স্বামী মারা যাওয়ার পর সমস্ত টাকা
পয়সা ছেলে মেয়েদের দিয়ে
এই
বৃদ্ধাআশ্রমে চলে আসে, একটু
সুখ শান্তিতে থাকার জন্য।তখন
থেকেই নুযাইফার সাথে
পথ চলা, আমরা দুইজন খুব ভালো বন্ধু
হয়ে গেলাম,,আসলে নুযাইফা
চেহারাই সাথে রিমার চেহারার সাথে
কিছুটা মিল আছে...।
"নুযাইফার কথায় বাস্তবে ফিরলাম।
"কি হলো কোথায় হারিয়ে
গেলে।
.
এই মেয়েটা একদম রিমার মতো।
যে কোনো কিছু প্রশ্ন করলে
উওর দেওয়া ছাড়া আর থামেই না।আমি
বললাম এমনি চলে আসলাম।এমনি নাকি
অন্য কোনো কারণ আছে।।
এই মেয়েটা একদম রিমার মতো
ফাজিল।আমি বললাম কারণতো একটাই
আছে।নুযাইফা দিকে তাকিয়ে বললাম
আমার এই বান্ধবী কে ছাড়া থাকতে
পারছি না।এ কি বুড়া বয়সে আমার
প্রেমে পড়লে নাকি।পড়লে ও
পড়তে পারি তাতে ক্ষতি কি।এইটা বলার
সাথে সাথে নুযাইফা আমাকে জড়িয়ে
ধরলো।
.
এই নুযাইফা সাবাই দেখছেতো
দেখলে দেখুক। এই বুড়া বয়সে
যতদিন বেচে থাকি ততদিন তোমার
সঙ্গেই কাটাবো।
আমার কেমন জানি লাগে শেষ
বয়সে এসে আমি আবার প্রেমে
পড়লাম। ভাবতেই আমার অবাক লাগে।
যাক অন্তত বুড়া বয়সে একজন সঙ্গি
পেলাম।।
...
...সমাপ্ত....
.
লেখাঃ এন্তাজুল হক (রনি)
...
....
"" কি ব্যাপার চলে আসলে যে ?
.
আমি মুখে কিছুই বললাম না শুধু এক
নজরে চেয়ে আছি নুযাইফার
দিকে ! এই মুখ টার দিকে তাকালে
আমি সব ভুলে যাই।কোথায় যেন
একটা চেহারাই মিল খুজে পাই।
.
আমার তাকানো দেখে নুযাইফা
আমার থেকে চোখ নামিয়ে
নিচের দিকে তাকিয়ে রহিলো।এই
মেয়েটা এমনই আমি যখন নুযাইফার
দিকে তাকায় তখন মেয়েটা চোখ
নামিয়ে ফেলে।নুযাইফাকে
মেয়ে বললে চলে না ।এক রকম
বৃদ্ধাই বলাই চলে। বয়সতো আর কম
হয়নি,, আমার থেকে দশ বছরের
ছোট হবে।আমার বয়স যদি সত্তর
হয় তা হলে নুযাইফার বয়স হবে ষাট
বছর """।
.
কয়দিন আগে আমার ছেলেরা
আমাকে নিতে বৃদ্ধাআশ্রমে
এসেছিল।আমি যেতে চাইলাম না তবু
ও ছেলেদের জোড়াজুড়িতে
আমাকে যেতে হলো।যাওয়ার
আগে নুযাইফার সাথে দেখা করলাম,
বললাম চলে যাচ্ছি সময় হলে
আপনাকে দেখে যাবো।দেখলাম
নুযাইফার চোখে পানি চিকচিক
করছে,
এতোদিন ধরে ওদের সাথে ছিলাম
তাই হয়তো একটু মন কাঁদছে মনে
হয়।
.
বাড়িতে গিয়ে প্রথম দিন ভালো
কাটলো, সবাই ভালো ব্যবহার
করলে ও পরের দিন থেকে আবার
আগের মতো সবাই খারাপ আচারন
শুরু করছে।নুযাইফার কথা বার বার
মনেপড়তেছে শেষ বয়সে
এসে
বন্ধুর মতো ছিলাম, জানিনা নুযাইফার
এখন কিআবস্তা।এখানে ছেলে আর
ছেলের বউ এর আচারণ সুবিদা মনে
হচ্ছে না।
তাই চলে গেলাম আবার
বৃদ্ধাআশ্রমে।বৃদ্ধাআশ্রমে এসে
নুযাইফারর সাথে দেখা হাওয়ার সাথে
সাথে উপরে কথাটাই বললো..।
.
আমার চুপ থাকা দেখে নুযাইফা আবার
বললো,,?
.
" কি বলবেনা কি কারণে চলে এলে
আবার"
.
নুযাইফারর সাথে আমার পরিচয় হয়
বৃদ্ধাআশ্রমে।আমি আর আমার সহ
পাঠিরা মিলে গল্প করতেছি
বৃদ্ধাআশ্রমে।দেখলাম একটা পিকঅাপ
এসেছে একটা বৃদ্ধা মহিলা সহ তখন
আজাদ ভাই ডাক দিল বললো,,
রনি সাহেব তোমরা এদিকে একটু
আসবে কিছু মালপত্র ধরতে হবে।
যখন মালপত্র নামাতে লাগলাম তখন
একটা মহিলা এসে বললো আমি ও
আপনাদের সাহায্য করি,,আমরা বললাম
না,,আমরাই পারবো।
.
মালপত্র নামানো শেষে আমার
কাছে এসে বললো আমার নাম
নুযাইফা, আজ থেকে আমি ও
থাকবো আপনাদের সাথে।আমি কিছুই
বললাম না মনে মনে ভাবি মেয়েটা
একদম রিমার মতো।রিমা হলো আমার
স্ত্রী।মারা গেল প্রায় পাঁচ বছর
হবে।আমার আবার একটা সমস্যা
আছে কেউ আমাকে প্রশ্ন
করলে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে
তারপর প্রশ্নটার উওর দিয়। নুযাইফা
বললো আপনি কিছু বলছেন না
কেন,,?আমি বললাম আমি রনি মাহমুদ
এখানে আছি প্রায় চার বছর হলো।
--নুযাইফা বললো আপনার আর কেউ
নেই,,,?
--আছে ছেলে মেয়ে সবই
আছে।
--- আপনার স্ত্রী আছে ?
--ছিল এখন বেছে নেই মারা
গেছে।
.
আমার স্ত্রী রিমা মারা যাওয়ার পর আমি
একেবারে ভেঙ্গে পড়েছি।কয়
এক মাস ভালো কাটলে ও পরের
থেকে ছেলের আচারণ
ছেলের বউ এর আচারণ পাল্টে
যাচ্ছে. দিন দিন আমি যেন তাদের
বোঝা হয়ে যাচ্ছি।তার কয়দিন পরে
ছেলে আর মেয়েদের
ডেকে জায়গা সম্পদ টাকা পয়সা সব
সমান ভাবে ভাগ করে দিয়ে আমি
বৃদ্ধাআশ্রমে চলে আসি।।
কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে
পারলাম নুযাইফার ও একিই সমস্যা।নুযাইফার
স্বামী মারা যাওয়ার পর সমস্ত টাকা
পয়সা ছেলে মেয়েদের দিয়ে
এই
বৃদ্ধাআশ্রমে চলে আসে, একটু
সুখ শান্তিতে থাকার জন্য।তখন
থেকেই নুযাইফার সাথে
পথ চলা, আমরা দুইজন খুব ভালো বন্ধু
হয়ে গেলাম,,আসলে নুযাইফা
চেহারাই সাথে রিমার চেহারার সাথে
কিছুটা মিল আছে...।
"নুযাইফার কথায় বাস্তবে ফিরলাম।
"কি হলো কোথায় হারিয়ে
গেলে।
.
এই মেয়েটা একদম রিমার মতো।
যে কোনো কিছু প্রশ্ন করলে
উওর দেওয়া ছাড়া আর থামেই না।আমি
বললাম এমনি চলে আসলাম।এমনি নাকি
অন্য কোনো কারণ আছে।।
এই মেয়েটা একদম রিমার মতো
ফাজিল।আমি বললাম কারণতো একটাই
আছে।নুযাইফা দিকে তাকিয়ে বললাম
আমার এই বান্ধবী কে ছাড়া থাকতে
পারছি না।এ কি বুড়া বয়সে আমার
প্রেমে পড়লে নাকি।পড়লে ও
পড়তে পারি তাতে ক্ষতি কি।এইটা বলার
সাথে সাথে নুযাইফা আমাকে জড়িয়ে
ধরলো।
.
এই নুযাইফা সাবাই দেখছেতো
দেখলে দেখুক। এই বুড়া বয়সে
যতদিন বেচে থাকি ততদিন তোমার
সঙ্গেই কাটাবো।
আমার কেমন জানি লাগে শেষ
বয়সে এসে আমি আবার প্রেমে
পড়লাম। ভাবতেই আমার অবাক লাগে।
যাক অন্তত বুড়া বয়সে একজন সঙ্গি
পেলাম।।
...
...সমাপ্ত....
Hasan