02-21-2017, 08:57 PM
আজ রাতে যে মেয়েটি মারা
যাবে তার
পছন্দের ফুল জবা। তার ক্যাবিনে
অনেক
গুলো জবা ফুল সাজিয়ে রাখা
হয়েছে।আমি
রনি ।কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজের
সামনে আমার বন্ধু জনির একটা
ফার্মেসি
আছে ।আমি প্রায়ই ওখানে গিয়ে
আড্ডা
মারতাম ।মেয়েটির সাথে আমার
পরিচয় ছয়
মাস আগে । ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে
মেয়েটির । ওর এক আত্মীয় এসেছিলো
ওষুধ
নিতে । কথায় কথায় মেয়েটিরসম্পরকে
সব শুনলাম । মেয়েটির নাম জান্নাত । ছয়
মাস
আগে বিয়ে ঠিকহয়েছিলো এক ধনী
ব্যাবসায়ীর সাথে কিন্তু অসুস্থ হওয়ার
কারণে বিয়েটা ভেঙে যায় ।যাই
হোক
আমি মেয়েটাকে দেখতে
মেডিকেলের
ভিতর গেলাম ।আহ্...! এতো সুন্দর
মেয়েটা
মারা যাবে ভাবতেই পারছি না ।
মুখের
দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায়
না ।
ওরা এতো মায়াবি মুখ কেমন যানি
মলিন
হয়ে আছে । জান্নাতের বাবা
মায়ের
সাথে কথা বললাম । ভদ্রলোক সরকারি
চাকরি করেন । একটাই মেয়ে ওনার খুব
আদরের ।কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার এসে
বলল
জান্নাতকে রক্ত দিতে হবে ।ওর
রক্তের
গ্রুপের সাথে আমার মিল আছে তাই
কোনকিছু না ভেবেই বললাম আমি
রক্ত
দিবো ।এভাবেই আমি প্রতিদিন
ওদের
খোজ খবর নিতে শুরু করলাম । আমাদের
মধ্যে একটা ভালো সম্পর্কও তৈরি
হলো ।
একটা মৃত্যপথ যাত্রী মেয়ের সাথে
এভাবে
সম্পর্কে জরানোটা হয়ত অস্তযাওয়া
সূর্যের
দিকে তাকিয়ে দিনটাকে চাওয়ার
মতন ।
কিন্তু ভালোবাসা তো আর বলে কয়ে
আসেনা..!!!একসময় জান্নাতের
শারীরিক
অবস্হা আরও খারাপ হয়ে গেলো,
চোখের
নিচে কালি জমে গেছে । ডাক্তার
বলেছে
হয়ত আর সপ্তাহ খানেক টিকবে ।আমি
জান্নাত কে ছেরে কোথাও যেতাম
না ।
সারাক্ষণ ওর পাশে থাকতাম ।
সারারাত
না ঘুমিয়ে ওর পাশে বসে থাকতাম ।
মাথায় হাত বুলিয়ে দিতাম, খাইয়ে
দিতাম,
ওর সাথে গল্প বলে সময় কাটাতাম । এই
ছয়মাসে আমার শরীরটা খারাপ
হয়েগেছে
।আজ রাতে জান্নাত মারা যাবে,
আমি
জবা ফুল এনে ওর কেবিনটা সাজিয়ে
দিয়েছি । ।আমাকে সাজাতে
দেখে ও
অস্ফট্ট গলায় বলল,আমাকে আজ বিদায়
দিবেন তাইনা,জানেন এ কয়দিনে
আপনাকে
ভালোবেসে ফেলেছি । আমার খুব
বাচতে
ইচ্ছা করছে ।বুকটা ফেটে যাচ্ছিল
আমার ।
কিন্তু আমি কাঁদিনি ।আমার পাশে
এসে
একটু বসবেন?আপনাকে একটু শেষবারের
মত
দেখবো...আমি বললাম হুম....আমার
হাতটা ও
শক্ত করে ধরে রাখলো আর বলল,
আমাকে
একটু শক্ত করে ধরে রাখুন খুব কষ্ট হচ্ছে
আমার ।আমি আর সহ্য করতে পারলাম
না,
ওকে বুকের মধ্যে জরিয়ে নিয়ে হাউ
মাউ
করে বাচ্চাদের মতো কেঁদে
ফেললাম।আজ
সৃষ্টি কর্তার কাছে কাকুতি মিনতি
করে
বলতে ইচ্ছে হচ্ছে ওকে সুস্হ করে দাও ।
সারারাত আমার বুকের মধ্যেই
জরিয়ে
রেখেছিলাম । মাঝে মাঝে ওর
নাকে হাত
দিয়ে পরীক্ষা করে দেখছিলাম
নিশ্বাস
টা চলছে কিনা । আমি ওকে
জাগিয়ে
রাখার চেষ্টা করেছি ।ঘুমিয়ে
গেলে যদি
না জাগে ।রাত চারটা বাজে... হঠাৎ
ও
প্রলপবলতে থাকে, আমাকে বলে
জানালারকাছে কেউ একজন এসেছে
।
আমিবললাম ,কই কেউ নেইতো ।ও বলল ,
হা
একজন এসেছে । হয়ত কেউএসেছিলো,
হয়ত
আজরাইল । আমাকেএকটু পানি
খাওয়াবেন ।
আমি ওকে পানি খাওয়ানোর আগেই
ওচিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলো ।কলমের
কালি
দিয়েই সাদা কাগজেযে
ভালোবাসার
গল্পটা লিখতে হবে,এমন কোন কথা
নেই
...কোন কোন ভালোবাসার গল্প
চোখেরজলের স্বচ্ছ রঙ দিয়ে লেখা
থাকেঘুমানোর বালিশটার গায়ে
...ঠোঁটের
কোণে মুচকি হাসির ফাঁকে কিংবা
দুহাত
তুলে কাউকে প্রতিনিয়ত চাইতে
থাকার
প্রার্থনায় অনেক গল্প লুকানো
থাকে,,,
.
( গল্পটি কেমন লাগলো কমেন্ট করতে ভুলবেন না
কিন্তু....)
যাবে তার
পছন্দের ফুল জবা। তার ক্যাবিনে
অনেক
গুলো জবা ফুল সাজিয়ে রাখা
হয়েছে।আমি
রনি ।কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজের
সামনে আমার বন্ধু জনির একটা
ফার্মেসি
আছে ।আমি প্রায়ই ওখানে গিয়ে
আড্ডা
মারতাম ।মেয়েটির সাথে আমার
পরিচয় ছয়
মাস আগে । ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে
মেয়েটির । ওর এক আত্মীয় এসেছিলো
ওষুধ
নিতে । কথায় কথায় মেয়েটিরসম্পরকে
সব শুনলাম । মেয়েটির নাম জান্নাত । ছয়
মাস
আগে বিয়ে ঠিকহয়েছিলো এক ধনী
ব্যাবসায়ীর সাথে কিন্তু অসুস্থ হওয়ার
কারণে বিয়েটা ভেঙে যায় ।যাই
হোক
আমি মেয়েটাকে দেখতে
মেডিকেলের
ভিতর গেলাম ।আহ্...! এতো সুন্দর
মেয়েটা
মারা যাবে ভাবতেই পারছি না ।
মুখের
দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায়
না ।
ওরা এতো মায়াবি মুখ কেমন যানি
মলিন
হয়ে আছে । জান্নাতের বাবা
মায়ের
সাথে কথা বললাম । ভদ্রলোক সরকারি
চাকরি করেন । একটাই মেয়ে ওনার খুব
আদরের ।কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার এসে
বলল
জান্নাতকে রক্ত দিতে হবে ।ওর
রক্তের
গ্রুপের সাথে আমার মিল আছে তাই
কোনকিছু না ভেবেই বললাম আমি
রক্ত
দিবো ।এভাবেই আমি প্রতিদিন
ওদের
খোজ খবর নিতে শুরু করলাম । আমাদের
মধ্যে একটা ভালো সম্পর্কও তৈরি
হলো ।
একটা মৃত্যপথ যাত্রী মেয়ের সাথে
এভাবে
সম্পর্কে জরানোটা হয়ত অস্তযাওয়া
সূর্যের
দিকে তাকিয়ে দিনটাকে চাওয়ার
মতন ।
কিন্তু ভালোবাসা তো আর বলে কয়ে
আসেনা..!!!একসময় জান্নাতের
শারীরিক
অবস্হা আরও খারাপ হয়ে গেলো,
চোখের
নিচে কালি জমে গেছে । ডাক্তার
বলেছে
হয়ত আর সপ্তাহ খানেক টিকবে ।আমি
জান্নাত কে ছেরে কোথাও যেতাম
না ।
সারাক্ষণ ওর পাশে থাকতাম ।
সারারাত
না ঘুমিয়ে ওর পাশে বসে থাকতাম ।
মাথায় হাত বুলিয়ে দিতাম, খাইয়ে
দিতাম,
ওর সাথে গল্প বলে সময় কাটাতাম । এই
ছয়মাসে আমার শরীরটা খারাপ
হয়েগেছে
।আজ রাতে জান্নাত মারা যাবে,
আমি
জবা ফুল এনে ওর কেবিনটা সাজিয়ে
দিয়েছি । ।আমাকে সাজাতে
দেখে ও
অস্ফট্ট গলায় বলল,আমাকে আজ বিদায়
দিবেন তাইনা,জানেন এ কয়দিনে
আপনাকে
ভালোবেসে ফেলেছি । আমার খুব
বাচতে
ইচ্ছা করছে ।বুকটা ফেটে যাচ্ছিল
আমার ।
কিন্তু আমি কাঁদিনি ।আমার পাশে
এসে
একটু বসবেন?আপনাকে একটু শেষবারের
মত
দেখবো...আমি বললাম হুম....আমার
হাতটা ও
শক্ত করে ধরে রাখলো আর বলল,
আমাকে
একটু শক্ত করে ধরে রাখুন খুব কষ্ট হচ্ছে
আমার ।আমি আর সহ্য করতে পারলাম
না,
ওকে বুকের মধ্যে জরিয়ে নিয়ে হাউ
মাউ
করে বাচ্চাদের মতো কেঁদে
ফেললাম।আজ
সৃষ্টি কর্তার কাছে কাকুতি মিনতি
করে
বলতে ইচ্ছে হচ্ছে ওকে সুস্হ করে দাও ।
সারারাত আমার বুকের মধ্যেই
জরিয়ে
রেখেছিলাম । মাঝে মাঝে ওর
নাকে হাত
দিয়ে পরীক্ষা করে দেখছিলাম
নিশ্বাস
টা চলছে কিনা । আমি ওকে
জাগিয়ে
রাখার চেষ্টা করেছি ।ঘুমিয়ে
গেলে যদি
না জাগে ।রাত চারটা বাজে... হঠাৎ
ও
প্রলপবলতে থাকে, আমাকে বলে
জানালারকাছে কেউ একজন এসেছে
।
আমিবললাম ,কই কেউ নেইতো ।ও বলল ,
হা
একজন এসেছে । হয়ত কেউএসেছিলো,
হয়ত
আজরাইল । আমাকেএকটু পানি
খাওয়াবেন ।
আমি ওকে পানি খাওয়ানোর আগেই
ওচিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলো ।কলমের
কালি
দিয়েই সাদা কাগজেযে
ভালোবাসার
গল্পটা লিখতে হবে,এমন কোন কথা
নেই
...কোন কোন ভালোবাসার গল্প
চোখেরজলের স্বচ্ছ রঙ দিয়ে লেখা
থাকেঘুমানোর বালিশটার গায়ে
...ঠোঁটের
কোণে মুচকি হাসির ফাঁকে কিংবা
দুহাত
তুলে কাউকে প্রতিনিয়ত চাইতে
থাকার
প্রার্থনায় অনেক গল্প লুকানো
থাকে,,,
.
( গল্পটি কেমন লাগলো কমেন্ট করতে ভুলবেন না
কিন্তু....)