Welcome, Guest
You have to register before you can post on our site.

Username
  

Password
  





Search Forums

(Advanced Search)

Forum Statistics
» Members: 1,293
» Latest member: Nuhuazizkumurya
» Forum threads: 2,873
» Forum posts: 6,361

Full Statistics

Online Users
There are currently 261 online users.
» 0 Member(s) | 257 Guest(s)
Bing, Facebook, Google, Yandex

Latest Threads
Top-notch Сasual Dating -...
Forum: গল্প সমগ্র
Last Post: usdbuysellsbd
06-17-2024, 03:46 PM
» Replies: 0
» Views: 20
Girls in your city for ni...
Forum: অন্যান্য ও মজা
Last Post: rajuchalna
06-16-2024, 09:50 AM
» Replies: 0
» Views: 24
Find Prettys Womans in yo...
Forum: গল্প সমগ্র
Last Post: bdithelp
06-13-2024, 09:37 PM
» Replies: 0
» Views: 29
азартні ігри
Forum: ফেসবুক
Last Post: FabianGonzz
06-06-2024, 09:35 PM
» Replies: 0
» Views: 54
Shuvo Kamona Sms
Forum: Bangla Sms
Last Post: xfinityauthorize
04-25-2024, 04:34 PM
» Replies: 80
» Views: 22,043
Kemon Acho Sms
Forum: Bangla Sms
Last Post: xfinityauthorize
04-25-2024, 04:33 PM
» Replies: 71
» Views: 22,402
Bangla Islamic Sms
Forum: Bangla Sms
Last Post: xfinityauthorize
04-25-2024, 04:31 PM
» Replies: 149
» Views: 33,719
Bangla Koster Sms
Forum: Bangla Sms
Last Post: xfinityauthorize
04-25-2024, 04:25 PM
» Replies: 138
» Views: 35,288
Bangla Jokes Sms
Forum: Bangla Sms
Last Post: xfinityauthorize
04-25-2024, 04:23 PM
» Replies: 65
» Views: 44,131
Bangla Advice Sms
Forum: Bangla Sms
Last Post: xfinityauthorize
04-25-2024, 04:21 PM
» Replies: 85
» Views: 26,498

 
  যুগ যুগ ধরে বাঙালি নারীর সাজসজ্জায় রুপার গয়না!
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:43 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

প্রবাদ আছে বাঙালি নারী স্বামী আর গয়না এই দুই জিনিসের ভাগ দিতে চায়না। তা এই কথা সত্য হোক কিংবা মিথ্যা, গয়নার সাথে বাঙালি নারীর সম্পর্ক যুগ যুগান্তরের।

একটা সময় বাংলার গ্রাম বাংলায় নারীদের গয়না বলতে ছিলো পায়ের মল, হাতের বাজু আর কোমরের বিছা। এসব গয়নার সিংহভাগই তৈরি হত রুপা দিয়ে। আজ আমাদের আয়োজনবাঙালি নারীর সাজে রুপার গয়না নিয়ে।

শুরুর দিকের কথা:
যেমনটা বলছিলাম খানিক আগে। একটা সময় বাঙালি নারীদের গয়নায় রুপার দাপট ছিলো বেশ। সৌন্দর্য, আভিজাত্য আর সাজসজ্জায় রুপা ছিলো তাদের ভরসা। নানান বাহারী নকশা আঁকা রুপার গয়না শোভা পেত গয়না ভালোবাসেন এমন নারীদের অঙ্গে। শুধু কি তাই? জমিদার বাড়িতে পানদানী, ফুলদানী সবকিছুতেই ছিলো রুপার ব্যবহার।

কালের বিবর্তনে রুপার গয়না:
ধীরে ধীরে রুপার জায়গা দখল করে নিয়েছিলো সোনা, মেটাল এবং বিভন্ন পাথরের গয়না। রুপার বাজারে তখন একটু ভাটাই পড়েছিলো বলা চলে। কিন্তু সময় ঘুরে আবারও নারীর পছন্দের শীর্ষে চলে এসেছে রুপার গয়না।

শাড়ি কিংবা ফতুয়া, সাধারন অনুষ্ঠান কিংবা বিয়ে বাড়ি, বর্ষা কিংবা হেমন্ত সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে রুপার গয়নার জুড়ি নেই। আর তাইতো বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকায় এখন অবস্থান করে রুপার তৈরি সব গহনা।

অনেকে আবার রুপার গয়নায় গোল্ড প্লেটের কাজ করিয়ে গয়নায় আনছেন নতুনত্ব। ভারী কাজের গয়না হিসেবে গোল্ড প্লেটের কাজ করা রুপার গয়না বেশ চলছে এখন।

কোথায় পাবেন, কেমন দামে:
রুপার গয়না বললেই প্রথমে চলে আছে দেশি হাউজ আড়ং এর কথা। নানা ধরনের, নানা বাহারের রুপার গয়না পাবেন এখানে। রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গয়না পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর।

ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স এ পাবেন আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়না। এই ফ্যাশন হাউসের গয়নার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা মোটিফ ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, ইস্টার্ন মল্লিকা, মেট্রো শপিং মলেও পাবেন রুপার গয়না। আর চাইলে নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন রুপার গয়না।

ডিজাইন ও আকার ভেদে প্রতিটি রুপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

গয়নার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে। তবে জাঁকজমকপূর্ণ গয়নার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি।

রুপার গয়নার যত্নে জানা উচিৎ যে বিষয়গুলো:
শখ করে রুপার গয়না বানালেন কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পরই তা কালো হয়ে গেল। নিশ্চয়ই তখন মন খারাপ হবে আপনার। এর চেয়ে বরং জেনে নিন কি করে রুপার গয়নার যত্ন নিবেন।

*বাইরের থেকে ফিরে এসেই রুপার গয়নাকে বাক্সে রেখে দিবেন না। বরং কিছুটা সময় বাইরে বাতাসে রাখুন। এরপর ট্যিসু পেচিয়ে সুন্দর করে রাখুন।

*অন্যান্য গয়নার সাথে রুপার গয়নাগুলো না রেখে সেগুলোকে আলাদা রাখুন। সোনা আর রুপার গয়না একসাথে রাখলে রুপার বর্ন কালচে হয়ে যায়।

*রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তেতুল গুলে নিয়ে সেই পানিতে গয়না ১০-১৫ মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

*হালকা গরম পানিতে সাদা টুথপেস্ট গুলিয়ে গয়না পরিষ্কার করুন। কালচেভাব চলে যাবে।

*গোল্ড প্লেটেড গয়না কালো হয়ে গেলে সোনার দোকান থেকে রঙ করিয়ে নিন।

*হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়েও রুপার গয়না পরিষ্কার করে নিতে পারেন সহজে।

সাজে এবং সৌন্দর্যে রুপার গয়না জায়গা করে নিয়েছে নিজের গুনে। বাঙালি নারীর পছন্দে তাই রুপার গয়নার অবস্থান শীর্ষে।

Print this item

  আইলাইনারে সাজুক চোখ
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:43 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

চোখ মানুষের মনের পর্দা। যাতে ভেসে উঠে না বলা কতশত কথা। আর এই চোখকেই সাজাতে আমাদের থাকে কত না প্রস্তুতি। চোখের সাজে কাজলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। চোখের পাতায় আইলাইনারের একটি মায়াবী টান কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার সৌন্দর্য।


পেনসিল লাইনার
পেনসিল লাইনার দিয়ে কাজল সহজে লাগানো যায়, থাকেও বেশিক্ষণ। ব্র্যান্ডের পেনসিল লাইনার সহজে ছড়ায় না। আবার কিছু লাইনার আছে পানিনিরোধক। ফলে সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। পেনসিল লাইনারের মধ্যে নিয়র, জর্ডানা, জ্যাকলিন, আয়োনি, পারসোনি, লা ফেম, মেবিলিন, লরিয়েল, ল্যাক্মে, মিস অ্যান্ড মিসেস অন্যতম। এগুলোর দামও বেশি নয়। ৭০-৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ম্যাক, শ্যানেল, ক্লিনিক, গার্লিন ইত্যাদির দাম ১৯০০-২৫০০ টাকা।


লিকুইড লাইনার
এ ধরনের লাইনার সবচেয়ে পুরনো। এর ব্যবহারও সহজ আর ব্রাশের সাহায্যে ইচ্ছামতো লাইনিং করা যায়। মোটা বা সরু ঠিক যেমনটি আপনি চান। প্রচলিত কিছু লিকুইড লাইনারের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্মে, লা ফেম, প্রেস্টিজ, রেভলন, আয়োনি, লা-স্পল্যাশ, জ্যাকলিন। দাম ১৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।


রঙিন লাইনার
জর্ডানা, জ্যাকলিন, মিস অ্যান্ড মিসেস, এভার বিউটি’র রঙিন লাইনার আমাদের বাজারে সহজলভ্য। এগুলোর দাম ৮০-২৫০ টাকা।


জেল লাইনার

আজকাল জেল লাইনারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে আর ব্যবহারও সহজ। জেল লাইনারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর পিগমেন্টেশন। এটি গাঢ় রং দেবে আর স্থায়িত্বও অন্য সব লাইনারের তুলনায় বেশি। দেশে এভার বিউটি, নিট্রো, মেবিলন ব্র্যান্ডের জেল লাইনার পাওয়া যায়। দাম ২৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।


অটোলাইনার

অটোলাইনার এক ধরনের পেনসিল লাইনার। এ লাইনার প্লাস্টিক হোল্ডারে থাকে এবং রোলিংয়ের সাহায্যে ব্যবহার করতে হয়। সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই দিন দিন মেয়েদের কাচে জনপ্রিয় হচ্ছে। পাওয়া যায় মেবেলিন কোলোসেল, ল্যাক্মে আইকনিক, রেভলন কালার স্টে, মেবিলিন আই ডিফাইনড, লরিয়েল ইনফ্লেবল, মিস অ্যান্ড মিসেস এবং জর্ডানার অটোলাইনার। দাম ২৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।


পাউডার বা ডাস্ট লাইনার

আইশ্যাডো পাউডারের মতো কিছু আইলাইনার পাওয়া যায়, যেগুলোকে ডাস্ট লাইনার বলা হয়। এসব পাউডার লাইনার স্মোকি আই মেকআপ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। দাম ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে।


ওয়াটারপ্রুফ লাইনার

ওয়াটারপ্রুফ লাইনারের দাম একটু বেশি হয়। বাজারে রেভলন, লা ফেম, মেবিলিন ব্র্যান্ডের ওয়াটারপ্রুফ লাইনার পাওয়া যায়।


কোথায় পাবেন
বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, আলমাস, প্রিয়, বডি লাইন, গাউসিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, মৌচাক ও যেকোনো ভালো কসমেটিকসের দোকানে।

Print this item

  ঝটপট করে ফেলুন দারুন তিনটি হেয়ার স্টাইল
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:43 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

নিত্য নতুন স্টাইলে চুল বাঁধাটা অনেকেরই পছন্দের একটি কাজ। তবে সময়ের অভাব, ঝামেলার কারণে অনেকই চুলে স্টাইল করতে চান না। লম্বা চুলে সেই পুরাতন পনিটেল, বেনী, কিংবা খোঁপা করেই হেয়ার স্টাইল শেষ করেন। অথচ অল্প সময়ে দারুন কিছু হেয়ার স্টাইল করা যায়। কলেজ, ভার্সিটি কিংবা অফিস সব জায়গাতেই এই হেয়ার স্টাইলগুলো আপনি করতে পারেন। ওয়েস্টার্ন, কিংবা সালোয়ার কামিজ উভয় পোশাকে দারুন মানিয়ে যাবে এই হেয়ার স্টাইল। আবার খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়বে না এই হেয়ার স্টাইল করার জন্য।

ছোট একটি ভিডিওর মাধ্যমে শিখে দারুন সহজ তিনটি হেয়ার স্টাইল।

যেভাবে করবেন:

প্রথম হেয়ার স্টাইল

১। চুল শ্যাম্পু করে ভাল করে আঁচড়িয়ে নিন।

২। এবার একপাশে সিঁথি করুন। সিঁথি করে চুলকে তিনভাগে ভাগ করুন। মাঝের চুলগুলো নিয়ে পনিটেল করে নিন।

৩। ডানদিকের চুল টুইস্ট করে পনিটেলের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে রাবার ব্র্যান্ড (ভিডিও অনুযায়ে) দিয়ে বেঁধে দিন।

৪। একইভাবে বামদিকের চুল নিয়ে টুইস্ট করে নিয়ে পনিটেলের সাথে বাঁধুন।

৫। সামান্য বেবি বা ট্যালকম পাউডার চুলের সিঁথির উপর ছিটিয়ে দিন। এটি মাথার তালুর তেল শুষে নিবে।

দ্বিতীয় হেয়ার স্টাইল

১। চুল ভাল করে আঁচড়িয়ে নিন। তারপর সব চুল দিয়ে উঁচু করে পনিটেল বেঁধে নিন।

২। সামনের চুলগুলো থেকে কিছু চুল নিয়ে টুইস্ট করে ববিপিন দিয়ে পনিটেলের সাথে আটকিয়ে দিন।

৩। আপনি চাইলে সামনের চুলগুলো স্প্রে করে নিতে পারেন।

তৃতীয় হেয়ার স্টাইল

১। সামনের চুলগুলো পাফ করে কিছুটা ফুলিয়ে নিন। তারপর চুলগুলো ববিপিন দিয়ে কিছুটা ফুলিয়ে লাগিয়ে দিন।

২। ডানপাশ থেকে কিছু চুল টুইস্ট করে পিছনে নিয়ে লাগান। একইভাবে বামপাশ থেকে কিছু চুল নিয়ে টুইস্ট করে পিছনে নিয়ে বাকী চুলের সাথে লাগান।

৩। ব্যস হয়ে গেল দারুন তিনটি হেয়ার স্টাইল।

Print this item

  জেনে নিন শাড়ি পরার ভিন্নরকম কিছু টিপস্
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:42 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

শাড়ি আর নারী! একে অপরকে ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। যতই মর্ডান ফ্যাশন থাকুক না কেন, শাড়িতে যে নারী অপরূপ সুন্দরী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শাড়ির ফ্যাশনেও বা কেন বাদ পড়বে আধুনিকতার ছোঁয়া? তাই শাড়ি পরার স্টাইলে আনুন কিছু নতুনত্ব। জেনে নিন কয়েকটি টিপস, তাতে সাধারণের মধ্যে আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। 

১.চটজলদি শাড়ির সাজে আনুন নতুনত্ব। শাড়ির আঁচলটি টাই আকারে জড়িয়ে নিন গলায়। দেখবেন, কেমন অসাধারণ সুন্দর দেখাবে আপনাকে। 

২.একটু অন্যভাবে সাজতে, ব্লাউজের বদলে টি-শার্টের উপর শাড়ি পরতে পারেন। 

৩.স্কার্ফের স্টাইলে জড়িয়ে নিন শাড়ির আঁচল। 

৪.ঐতিহ্যে মোড়া স্লিভলেস ব্লাউজ ট্রাই করুন। আপনার সাজে নতুন ঝলক আনতে শাড়ির উপর লম্বা কোট মানাবে দারুণ। 

৫.এক রঙা শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন প্রিন্টেড শাড়ি। 

৬.শাড়ি ও স্নিকার্স একসঙ্গে! অনেকে তা কল্পনাও করতে পারেন না। তবে আপনি যে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী তা বোঝাতে শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন একজোড়া স্নিকার্স।

Print this item

  পোশাকে ‘স্লিম’ দেখানোর উপায়
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:41 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্রপরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমিনা রহমান বলেন, “মানুষ মোটা বা চিকন হয়। এ নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। তবে সকলেই চায় নিজেকে সুন্দরভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে। ওজনদার ব্যক্তিকে হালকাপাতলা ভাবে উপস্থাপন করতে হলে তার পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে রং, স্ট্রাইপ, প্রিন্ট ইত্যাদি আলাদা ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।”

এই বিষয়ে তিনি বেশ কিছু পরামর্শও দেন।


আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নেওয়া ভালো। 

মোটা ব্যক্তিদের হালকা রংয়ের পোশাক পরলে দেখতে চিকন লাগে। এক্ষেত্রে তার গায়ের রংয়ের বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। উজ্জ্বল ও শ্যামলা রংয়ের ব্যক্তিদের যে কোনো হালকা রংয়েই দেখতে ভালো লাগে। তবে যাদের গায়ের রং একটু চাপা তাদের হালকা নীল, হালকা সবুজ, ধুসর ইত্যাদি রংয়ে মানায়।

লম্বা ও মোটা মহিলাদের কামিজের ক্ষেত্রে সালোয়ার ও ওড়না একরঙা এবং কামিজ ভিন্ন রংয়ের হলে দেখতে খানিকটা চিকন লাগে।

স্ট্রাইপ নকশার পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মোটা ব্যক্তিদের আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নেওয়া ভালো। এতে শরীরের আয়তন কম বোঝা যায়। পুরুষদের শার্ট ও পাঞ্জাবি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও লম্বা বা খাড়া স্ট্রাইপ বেছে নেওয়া উচিত।

আড়াআড়ি স্ট্রাইপের গেঞ্জি বা টিশার্টে কাঁধ বেশ চওড়া দেখায়। তাই যারা নিজেদের অনেকটা বলিষ্ঠ আকৃতিতে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন তার গেঞ্জির উপরি ভাগে আড়াআড়ি ও নিচের ভাগে লম্বালম্বি স্ট্রাইপ আছে এই ধরনের টিশার্ট ব্যবহার করতে পারেন। 

পোশাকের ‘প্রিন্ট’ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মোটা ব্যক্তিদের ছোট ‘প্রিন্ট’ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কারও যদি বড় প্রিন্টের পোশাক পছন্দ হয় তবে তারা হালকা রংয়ের মধ্যে বড় প্রিন্টের পোশাক বেছে নিতে পারে। তবে এমন পোশাক বাছা ঠিক নয় যেখানে বড় ও ছোট দুই রকমের প্রিন্টই আছে।

চিকন দেখানোর জন্য কখনও খুব বেশি চাপা-পোশাক পরা ঠিক নয়। এতে অনেক সময় শরীরের রক্ত চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হয় ও শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধাও হতে পারে।

Print this item

  ধুতি প্যান্টে মেয়েদের স্টাইলিস্ট ফ্যাশন
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:40 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

ধুতি প্যান্টে মেয়েদের স্টাইলিস্ট ফ্যাশন
মেয়েদের ফ্যাশনে ধুতি প্যান্ট জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগেই। যখন-তখন সহজে শরীরে গলিয়ে নেওয়া যায়। আবার এই প্যান্ট বেশ আরামদায়কও। কিন্তু রোজ ধুতি প্যান্ট একভাবে পরা যায় না। নয়তো বড্ড বোরিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাই ধুতি প্যান্টের সঙ্গে নিত্যনতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট গড়ে তুলতে রইল কিছু ফ্যাশন টিপস্ -

১) ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ধুতি লুক : ডিজাইন করা ক্রপটপের সঙ্গে পরতে পারেন একরঙা ধুতি প্যান্ট। নিজের গেটআপে স্পেশাল টাচ দিতে ধুতি প্যান্টের উপর বেল্ট পরতে পারেন।

২) ইন্ডিয়ান লুক : ট্র্যাডিশনাল ইন্ডিয়ান লুক পেতেও সঙ্গে থাকতে পারে ধুতি প্যান্ট। কামিজের সঙ্গে বেছে নিন মানানসই কোনও ধুতি প্যান্ট। বিয়ে বাড়ি হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, আপনার সাজটা কিন্তু মন্দ দেখাবে না।

৩) ম্যাক্সি টপ ও ধুতি প্যান্ট : ম্যাক্সি টপের সঙ্গে ধুতি প্যান্টের কম্বিনেশন ট্রাই করতে পারেন। ফ্যাশনিস্তা হিসেবে নাম কুড়তে চাইলে, সামনের দিকটা কাটা এমন ম্যাক্সি টপ বেছে নিন। তাতে ধুতি প্যান্ট নজরে আসবে আর আপনাকেও দেখাবে সকলের চেয়ে আলাদা।

৪) ধুতিপ্যান্ট ও টি-শার্ট : রেগুলার জিন্স, টি-শার্টের বদলে বেছে নিতে পারেন ধুতি ও টি- শার্ট। সঙ্গে কিছু হালকা গয়না। ব্যাস, বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে একদম রেডি।

৫) ধুতি প্যান্ট ও কুর্তা : মোস্ট ক্যাজুয়াল লুকস্ পেতে ধুতি প্যান্টের সঙ্গে সুতির কোনও কুর্তা বেছে নিন। সিনেমা দেখতে বা ডেটিংয়ে যাওয়ার জন্য এই সাজ ভালোই দেখাবে।

৬) ধুতি প্যান্টের সঙ্গে বেল্ট : ধুতি প্যান্টের সঙ্গে যে টপই পরুন না কেন, সঙ্গে একটা বেল্ট পরলে সাজগোজটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখাবে।

৭) ধুতি প্যান্টের সঙ্গে ফুল স্লিভ কুর্তা : ট্র্যাডিশনাল বা ক্যাজুয়াল লুকস্ পেতে ধুতি প্যান্টের সঙ্গে ফুল স্লিভ টপ পরতে পারেন।

৮) কালার কনট্রাস্ট : হালকা রঙের ধুতি প্যান্ট পরতে বেছে নিতে হবে গাঢ় রঙের টপ। যদি আপনি হালকা রঙের টপ পরবেন বলে ঠিক করেন, তবে বেছে নিন গাঢ় রঙের ধুতি প্যান্ট।

Print this item

  পুরনো জিন্সকে নতুনরুপে করে তুলুন স্টাইলিশ
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:40 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

পুরনো জিন্সকে নতুনরুপে করে তুলুন স্টাইলিশ
জিন্স পরতে ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। প্রায় সকলের পছন্দের তালিকায় থাকে জিন্স। কিন্তু রোজ এক জিন্স পরা একঘেয়ে ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আবার বছরের পর বছরের ব্যবহার করলেও জিন্স সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। পুরনো জিন্স ফেলতেও ইচ্ছে করে না আর পরলেও কেমন একটা অস্বস্তিকর লাগে। যদি খারাপ দেখায়! আপনি যদি হন শৈল্পিক বা সৃজনশীল, তবে আপনার পুরনো, বোরিং জিন্সটিকে স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল করে তুলুন এইভাবে -

রং-তুলির টান : জিন্সের দাগছোপ ঢেকে ফেলতে কাজ দেবে রং ও তুলি। আপনার পুরনো জিন্সটির উপর মানানসই রং দিয়ে আঁকিবুঁকি করতে পারেন। আপনার মধ্যে যদি শৈল্পিক মানসিকতা থাকে, তবে তো কথাই নেই। নিজের মতো করে ডিজাইন বা পেইন্ট করে নিন জিন্সের উপর।

জমকালো লুক : পার্টি মানেই জমকালো লুক মাস্ট। কিন্তু আপনি যদি চান সকলের থেকে অন্যরকম সাজতে তবে জিন্সের বিকল্প হয় না। তবে আপনার লুকসে যোগ করতে হবে স্পেশাল টাচ। জিন্সের উপর ঝকমকে স্টোন বসিয়ে নিন ডিজাইন করে। দেখবেন, পার্টি সবার নজর থাকবে আপনার দিকেই।

স্ট্রাইপ জিন্স : এখন স্টাইপ দেওয়া জিন্স খুব ফ্যাশনেবল। আপনার সাদামাটা জিন্সটিকে স্টাইলিশ লুক দিতে অন্য কোনও কাপড় কেটে জিন্সের উপর বসিয়ে নিন। অন্য কোনও রঙের পুরনো জিন্স কেটে ডিজাইন করে জিন্সের উপর বসাতে পারেন, তাতে স্পেশাল লুক আসবে।

ফাঙ্কি লুক : এখন ফাটাফুটো জিন্সের ফ্যাশন। আপনার পুরনো জিন্সটিকে আপনি বাড়িতে এমন ফাঙ্কি লুক দিতে পারে। কাঁচি বা ব্লেড চালিয়ে ডিজাইন করে নিন। তবে সাবধানে, বেশি কাটছাট করতে গিয়ে আবার জিন্সটাকে বাতিল করে ফেলবেন না যেন!

Print this item

  ঈদের দিনের স্নিগ্ধ সাজ!
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:39 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

ঈদের দিনের স্নিগ্ধ সাজ!
ঈদের দিন নিজেকে সুন্দর দেখাক এটা সবাই চান। তাই সাজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় ঈদের আগে থেকে। ফেসিয়াল, মেনিকিউর, পেডিকিউর মেহেদি দেওয়াসহ ঈদকে ঘিরে করা হয় কতকিছু।

ঈদের দিনটি অন্য সাধারণ দিন থেকে আলাদা। তাই এর সাজও হতে হয় কিছুটা স্পেশাল, কিছুটা ভিন্ন। জাঁকজমকপূর্ণ সাজ অনেকেই পছন্দ করেন না।

হালকা স্নিগ্ধ সাজ সকাল হোক বা বিকেল সব বেলাতেই মানিয়ে যায় বেশ। জানতে চান এমন এক মেকআপের কথা, যা মানিয়ে যাবে সব বেলায়?

যা লাগবে:
ক্লিনিক ইভান বেটার কনসিলার
ম্যাক ফাউন্ডেশন
ম্যাক প্রো লংওয়ার কনসিলার
ম্যাক সিলেক্ট শেয়ার প্রেসড পাউডার
লরিয়াল প্যারিস লা প্যালেইট নুড
সুগার মেকআপ লিকুইড আইলাইনার
শু ইউমুরা আই ল্যাশ
ইস্ট্রেইট লাউডার মাশকারা
মেকআপ রেভল্যুশন আইকনিক প্রো ব্লাশ, ব্রোঞ্জার
নারস ব্লাশ
আইব্রো কিট

যেভাবে সাজবেন:
১। প্রথমে পুরো ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন।

২। এরপর চোখের নিচসহ চারপাশে কনসিলার ম্যাসাজ করে লাগান। এরপর সারা মুখে ফাউন্ডেশন ব্রাশ দিয়ে ভাল করে লাগান।

৩। চোখের নিচে বিশেষ করে কালি পড়া অংশটুকুতে কনসিলার ম্যাসাজ করে লাগান। চোখের উপরে পাতায় কনসিলার ম্যাসাজ করে নিন।

৪। সম্পূর্ণ মুখে ম্যাক সিলেক্ট ফেস পাউডার লাগান।

৫। চোখে হালকা নুড আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। এইক্ষেত্রে এইখানে ল’রিয়াল নুড আইশ্যাডো ব্যবহার করা হয়েছে। চোখের কোন বেইজের চেয়ে কিছুটা গাঢ় ব্রাউন রঙের শ্যাডো ব্যবহার করুন। একই শ্যাডো চোখের নিচে ব্যবহার করুন। (ভিডিও অনুযায়ী)

৬। এবার চিকন করে আইলাইনার লাগিয়ে নিন। খুব বেশি মোটা আইলাইনার ব্যবহার না করাই ভাল।

৭। কার্লার দিয়ে চোখের পাপড়ি কার্ল করে মাশকারা লাগিয়ে ফেলুন।

৮। গালের উপরে হালকা গোলাপি অথবা পিচ ব্লাশন লাগিয়ে নিন। আপনার নাক যদি খাড়া না হয় তাহলে নাকের দুই পাশেও সামান্য খয়েরী রং এর ব্লাশন লাগিয়ে নিন। এতে নাক খাড়া দেখাবে।

৯। সবশেষে পছন্দ মত গাঢ় কোন লিপস্টিক দিয়ে মেকআপ শেষ করুন।

১০। ব্যস হয়ে গেল ঈদের দিনের পারফেক্ট মেকআপ।

Print this item

  ঈদের সাজে মেহেদি হাতে
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:39 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

মেহেদি না দিলে কি আর উৎসবের আনন্দে পূর্ণতা পায়! তাছাড়া শুধু মেহেদি দিলেই চলবে না, চাই মনের মতো নকশা আর গাঢ় রং।

মেহেদির নকশা এবং রং কীভাবে গাঢ় করা যায় তারই কিছু পন্থা দেওয়া হল।

বাজারে বিভিন্ন নামের গোল্ড মেহেদি পাওয়া যায় যা পাঁচ থেকে ১০ মিনিটে গাঢ় রংয়ের দাবী করে থাকে। কিন্তু সেগুলো পুরোপুরি কেমিকল। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার করা উচিত। সম্ভব হলে মেহেদি ঘরে বেটেই তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।

বাজারে মেহেদিগুঁড়া কিনতে পাওয়া যায়, এর সঙ্গে লেবুর রং ও তেল মিশিয়ে কোণ তৈরি করে নেওয়া যায়।

মেহেদি লাগানোর আগে অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ও মুছে শুকিয়ে নিতে হবে বলে জানান সুহেলি। আর মেহেদি শুকিয়ে উঠিয়ে ফেলার পর পানি দিয়ে না ধুয়ে সামান্য তেল মাখিয়ে রাখার পরামর্শ দেন সুহেলি।

মেহেদি ওঠানোর পর পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা হাতে পানি না লাগানোই ভালো, এতে মন মতো গাঢ় রং পাওয়া যাবে।

বাজারে ঈদের আগে নানা মেহেদিতে ভরে যায়। থাকে গাঢ় রংয়ের দাবী। আবার অনেকের পছন্দ কালো মেহেদি। কিন্তু এগুলো কোনো ভাবেই প্রাকৃতিক মেহেদি নয়, পুরোপুরি কেমিকল রং।

তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক মেহেদি থেকে মন মতো গাঢ় রং পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যেসব মেহেদি থেকে দ্রুত গাঢ় রং হয় সেগুলো পুরোপুরি কেমিকল রং। এসব মেহেদি ব্যবহারে হাতের ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। যেমন, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, চামরা ওঠা, চুলকানো ইত্যাদি। তাই এ ধরনের মেহেদি এড়িয়ে চলাই ভালো। আর মেহেদি কেনার সময় তারিখ দেখে কেনা উচিত। কারণ পুরানো মেহেদিতে গাঢ় রং হয় না।”

মেহেদি যদি ঘরে বেটে কোণ তৈরি করা হয় তাহলে চাইলে কচি পেয়ারা পাতা, লেবুর রস, চা ইত্যাদি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই উপাদানগুলো মেহেদির রং গাঢ় হতে সাহায্য করে।

গাঢ় রং পাওয়ার জন্য আরও কিছু পরামর্শও:

মেহেদি লাগানোর পর যখন শুকাতে শুরু করবে তখন একটি পাত্রে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ গুলিয়ে নিন। আঠালো মিশ্রণটি তুলার সাহায্যে হালকা শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির উপর অল্প করে ছড়িয়ে দিন। এতে রং অনেকটা ফুটবে। তাছাড়া রাতে মেহেদি দেওয়াও ভালো, এতে অনেকটা সময় থাকে এবং রং গাঢ় হয়।

চিকন চিকন ডিজাইন দিয়ে হাত না ভরে কিছু ভরাট ডিজাইন রাখতে হবে, এতে রং ফুটবে। মেহেদি শুকাতে শুরু করলে জিরা ভেজানো পানিও ব্যবহার করা যেতে পারে। মেহেদি তোলার পর গরম তাওয়ার কিছু দূর থেকে হাত সেঁকে নিলেও রং অনেক গাঢ় হয়।

ঘরে বাটা মেহেদির রং কমলা হয়ে যায়। এই রং গাঢ় করতে চা পাতা জ্বাল দিয়ে তার মধ্যে সারা রাত মেহেদি পাতা বা মেহেদিগুঁড়া ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন বেটে হাতে লাগাতে হবে। মেহেদিগুঁড়ার সঙ্গে এক চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে নিলেও রং গাঢ় হবে।

Print this item

  কাজল দেয়ার আগে...
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:39 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

প্রত্যেকের চোখের আকৃতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। কারো চোখ ছোট আবার কারো চোখ বড়। কারো চোখ টানাটানা আবার অনেকের চোখ ভাসাভাসা। চোখের পাপড়িতেও থাকে ভিন্নতা। তাই কাজল লাগানোর আগে অবশ্যই চোখের ভাষা বুঝে তবেই কাজল লাগাতে হবে। সবার চোখ এক রকমের হয় না, যেকোনো চোখের ক্রুটি অবশ্যই ঢাকা যায় মেকআপ দিয়ে।

• যাদের দুই চোখের মাঝখানের অংশ বেশি চওড়া হয়। সেক্ষেত্রে যেকোনো ডার্ক শ্যাডো লাগান চোখের ভেতরের দিকে কোণে আর হালকা শ্যাডো লাগান চোখের পাতায় বাইরের দিকে।

• যদি ক্লোজসেট আই হয় অর্থাৎ চোখের মাঝের অংশ খুব ছোট হয় তখন উল্টোটা করতে হবে। অর্থাৎ, চোখের বাইরের দিকে ডার্ক আর ভেতরের দিকে লাইট শ্যাডো লাগাতে হবে।

• যাদের চোখের খুব ছোটতারা চোখের নিচে সাদা পেন্সিলের রেখা টানুন। এতে চোখ বড় দেখাবে। সাদার বদলে হালকা রংএর কালার ব্যবহার করতে পারেন।

• আই লাইনার আঁকার সময় ওপরের ও নিচের লাইন ছেড়ে রাখবেন, জোড়া দেবেন না। যাদের বালজিং আইজ তারা চোখের উপরের পাতায় ডার্ক রঙের শ্যাডো লাগান। উপরে আর নিচে আইলাইনার লাগিয়ে লাইনটা জুড়ে দেবেন।

• ঠিকভাবে কাজলের ব্যবহার আপনার চোখের অনেক খুঁত অনায়াসেই ঢেকে দিতে পারে। শুধু কাজলেই চোখের সাজ সম্পূর্ণ হয় না, প্রয়োজন অনুযায়ী আইল্যাশ ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে মাসকারা অবশ্যই লাগবে।

এছাড়াও কাজলকে আরও আধুনিক করতে ব্লেন্ড গোল্ডেন অথবা সিলভার আইশ্যাডো দিয়ে হাইলাইট করুন। এরপর পছন্দের যে কোনো রংয়ের কাজল নিয়ে চোখের ভেতর থেকে চোখের বাইরে পর্যন্ত টেনে দিন।

অনেকের চোখের ওপরের পাতা অনেক সময় ছোট হয়। এক্ষেত্রে বাইরের দিকের কোণে ডার্ক শ্যাডো বা পেন্সিল দিয়ে লাইন টানুন। এতে চোখটা বড় দেখাবে।

Print this item

  গরমে ঈদের সাজে স্নিগ্ধতা
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 02:38 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

গরমে ঈদের সাজে স্নিগ্ধতা
ঈদের দিন নতুন পোশাক পরবো আর মনের মতো সাজগোজ থাকবে না তা কি হয়? কিন্তু এই সাজগোজের চরম শত্রু হল গরম। সাজ শেষ করার একটু পরেই ঘেমে খসে পড়ে শখের মেকআপ। তাই এবারের ঈদ বর্ষা আর গরমের মধ্যে হওয়ায় শখের সাজ-পোশাক নিয়ে একটু চিন্তায় পড়তেই হচ্ছে। সব চিন্তাকে দূরে ঠেলে গরমেও সাজের স্নিগ্ধতা বজায় রাখার কিছু কৌশল শিখে নিন এখনই।

- ভারি ফাউন্ডেশন ও বেশি ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না। বেশি ক্রিম বা ফাউন্ডেশনে ত্বক ঘামলে তা গলে পড়বে, থকথকে দেখাবে। হালকা ফাউন্ডেশনের ওপর এসপিএফসহ ম্যাট পাউডার ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন।

- গরমে লিপ গ্লসের চেয়ে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো। গোলাপি লিপস্টিক গ্রীষ্মকালে বেশ মানানসই।

- গরমে চোখের মেকাআপ অত্যন্ত জটিল। নিউট্রাল টোনের স্টিক, পানিনিরোধী মাসকারা ও লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। হালকা করে আইশ্যাডো দিয়ে রাঙিয়ে নিতে পারেন চোখের পাতা। গাঢ় আইলাইনার এই গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় অসাধারণ লাগবে। তবে ডিপ আইশ্যাডো ইনডোর কোনো প্রোগ্রামেই মানানসই হতে পারে।

- পায়ের নখে উজ্জ্বল গাঢ় রঙের নেইল পলিশ লাগাতে পারেন। বর্তমান ট্রেন্ডে গাঢ় উজ্জ্বল রঙের লেইল পলিসের প্রচলন অনেক বেশি। বিশেষ করে পায়ের নখে তো বটেই। আপনি যদি খোলা জায়গায় হাঁটতে চান বা চপ্পল পায়ে হাঁটতে চান তাহলে অবশ্যই পোশাকের ভেতর থেকে গাঢ় একটি রঙ বাছাই করুন। এবার সেই রঙের নেইলপলিস লাগিয়ে পাকে দিতে পারেন জাঁকজমক একটি লুক। হাতের নখে দিতে পারেন নানা রকম আর্ট। হাতের পাঁচটি আঙুলে দুটি বা তিনটি রঙের নেইলপলিসের এখন দারুণ মিশ্রণ চলছে। সেভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনিও।

- সাজের সঙ্গে মানানসই টুকিটাকি অনুষঙ্গ খারাপ লাগবে না, বরং সাজকে পরিপূর্ণ করবে। আবার গরমে অস্বস্তিও বাড়াবে না।

Print this item

  তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ করবেন যেভাবে
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:59 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে মেকআপ ব্যবহার করেন অনেক নারীই। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে মেকআপ করা নিয়ে মুশকিলে পড়তে হয়। কারণ তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের জন্য অনেক সময় মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। তাই তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ করার সময় কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে। আর এইসব নিয়ম মেনে চললে আপনি ঘরে বসে নিজে নিজেই করতে পারেন পারফেক্ট মেকআপ যা আপনার মুখের অতিরিক্ত তেলকে নিয়ন্ত্রণ করে আপনার সাজকে পরিপূর্ণ করে তুলবে।

মেকআপ করার আগে ত্বককে এক্সফ্লোয়েট করা অনেক জরুরি। প্রথমে ভালো কোনো স্ক্রাব দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এতে করে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা বের হয়ে যাবে এবং আপনার ব্ল্যাকহেডস কিছুটা কম দেখাবে। এরপর গরম তোয়ালে মুখে চেপে মুখ মুছে নিন।

মুখ ধোয়ার পর যেকোনো মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। মেকআপ করার ক্ষেত্রে মশ্চারাইজার লাগানো অনেক জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে মশ্চারাইজার যেন অবশ্যই অয়েল ফ্রী এবং ওয়াটার বেইস হয়। সম্ভব হলে এটা মেকআপ লাগানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে এটা লাগিয়ে নিন।

এরপর মুখে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশন যেন অবশ্যই অয়েল ফ্রি হয়। ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় ব্রাশ ব্যবহার না করে হাত দিয়েই ভালোভাবে ব্লেন্ড করার চেষ্টা করুন। ত্বকে লাগানোর আগে এক ফোঁটা পানি অথবা একটু মশ্চারাইজার মেশান।

ফাউন্ডেশন লাগানোর পর কম্প্যাক্ট পাওডার লাগানোর আগে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার একটা ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে আপনার মুখের শেড অনুযায়ী কম্প্যাক্ট পাওডার লাগিয়ে নিন। হাল্কা করে গালের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পাউডার লাগিয়ে নিন। পাউডার লাগানোর জন্য মুখের তেল কম নিঃসরণ হবে এবং ন্যাচারাল লাগবে। খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশনের রঙ এর সঙ্গে কম্প্যাক্ট পাউডারের রঙ যেন মিলে যায়।

Print this item

  সহজে চুল সোজা করার ঘরোয়া উপায়
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:58 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

হাল ফ্যাশনে বেশির বাগ মেয়েদের পছন্দ সোজা চুল। তাই চুল সোজা করতে অনেকে পার্লারে যান। কিন্তু পার্লারে কেমিকেলের মাধ্যমে চুল সোজা করলে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। এতে চুল পড়া বেড়ে যায়, আগা ফাটে ও চুল খসখসে হয়ে যায়।

এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে কেমিকেল বা হিট ছাড়াই যদি সুন্দর সোজা চুল পাওয়া যায় তবে কেমন হয় বলুন তো? সহজলভ্য আর হাতের কাছে পাওয়া ঘরোয়া উপাদান কাজে লাগিয়ে পেয়ে যান আপনার আকাঙ্ক্ষিত স্টাইলের চুল।

প্রথমে শ্যাম্পু করে গোসল করে নিতে হবে। এবার ভেজা থাকা অবস্থায় নিচু করে এবং শক্ত করে ঝুটি করুন। এরপর চিরুনি দিয়ে চুলগুলো ভালোভাবে আঁচড়ে নিন যেন জট না থাকে। প্রথম ব্যান্ডের ২ ইঞ্চি নিচে আরেকটি ব্যান্ড দিয়ে চুল শক্ত করে আটকে দিন। এভাবে পুরো চুলটাকে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে দিন। বাঁধা অবস্থায় চুল শুকিয়ে নিতে হবে। চুল শুকিয়ে গেলে ব্যান্ডগুলো খুলে চুলগুলো আবার ভালোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। এভাবে কয়েকদিন পর পর করলে চুল সোজা হতে বাধ্য।

এই সোজা চুলের স্থায়ীত্ব বাড়াতে প্রয়োজন কিছু ঘরোয়া যত্ন-

১। নারকেল এবং লেবু

তাজা নারকেলের দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে চুল স্টিম করুন। সব শেষে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে।

২। দুধ

আমরা সবাই জানি দুধ ময়েশরাইজারের কাজ করে আর এটিই চুল সোজা করার জন্য সহায়ক। ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেয়া আধা কাপ দুধ আধা কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার একটা স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি ভরে সমস্ত চুলে স্প্রে করুন। তারপর আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলের উর্বরতা বৃদ্ধি আর সোজা করার গুণাগুণ। এই তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে কোমল করবে আর সোজা হবে।

৪। সেলেরি

কয়েকটি ফ্রেশ সেলেরি পাতা ব্লেন্ড করে পানিতে মিশিয়ে দিন। তারপর মিশ্রণটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখুন ১দিন। প্রতিদিন গোসলের আগে মাথার ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন তারপর শাম্পু করে ফেলুন।

৫। মধু এবং দুধ

এই কম্বিশন শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্যও ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক কাপ দুধ মেশান। এই পেস্ট ২ থেকে ৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন করলে সিল্কি ও স্টেইট চুল পাওয়া যাবে।

Print this item

  চিকন মেয়েদের পোশাক যেমন হওয়া চাই!!
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:58 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

যাদের দৈহিক গড়ন কৃশকায় তাদের অনেক সময় পোশাক বাছাইয়ে বিপাকে পড়তে হয়। গায়ের সঙ্গে আঁটসাঁট পোশাকে চিকনদের দেখতে কিছুটা বেমানানই লাগে।
মান্ত্রা লুকগুড অ্যাডভাইজর সোয়াতি দিওগিরে চিকন দৈহিক গঠনে কোন ধরনের পোশাক বেশি মানানসই তারই কিছু টিপস দেন।

– কামিজ, ফতুয়া বা টপসের সঙ্গে লেহিংস বেশ মানানসই এবং জনপ্রিয়। তবে বেশি চিকন যারা, তাদের লেগিংসের কারণে আরও শুকনা দেখায়। কারণ এই পোশাক গায়ের সঙ্গে এঁটে থাকে। এক্ষেত্রে জিন্সের প্যান্ট বেছে নেওয়া যেতে পারে।

– চাপা বা কোণ শেইপের পোশাকের তুলনায় ম্যাক্সি বা ঘের দেওয়া পোশাকে শুকনাদের ভালো মানায়।

– শিফন শাড়ির বদলে বেছে নেওয়া যেতে পারে সিল্ক শাড়ি। শিফন শাড়ি স্বচ্ছ এবং নরম হয়। তাই এটি গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে। আর চিকন স্বাস্থ্যের মেয়েদের আরও শুকনা দেখায়। অন্যদিকে সিল্কের শাড়িতে কিছুটা ফোলাভাব থাকে।

– গায়ের সঙ্গে আঁটসাঁট বা বেশি চাপা পোশাক না পরে বরং কিছুটা ঢোলা টপস বা শার্ট শুকনাদের জন্য বেশি মানানসই। কারণ যাদের কোমর বেশি চিকন তাদের ফিটিং পোশাকে দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে। তাই কিছুটা ঢোলা বা ফ্লোয়ি টপসে তাদের বেশ ভালো লাগবে।

– খাড়া বা লম্বালম্বি নকশার পোশাক না পরে আড়াআড়ি নকশার পোশাক বেছে নেওয়া উচিত চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারীদের। কারণ লম্বালম্বি স্ট্রাইপের কারণে দেখতে আরও শুকনা লাগে

Print this item

  গরমেও আরামে থাকুন হিজাবে
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:57 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত- স্বস্তি নেই ফ্যানের নিচে কিংবা এসি রুমেও। ঘর থেকে বেরুলেই তো সূর্যের অকৃপন দয়া। একটু আরামের জন্য পোশাকের বহরে চলতে থাকে খোঁজ- কি কাপড়ে আরাম মিলবে?
কোন রঙে গরম কম লাগবে? কোন পোশাকে স্বচ্ছন্দে কাটবে দিন? এতসব প্রশ্নের ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা- এই গরমে পর্দা মেনে চলা কি কঠিন?

না। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে যারা হিজাব ব্যবহার করেন- এই গরমটাও কাটাতে পারেন আরামে। হিজাব কেনার সময় কাপড়ের দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে। সুতিটাই মূলত উপযোগী, কারণ সুতি কাপড় তাপ শোষন করে না। তবে ধুপিয়ান, ভয়েল, চিকেন ও তাঁতের কাপড় গরমের সময় বেশ আরামদায়ক। আর হাতের নাগালে হিজাবে যদি কাপড়ের বৈচিত্র না থাকে, তবে ওড়নাকেও ব্যবহার করা যায় হিজাব হিসেবে।

হিজাব কিংবা ওড়না ব্যবহারে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই গরমেও থাকা যায় সতেজ।

Print this item

  গরমে কনের সাজ ও পোশাক!
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:57 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

বিয়ে তো দিনক্ষণ-মাস হিসাব করে হয় না। শীতকাল বিয়ের মৌসুম হলেও সারা বছর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। রোদ-গরমে বিয়ের অনুষ্ঠান হলে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়। বিয়ের পোশাক ও সাজসজ্জা করার আগে একটু কৌশলী হতে হবে। যেহেতু গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় এর আনুষ্ঠানিকতা চলে, ফলে আরামদায়ক পোশাক ও হালকা সাজকেই প্রাধান্য দিতে হয়।

‘গরমে বউয়ের সাজ ও পোশাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এই বিশেষ দিনের শাড়ি হিসেবে বেনারসিকেই অনেকে বেছে নিতে চান। কাতান, লাল বেনারসি শাড়ি পরলেও কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ভারী কাজের না হয়। লাল বেনারসি পরলে গয়না হতে পারে হালকা ধরনের। গরমে হালকা সাজের কোনো বিকল্প নেই।

বেনারসির পাশাপাশি জামদানি, মসলিন, এমনকি সিল্কও পরতে পারেন। বিয়েতে এখন সাদার বেশ চল রয়েছে। চাপা সাদা, হালকা হলুদ-সবুজ-নীল, হালকা গোলাপি, মভ বা পিচ রঙের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এসব শাড়ির সঙ্গে মুক্তার গয়না, রুপার গয়না বেশ মানানসই। বিয়েতে সোনার গয়না তো পরবেনই, তবে শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে গোল্ড প্লেটেড গয়নাও ভালো দেখাবে। এটি ভিন্নমাত্রা তৈরি করে।’

সাজসজ্জাঃ
বিয়ের জন্য শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি লাগে। অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে ভালোভাবে বডি ম্যাসাজ, স্ক্রাব বা স্পা করাতে হবে। এতে সব ধরনের ক্লান্তি দূর হবে। ভ্রু প্লাক, ফেসিয়াল ও ওয়াক্স করাতে চাইলে বিয়ের চার-পাঁচ দিন আগে করানোই ভালো।

বিয়ের আগে বিউটি পারলারে গিয়ে আগাম বুকিং দিয়ে আসবেন। আপনি যাঁর কাছে সাজতে চান, আগেই তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিন। ত্বকের ধরন, রং ও শারীরিক গড়নের ওপর ভিত্তি করে সাজটা হতে হবে। শুরুতে ভালোভাবে মুখটা পরিষ্কার করে নিন।

এরপর চোখের নিচে বা মুখে কোনো দাগ থাকলে সেখানে কনসিলার লাগিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ব্যবহার করুন পাউডার ফাউন্ডেশন। গরমে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো।

এ ছাড়া কেউ চাইলে হালকা গোলাপি বা হলুদাভ ভাব আনতে প্যানকেক ব্যবহার করতে পারেন। তবে হালকা রঙের শাড়ির সঙ্গে হালকা সাজ হলেও চোখের সাজকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। এ সময় গ্লিটার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। চোখে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার বেড়েছে। সোনালি, ব্রোঞ্জ, সবুজ, নীলসহ যেকোনো উজ্জ্বল রং শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের সাজ করা যেতে পারে। চাইলে স্মোকিও করতে পারেন চোখকে।

ঠোঁটে তখন হালকা গোলাপি, ন্যাচারাল রং, পিচ বা মভ রং ব্যবহার করলে আকর্ষণীয় দেখাবে। আর লাল রঙের লিপস্টিক হাল ফ্যাশনে জনপ্রিয়। এটি ব্যবহার করলে চোখের সাজ গাঢ় করবেন না। কপালে টিপ পরতে বা আঁকতে পারেন। আবার বড় টিকলি পরলে টিপ না পরলেও চলে। চুল বড় হলে ছেড়ে রাখলেও অন্য রকম সুন্দর লাগে।

এ ছাড়া খোঁপা, পার্শ্বসিঁথি ও খানিকটা কোঁকড়া করে চুলটাকে নানা কায়দায় বাঁধতে পারেন। এ সময়ে বেলি ফুলের সমাহার হয়। বেণি করে বা পুরো খোঁপায় বেলি ফুল ব্যবহার করতে পারেন। লাল বা সাদা শাড়ি পরলে হাতেও পেঁচিয়ে নিতে পারেন বেলি ফুল। তবে বিয়ের আগে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে অবশ্যই খাওয়ার দিকে বিশেষ যত্ন দিতে হবে। পুষ্টিযুক্ত খাবার, ফল ও বেশি করে পানি খেতে হবে।

Print this item

  ১০ মিনিটেই পার্টি মেকাপ করার সহজ উপায়
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:57 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

সাজগোজ কে না ভালবাসে। এ কথা সব সময় সত্যি নয় যে মানুষ শুধু অন্যকে দেখানোর জন্যেই সাজে। সাজলে নিজের মনও ভাল থাকে। কিন্তু সময়ের অভাবে অনেকেই সুন্দর করে সাজতে পারেন না। সঠিক ভাবে মেকাপ করতে হলে বেশ কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। আসুন জেনে নেই মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই কিভাবে নিজেকে তৈরী করবে

যা যা প্রয়োজনঃ

– সানস্ক্রিন (Sunscreen)
– কনসিলার (Concealer)
– ফাউন্ডেশন (Foundation)
– আই স্যাডো (Eyeshadow)
– আই লাইনার (Eyeliner)
– মাশকারা (Mascara)
– ব্লাশ (Blush)
– লিপস্টিক (Lipstick / gloss)

যেভাবে করবেনঃ

প্রথমে আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবার মুখ এবং ঘাড়ে ভালো ভাবে sunscreen লাগিয়ে নিন। রোদ-বৃষ্টি যাই হোক প্রতিদিন sunscreen ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন । যাদের শুষ্ক ত্বক তারা ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে শুধুমাত্র SPF 15 বা তার অধিক Moisturizer ব্যবহার করুন। আর যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তবে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং মুখ শুকানোর আগে sunscreen ব্যবহার করুন।

১. কনসিলার এর ব্যবহারঃ
কনসিলার দিয়ে আপনার মুখের অসম দাগকে মুছে দিতে পারেন। প্রথমে আপনার মুখের কালো বা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় (চোখের নিচে, নাকের দুইপাশে, চিবুকের উপর) স্থানে অনামিকা (ring finger) দিয়ে Concealer বিন্দু বিন্দু আকারে প্রয়োগ করুন। তারপর ভালো ভাবে স্কিনের সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে দিন। এবার আপনার মুখের অসম দাগ গুল আর দেখতে পাবেন না।

২. ফাউন্ডেশনের ব্যবহারঃ
ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, আপনার মুখের রঙের সাথে সামানজস্য পূর্ন সঠিক ফাউন্ডেশনটি আপনি ব্যবহার করছেন। একবারে আপনার সারা মুখে ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। মুখের এক অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে প্রথমে তা মুখের স্কিনের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিবেন। তারপর অন্য অংশে লাগাবেন। এভাবে সমস্ত মুখে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে ফাউন্ডেশন লাগাবেন।

৩. আই স্যাডোর ব্যবহারঃ
ফাউন্ডেশন লাগানোর পর আপনার মুখ মেক-আপের জন্য সম্পূর্ন ভাবে তৈরি আছে। এখন চোখের মেক-আপ করার সময়। সাধারনত আমরা সবাই ড্রেসের রঙের সাথে রঙ মিলিয়ে Eyeshadow ব্যবহার করে থাকি। তবে যে রঙই আমরা ব্যবহার করি না কেন চোখের কোনে হালকা Eyeshadow ব্যবহার করলে ভাল লাগে, আর চোখের শেষ দিকে ধীরে ধীরে কালো বা গাড়ো রঙ লাগালে সুন্দর লাগে। ব্রাশ দিয়ে Eyeshadow খুব ভাল ভাবে চোখের সাথে মিলিয়ে দিতে হবে।

৪. আই লাইনার ব্যবহারঃ
Eyeshadow এর মত আমরা বিভিন্ন ভাবে Eyeliner দিতে পারি। এর সঠিক কনো নিয়ম নেই, যার চোখে যেভাবে ভাল লাগে সে সেভাবেই লাগায়। Eyeliner সাধারনত চোখের উপরের অংশে প্রয়োগ করে। Eyeliner দিয়ে চোখের অনেক ধরণের লুক দিতে পারেন। এদের আবার আছে বাহারী সব নাম। যেমনঃ সাধারন eyeliner, Smokey চোখ, বিড়াল চক্ষু এবং আরো অনেক কিছু।

৫. মাশকারা ব্যবহারঃ
মাসকারা আপনার চোখের সাজকে আরো পরিপূর্ন করে তোলে। মাসকারা ব্যবহারে আপনার চোখ হয়ে ওঠে আরো বেশি সুন্দর। মাসকারার ব্রাশ ব্যবহার করে অতি সহজে চোখের আইল্যাস গুলো আরো ঘ্ন করতে পারেন।

৬. ব্লাশ এর ব্যবহারঃ
যারা একটু বেশি সাজগোজ পছন্দ করে তাদের জন্য ব্লাশ। গালের দুই পাশে নিচ থেকে উপরের দিকে ব্রাশ দিয়ে ব্লাশ দিতে হয়। যাদের রঙ ফর্সা তারা যেকোন রঙের ব্লাশ লাগাতে পারে আর যাদের রঙ একটু কম ফর্সা তারা একটু হালকা রঙ লাগাবেন। তবে রাতের অনুষ্ঠানে সবাই গাঢ় করে লাগাতে পারেন।

৭. লিপস্টিক এর ব্যবহারঃ
প্রথমে lip liner দিয়ে ঠোঁটের চারপাশে একে নিন। তবে lip liner যেন হালকা রঙের হয়। এরপরে আপনার পছন্দের বা আপনার ড্রেসের সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আবার আপনার lip liner এর রংটি যদি বেশি সুন্দর হয়, তবে আপনি চাইলে সমস্ত ঠোঁটে lip liner দিতে পারেন, তারপর উপরে লিপ গ্লস বা লিপ balm লাগাতে পারেন। দিনে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন আর রাতে একটু গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আর খেয়াল রাখবেন যেকনো নামের বা মানের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। লিপস্টিক ব্যবহারের সময় ভাল মানের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন, নয়ত আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাবে।

Print this item

  মুখের ধরণ বুঝে হেয়ার কাট করুণ!
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:56 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

চুল কাটতে পার্লারে গিয়ে আজকাল তরুণীরা বেশ সমস্যায় পড়েন। তারা বুঝতেই পারেন না কোন হেয়ার কাটে তাদের বেশিও মানাবে। তাই আমরা এখানে আজ কিছু টিপস দিলাম যাতে পার্লারে গিয়ে আপনাকে আর সমস্যায় পড়তে না হয়। চলুন জেনে নিই কোন মুখের আকৃতিতে কি হেয়ার কাট মানাবে।

গোলাকৃতি মুখ :
গোলাকার মুখের জন্য এমন হেয়ার কাট করুন যা আপনার গাল ঢেকে দেয়। শর্ট ফ্রিঞ্জ করতে পারেন। টেনে চুল বাঁধবেন না, এতে মুখ বড় দেখাবে।

লম্বাকৃতি মুখ :
লম্বাটে মুখের গড়ন যাদের তারা এমন হেয়ার স্টাইল করুন যাতে চুল ঘন লাগে। শর্ট লেয়ারস ভালো লাগবে। বব ফ্রিঞ্জ কাট বা কার্লি বব-ও ভালো মানাবে। এই শেপের মুখে ছোট হেয়ার কাটই ভালো মানাবে। লম্বা চুল বা ওয়ান লেন্থ হেয়ার কার্ট মানাবে না।

ডিম্বাকৃতি মুখ :
যাদের মুখ ডিম্বাকৃতি তারা কিন্তু অন্যদের তুলনায় বেশ লাকি। কারণ এই ধরনের মুখে যে কোন ধরনের হেয়ার কাট মানান সই। একপাশে সিঁথি করে সাইড সোয়েপ্ট ট্রাই করতে পারেন বা মাঝখানে সিঁথি করে মিডল পার্টিং, বা পুশড ব্যাক হেয়ার স্টাইলও খুব ভালো লাগবে।

চৌকাে মুখ :
যাদের মুখ চৌকাকৃতি তারা লেয়ার কাট করাতে পারেন। অথবা আনইভেন ব্যান্ড কাটে এদের খুব ভাল মানাবে।

পানাকৃতি মুখ :
যাদের পানাকৃতি মুখ তাদের বক্সলেয়ার কাটে বেশ ভাল মানাবে। এছাড়া স্টেপ কাটেও এদের ভাল লাগবে।

Print this item

  ৭টি বিষয় মনে রাখবেন বিয়ের শাড়ি বাছাই করার সময়
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:56 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

বিয়ের দিনে প্রতিটি নারীই চান তাঁকে যেন দেখায় সবার চাইতে বেশি সুন্দর। আর সেটা চাওয়াটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? আপনার এই চাওয়া মুহূর্তেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে, যদি বেছে নিতে ভুল করেন সঠিক শাড়ি। হ্যাঁ, বিয়ের শাড়ি নির্বাচন করতে গিয়ে অনেকেই এই ভুলটি করে থাকেন। আজকাল কনের পছন্দের শাড়ি কেনা হয় অধিকাংশ বিয়েতে, তাই নিজের বিয়ের শাড়িটি বেছে নিন খুব সতর্কতার সাথে। কোন রঙটি এখন হাল ফ্যাশনে চলছে? কোন রঙটি পরলে আপনাকে উজ্জ্বল দেখাবে, কেমন শাড়িতে লম্বা দেখাবে আর কেমন শাড়িতে দেখাবে চিকন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের এই ফিচার। জেনে নিন এমন কিছু টিপস, যেগুলো মনে রাখলে আপনার বিয়ের শাড়িটি হবে একদম মানানসই।
১) প্রথমেই আসুন রঙের ক্ষেত্রে। বিয়েতে লাল রঙের শাড়ির আবেদন সবসময়েই বেশি। তবে লাল রঙ কিন্তু একটা নয়। মার্কেটে লালের হরেক রকম শেড দেখতে পাবেন। শেখান থেকে আপনার সাথে মানানসই রঙটি বেছে নেয়ার উপায় হলো লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। শেডটি আপনার ভালো লাগবে, সেই শেডটি ব্যবহার করুন।
২) লাল ছাড়াও এই মৌসুমে বিয়ের শাড়ি হিসাবে বেছে নিতে পারেন মেরুন, সোনালি, ব্রোঞ্জ, গাঢ় গোলাপির নানান শেড, মিষ্টি কালার, কমলা ইত্যাদি। ল্যাভেন্ডার রঙটাও বেশ মানাবে। নীল, বেগুনী, সবুজ এই মৌসুমে না পরাই ভালো।

৩) আপনি যদি মোটা হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বেছে নিন জর্জেট শাড়ি। এতে আপনার ওজন অনেকটাই কম দেখাবে। অন্যদিকে খাটো মেয়েরাও জর্জেট বেছে নিন। স্লিম দেখালে লম্বাও লাগবে বেশি। আর আপনি যদি বেশি রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে কাতান সহ যে কোন ভারী কাপড়ের শাড়ি বেছে নেবেন। শাড়িতে কারুকাজ যত বেশি হবে, আপনাকে ততই সুন্দর স্বাস্থ্যের দেখাবে। অন্যদিকে ওজন বেশি হলে যতটা সম্ভব ভারি কাজ পরিহার করুন।
৪) মনে মনে নিশ্চয়ই ভেবে রেখেছেন পছন্দের শাড়ির রঙ? তবে এত দামী একটা শাড়ি হুট করেই কিনে ফেলবেন না। প্রথমে মনের মত রঙের একটা পোশাক বানিয়ে পরুন। নিদেন পক্ষে একটা ওড়না কিনে ট্রায়াল দিন। কিছু ছবি তুলে ফেলুন। দোকানে শাড়ি গায়ে ধরেও ছবি তুলতে পারেন। এতে খুব সহজেই বুঝবেন যে কোন রঙটি আপনাকে বেশি মানাচ্ছে।
৫) যাদের উচ্চতা কম, তাঁরা ভুল করেও চওড়া পারের শাড়ি পরবেন না। বরং যতটা সম্ভব চিকন পাড় পরুন। এতে লম্বা দেখাবে। মোটা মেয়েরাও চিকন পাড় পরুন। উচ্চতা বেশি দেখালে স্লিম দেখাবে বৈকি। অন্যদিকে বেশি লম্বা ও চিকন মেয়েরা মোটা পাড়কেই বেছে নিন। এতে আপনাদের সুন্দর দেখাবে।
৬) আপনার গায়ের রঙটা কি একটু চাপা বা কালো? সেক্ষেত্রে একদম সোনালি রঙের শাড়ি বেছে নেয়া ঠিক হবে না। একই সাথে খুব বেশি চকচকে শাড়িতেও মানাবে না। গাঢ় রঙ পরতে চাইলে চকচকে ভাব এড়িয়ে রঙ বাছুন। এক্ষেত্রে লালের কয়েকটি শেড দারুণ কাজে আসবে। শ্যামলা মেয়েদের লালে খুবই সুন্দর মানায়। আর হালকা রঙ পরতে চাইলে মিষ্টি, উজ্জ্বল রঙ বেছে নিন।
৭) দোকানে প্রচুর আলো জ্বলে, আর এই আলোতে এক এক রঙকে দেখায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিয়ের আসরেও অনেক আলো থাকবে। কিন্তু তাও কম আলোতে বা স্বাভাবিক আলোতে শাড়ির রঙটি একবার দেখে নিন

কৃতজ্ঞতা: রূপ বিশেষজ্ঞ রোকসানা লাকী, গ্ল্যামার বিউটি পার্লার
সূত্র: প্রিয় লাইফ

Print this item

  কেমন হবে গরমের মেকআপ!
Posted by: Hasan - 02-06-2017, 01:56 PM - Forum: সাজগোজ টিপস - No Replies

পড়েছে গরম। এ সময় নিজেকে সুন্দর এবং তরতাজা দেখানো মুশকিল। ঘর থেকে বের হওয়ার পর ঘাম আর ধুলা বালিতে হতে হয় নাজেহাল। এই মৌসুমে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্চে মেকআপ। কারণ ঘামে মেকআপ গলে যায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

গ্রীষ্মে মেকআপের ক্ষেত্রে উজ্জ্বলভাব বজায় রাখা জরুরি। চোখের সাজও এই সময় বেশ জরুরি। এর সাজ পূর্ণ করতে চোখের উপরের পাতার পাশাপাশি নিচের পাতায়ও শ্যাডো বুলিয়ে নিতে হবে। আর মাস্কারা, আই লাইনারের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে বলার তো কিছু নেই। তবে যাই সাজুন না কেনো, গরমে হালকা মেকআপ করাই ভালো।

গরমের দিনে সাজ দীর্ঘস্থায়ী করতে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া মেকআপ শুরুর কিছুক্ষণ আগে মুখে বরফ ঘষে নিতে পারেন।


কর্মক্ষেত্রে মেকআপ :
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই এ সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে হবে। আমাদের দেশের জন্য এসপিএফ ৩০ অথবা তার বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে। এরপর ফাউন্ডেশনের বদলে টিনটেড ময়েশ্চারাইজার কিংবা বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। আর চোখে পাউডার বেইসের আইশ্যাডো এবং গালে হালকা ব্লাশ ব্যবহার করুন। লাইনার এবং মাস্কারা দিলেই মেকআপ সম্পূর্ণ।


সন্ধ্যার ঘোরাঘুরি:
সন্ধ্যার মেকআপে চোখে লাগান উজ্জ্বল রংয়ের শ্যাডো। গালের উঁচু অংশে বুলিয়ে নিন হাইলাইটার। মাস্কারা লাগিয়ে নিন ঘন করে। আর ঠোঁটে দিন ন্যুড বা হালকা লিপস্টিক অথবা গ্লস।


রাতের অনুষ্ঠান:
চোখে গাঢ় এবং গ্লিটার আইশ্যাডোর সঙ্গে চোখের পাপড়িতে জুড়ে দিন ফলস ল্যাশ। ব্লাশার আর হাইলাইটার দিন এবং ঠোঁটে ব্যবহার করুন ম্যাট লিপস্টিক। সাজ এতেই পরিপূর্ণ।

Print this item